জানুয়ারি ২৪, ২০২৪ ১৫:৫৬ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৪ জানুয়ারি বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সৈনিকের মরদেহ হস্তান্তর-মানবজমিন
  • বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তাই আবোল-তাবোল বকছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী - ইত্তেফাক
  • আন্দোলনে ব্যর্থতা, বিএনপিতে নানা প্রশ্ন- প্রথম আলো
  • তারা পুলিশ, ডাকাতিও করেন-ডেইলি স্টার বাংলা
  • স্থানীয় ভোটে প্রতীক না দেওয়ার সিদান্ত আ.লীগের, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে নির্বাচনে-যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • মোদী সরকারকে হুমকি দিল ব্রিটেনের সুনক সরকার- আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ন্যায় যাত্রার কথা জানায়ইনি কংগ্রেস’, ‘একলা চলো’ বার্তা স্পষ্ট করলেন মমতা-সংবাদ প্রতিদিন
  • মোদীকে এখনই গ্যারান্টি দিচ্ছে না রামভক্তকুল-গণশক্তি
  • বাংলায় ইন্ডিয়া জোটে জট!-আজকাল
  • কেন্দ্রীয় সরকার রাজণৈতিক ঠুঁটো জগন্নাথ-মমতা-আজকার

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি। তবে দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে। ইত্তেফাকের রাজনীতির খবরে লেখা হয়েছে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। আজ পুরো পৃথিবী নতুনভাবে নির্বাচিত হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তাই আবোল-তাবোল বকছে। তারা এখন উপলব্ধি করছে নির্বাচন বর্জন করা তাদের জন্য আত্মত্যাগের শামিল হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রতীক না দেওয়ার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতীকবিহীন নির্বাচন করার বিষয়টি আমাদের মধ্যে বহু আগে থেকে আলোচনায় ছিল। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হয়নি। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ কম থাকায় উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। নৌকা প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আওয়ামী লীগ সরকারের আরেকটি পরাজয় বলে দাবি করেন তিনি। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল বিএনপি বলে খবর দিয়েছে যুগান্তর পত্রিকা। 

আন্দোলনে ব্যর্থতা, বিএনপিতে নানা প্রশ্ন-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে বিএনপি কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ যখন টানা চতুর্থ দফায় সরকার গঠন করেছে, তখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের অনেকের মুখেই এমন আলোচনা। পাশাপাশি এত মামলা, গ্রেপ্তার, চাপ ও প্রলোভনের পরও দল ভাঙেনি এবং মানুষ ভোটে সেভাবে সাড়া দেয়নি; এটাকে সফলতা হিসেবে দেখছেন দলটির অনেকে। অন্যদিকে,দেশের অন্যতম প্রধান এই রাজনৈতিক দলটির দেশব্যাপী সমর্থন ও শক্তি থাকার পরও আন্দোলন কেন বিফল হলো—এ প্রশ্ন এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। এ প্রশ্নে তারা বলেছেন, আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতিতে নেওয়ার জন্য যে দূরদর্শিতা ও পরিকল্পনা দরকার, সেটা বিএনপির নেতৃত্ব দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেনি।

তারা পুলিশ, ডাকাতিও করেন-ডেইলি স্টার বাংলার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, গত বছরের ২৩ জানুয়ারি রাতে দুবাই থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে নামেন প্রবাসী আবদুল্লাহ মুন্সি (২৪)। রাত ১১টার দিকে তিনি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে খিলগাঁওয়ে তার ভাইয়ের বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। অটোরিকশাটি বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামের কাছে এলে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস সেটিকে ধাক্কা দেয়। সেসময় চার ব্যক্তি মাইক্রোবাস থেকে নেমে আসেন এবং অটোরিকশাটিকে থামতে বলেন।

ওই চারজন নিজেদের পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেন এবং অটোরিকশা থেকে আবদুল্লাহকে টেনে-হিঁচড়ে হাতকড়া পরিয়ে মাইক্রোবাসে তোলেন। এরপর চলন্ত মাইক্রোবাসে আবদুল্লাহর চোখ বেঁধে তাকে নির্বিচারে পেটান তারা। চিৎকার করলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় একটি মামলা করেন আবদুল্লাহ। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সেদিন চার পুলিশ সদস্য তার কাছ থেকে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের ৩৩৪ গ্রাম ওজনের দুটি সোনার বার এবং একটি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয়। পরে রাত দেড়টার দিকে তাকে পূর্বাচলের কাছে ছেড়ে দেয়। তদন্তের পর এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বনানী থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর ঢাকার একটি আদালতে তোলা হলে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন। এ মামলার তদন্ত এখনো চলমান। ওই চার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত ছয় মাসে বনানী, বিমানবন্দর ও উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ এমন ছয়টি ডাকাতির মামলা তদন্ত করেছে। পুলিশ সদস্য, অভিবাসন কর্মকর্তা ও অপরাধীদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র এসব ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে।

তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এই সংঘবদ্ধ চক্র প্রায়ই প্রবাসী বাংলাদেশিদের টার্গেট করে। তাদের কাছ থেকে স্বর্ণ লুট করে সেগুলো ভারতে পাচার করে।

গত ছয় মাসে ঢাকার বিভিন্ন আদালতে জমা দেওয়া পুলিশের প্রতিবেদনে এ ধরনের অপরাধে জড়িত সাত পুলিশ সদস্যের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শক, দুইজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও চারজন কনস্টেবল।

এ ধরনের অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ সূত্র বলছে, অধস্তন ও মধ্যম পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের একটি অংশ ছিনতাই, মাদক চোরাচালান ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ করছে। ফলে দুই লাখ সদস্যের গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে ৩০৪ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩১৮টি মামলা হয়েছে এবং এসব মামলায় সারাদেশে ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে, ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসের তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০২২ সালে প্রায় এক হাজার ৭৩১ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বরখাস্ত বা বদলি হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ সদস্যরা যাতে অপরাধে না জড়ান, সেটি নিশ্চিত করতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হওয়া উচিত। এটাই প্রথম পদক্ষেপ। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা রয়েছে কি না, সেটি চিহ্নিত করার জন্য কঠোর মনিটরিং করতে হবে।'

কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত,' বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, পুলিশ সদস্যদের অপরাধের ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া ও তদন্তের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হওয়ায় তা অভিযুক্ত পুলিশকে পুনরায় অপরাধমূলক কাজ করার স্বাধীনতাই দেয়।

'বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি দ্রুত হওয়া উচিত। এ ছাড়াও, অপরাধের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততা কমাতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকা উচিত', বলেন তিনি।

বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সৈনিকের মরদেহ হস্তান্তর-মানবজমিন

যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহি মোহাম্মদ রইস উদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সকালে যশোরের শার্শার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে তার মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মোহাম্মদ রইস উদ্দীনের মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানানো হয়, ২২ জানুয়ারি আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে একদল গরু চোরাকারবারিকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখে দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবির সিপাহি মোহাম্মদ রইস উদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করে ঘন কুয়াশার কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। 

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

ন্যায় যাত্রার কথা জানায়ইনি কংগ্রেস’, ‘একলা চলো’ বার্তা স্পষ্ট করলেন মমতা-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, ‘একলা চলো’ বার্তা স্পষ্ট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার বর্ধমান যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ বিষয়ে একহাত নিলেন কংগ্রেসকে (Congress)। আজই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রা কোচবিহার হয়ে ঢুকবে বাংলায়। অথচ কংগ্রেসের তরফে তা জানানোই হয়নি তৃণমূলকে (TMC)! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন নেত্রী। তাঁর কথায়, ”একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছি। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এই যে রাহুলের যাত্রা বাংলায় আসছে, INDIA জোটের সঙ্গী হিসেবে আমাদের জানায়নি।  জোট কারও একার নয়। আঞ্চলিক দলগুলো সব একসঙ্গে থাকব।”

মমতাকে ছাড়া জোট ভাবাই যায় না’, ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রীকে ফের বন্ধুত্বের বার্তা কংগ্রেসের-সংবাদ প্রতিদিন

মমতাকে ছাড়া ইন্ডিয়া জোট ভাবাই যায় না। তৃণমূল নেত্রী লোকসভায় ‘একলা চলো’র সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরও তাঁকে বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাল কংগ্রেস (Congress)। এআইসিসি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল, যে কোনও মূল্যে মমতাকে জোটে চান তাঁরা।

কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়। লোকসভায় (Lok Sabha Elections 2024) ‘একলা চলো’র বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি একপ্রকার ঘোষণা করে দিয়েছেন, বাংলায় সব আসনে একাই লড়বে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা কংগ্রেসের জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। মমতার মতো প্রভাবশালী নেত্রী জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেলে ‘ইন্ডিয়া’র (INDIA) ভবিষ্যৎ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠে যাবে সেটা ভালমতোই জানে হাত শিবির। সম্ভবত সেকারণেই, তৃণমূল নেত্রী একলা চলোর বার্তা দেওয়ার পরও তাঁর প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাল হাত শিবির।

মোদী সরকারকে হুমকি দিল ব্রিটেনের সুনক সরকার-আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,

ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির ভারতে খেলতে আসার ভিসা পাননি। সেই সমস্যা নিয়ে এ বার ভারত-ইংল্যান্ড বাক্‌যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের দফতর থেকে নাম না করে বশিরের ঘটনা নিয়ে বক্তব্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সুনক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। টেস্ট খেলতে ভারতে এসেছে ইংল্যান্ড দল। দুবাই থেকে ভারতে এসেছে দল। টেস্ট শুরু বৃহস্পতিবার থেকে। কিন্তু দলের সঙ্গে আসতে পারেননি বশির। এর পরেই সুনকের সরকারের তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, “আশা করব ভিসার ক্ষেত্রে সব ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে সমান ব্যবহার করবে ভারত। এর আগেও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের ভিসা পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। অসন্তুষ্ট ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকসও। এমন ঘটনা তৈরি হওয়াই অবাঞ্ছনীয়।

স্টোকস জানিয়েছেন যে, বশির প্রথম নন। এর আগেও এমন ঘটেছে। ইংরেজ অধিনায়ক বলেন, “বশির প্রথম নন, যাঁকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে। অনেক ক্রিকেটারকে এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।্র

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৪

ট্যাগ