কচু ছাড়া সব কিছুতেই ফরমালিন: রাষ্ট্রপতি
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২ ডিসেম্বর সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- সমাজের ‘অসুস্থতা’ নির্মূল করা হবে: প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক প্রথম আলো
- পেট্রল পাম্প ধর্মঘট স্থগিত- কালেরকণ্ঠ
- কচু ছাড়া সব কিছুতেই ফরমালিন: রাষ্ট্রপতি-দৈনিক যুগান্তর
- খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে জনগণ চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে: রিজভী-দৈনিক ইত্তেফাক
- হাইকোর্টে নুসরাত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির আপিল-দৈনিক মানব জমিন
- রোহিঙ্গা ইস্যুতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র সচিব'-দৈনিক নয়াদিগন্ত
ভারতের শিরোনাম:
- শহরে ফের এটিএম জালিয়াতি, যাদবপুরে একের পর এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- জৈশ–ই–মহম্মদের নয়া ছক, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলা হবে দিল্লিতে! রিপোর্ট এনআইএ’র-দৈনিক আজকাল
- ধর্ষকদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা উচিত, সংসদে সওয়াল জয়া বচ্চনের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। জনাব সিরাজুল ইসলাম কথাবার্তার আসরে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
১. ইসলামিক ফাউন্ডেশনে দুর্নীতি: কুরআন ও ধর্মীয় বই ছাপানোর নামে ১৭ কোটি টাকা লোপাট। দৈনিক নয়া দিগন্তের দেয়া এ খবর সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?
২. ইরাকের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। আপনি কী মনে করেন তার পদত্যাগের ফলে চলমান বিক্ষোভ বন্ধ হবে?
জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারো ধন্যবাদ
সমাজের ‘অসুস্থতা’ নির্মূল করা হবে: প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক প্রথম আলো
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন যে, সমাজের এই ‘অসুস্থতা’ নির্মূল করা হবে।
মাদ্রিদের স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় হোটেল ভিলা মাগনায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। স্পেন ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর ধরে দেশ শাসনকারীদের অপকর্মের কারণে অনেক ময়লা ও আবর্জনা জমে গেছে। মানুষের চরিত্রে ভাঙন ধরেছে।
নিজেকে বাংলাদেশের জনগণের ‘সার্বক্ষণিক কর্মী’ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জনসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের একজন সার্বক্ষণিক কর্মী। আমি বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে শহর ও গ্রাম উভয় এলাকার মানুষ আমাদের কাজের সুফল পেতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একশ্রেণির মানুষ ঘুষ-দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে, সন্ত্রাস করে, লোকজনের সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে
বিলাসী জীবন-যাপন করতে চায়। এবং তারা বলতে চায় যে, ‘মুই কি হনুরে’। শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু আমরা চাই, জনগণের মধ্যে এই ধরনের মানসিকতা থাকবে না। এবং সমাজের এই অসুস্থতা নির্মূল করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসৎ পথে থেকে ‘বিরিয়ানি’ খাওয়ার চেয়ে সৎ পথে থেকে ‘নুন-ভাত’ খাওয়া অনেক ভালো। আমরা জাতির জনকের কাছ থেকে এই শিক্ষা পেয়েছি। আমাদের নতুন প্রজন্মকে এই শিক্ষা দিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নাম শুনলে অন্যান্য দেশের মানুষ এখন বাংলাদেশকে সম্মান করে। কিন্তু তারা আগে জানত যে, বাংলাদেশ হচ্ছে বন্যা, খরা, দুর্ভিক্ষ ও দুর্নীতির দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই দুর্নাম ঘুচে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের অদম্য অগ্রগতি অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, যাতে বাংলাদেশকে আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে না হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনামাফিক কাজ করে যাচ্ছি, যাতে আগামী প্রজন্ম একটি সুন্দর জীবন লাভ করে।’
স্পেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ‘রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের ২৫ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন’ (কপ-২৫)-এ যোগ দিতে গতকাল রোববার তিন দিনের সরকারি সফরে স্পেন যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পেট্রল পাম্প ধর্মঘট স্থগিত- কালেরকণ্ঠ
দেশের তিন বিভাগে চলমান পেট্রল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিকদের ধর্মঘট ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
ধর্মঘটরত পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসেসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ানবাজারে বিপিসির লিয়াজোঁ কার্যালয়ে কোম্পানির পরিচালক (বিপণন) সৈয়দ মেহদী হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়।
ধর্মঘটে ডাক দেওয়া বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম, মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন, পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মোমিন দুলাল, পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, খুলনা বিভাগের সহ-সভাপতি এম মাহবুবুল আলম, সিনিয়ন সহ সভাপতি মোহাম্মদ সোবহান আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরদা হোসনেসহ রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর ও খুলনা অঞ্জলের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কচু ছাড়া সব কিছুতেই ফরমালিন: রাষ্ট্রপতি-দৈনিক যুগান্তর
খাবারে ভেজালে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, কচু ছাড়া সব কিছুতেই ফরমালিন। নির্ভেজাল খাবার পাওয়া এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। খাদ্য ভেজালের কারণে ক্যান্সারসহ জটিল রোগ হচ্ছে। কিছু মানুষ দানব হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে মানুষকে ফেরাতে হবে।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পঞ্চম সমাবর্তনে যোগ দিয়ে রোববার বিকালে এ কথা বলেন।
খাদ্যে ভেজালকারীদের গণপিটুনি দেয়ার কথা বলে রাষ্ট্রপতি বলেন, আগে শুধু পকেট মারলেই গণপিটুনি দেয়া হতো, এখন খাদ্যে ভেজালকারীদেরও গণপিটুনি দিতে হবে। মানুষকে এ পথ থেকে ফেরাতে হবে। নইলে জাতি হিসেবে আমরা পঙ্গু হয়ে যাব।
এসময় তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘রাজশাহী আসছি, কয়েক দিন পরেই আম পাকার কথা। মনে হয় আইস্যা পড়তাছে। এখানে আমার বাবাজি আমাদের মেয়র সাব, আমার ভাতিজা লিটন এবং আমাদের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও আছেন। বলে যাচ্ছি আর কি- আমের সিজনে যেন ভালা আম পাঠানো হয়। আম না পাঠাইলে কিন্তু খবর আছে। আম পাঠাইলে যেন আবার ফরমালিন বিষটিষ না থাকে।’
এ সময় তিনি নতুন গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, সততা মানুষের মূল্যবান সম্পদ। কর্মজীবনে সততা ও একনিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াটেক এডভান্সড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে জনগণ চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে: রিজভী-দৈনিক ইত্তেফাক
বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ল্যাব এইড হাসপাতালের নিকট গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মিছিল শেষে এক পথসভায় রিজভী বলেন, বিনা অপরাধে কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ক্রমান্বয়ে চরম অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়ার নামে নানা টালবাহানা ও জনগণকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার। জনগণের দাবি উপেক্ষা করে বেগম জিয়াকে কোন বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়নি। তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটা সত্বেও সরকারের লোকেরা বেগম জিয়া সুস্থ আছেন বলে তোতা পাখির মতো সরকারের শেখানো বুলি আউড়িয়ে যাচ্ছে।
তিনি সরকার প্রধানের উদ্দেশ্যে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে বিনা চিকিৎসায় আপনি অমানবিক কষ্ট দিচ্ছেন, বেগম জিয়ার প্রতি এই নিষ্ঠুরতা বিশ্বের স্বৈরশাসকরা যে আচরণ করে সেই আচরণেরই সমতুল্য। বেগম জিয়াকে আর কষ্ট না দিয়ে তাকে নি:শর্ত মুক্তি দিন। আপনি জনগণের পুঞ্জিভূত ক্রোধ আঁচ করতে পারছেন না বলেই বিএনপি চেয়ারপার্সনকে মুক্তি না দিয়ে তাকে তিলে তিলে নি:শেষ করার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের লোহার খাঁচা ভেঙ্গে বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য জনগণ এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। দেশে ভয়াবহ দু:শাসনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের এখন নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশ পরিচালনায় আপনারা এখন চারিদিক দিয়েই ব্যর্থ। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দু:শাসনকে প্রতিরোধ করার জন্য মানুষ এখন পথে পথে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে।
রিজভী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, পৃথিবীর অতীত ইতিহাস ভুলে যাবেন না, কোন স্বৈরাচারী শাসক দু:শাসন চালু রেখে জনগণের রোষানল থেকে রেহাই পায়নি। যুগে যুগে বিশ্বের স্বৈরশাহীর পতনের মতোই যেকোন মূহুর্তে এই সরকারকে পতনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মিছিলে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, পশ্চিম ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান জুয়েল এবং যুবদল নেতা সোহেলসহ নেতাকর্মীরা।
হাইকোর্টে নুসরাত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির আপিল-দৈনিক মানব জমিন
নুসরাত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির মধ্য ৪ আসামি হাইকোর্টে আপিল করেছে। তারা হলো মাদ্রাসা অধ্যক্ষ এস এম সিরাজউদ্দৌলা, নুর উদ্দিন, উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল আপিল আবেদন জমা দিয়েছেনন।
গত ২৪শে অক্টোবর, ফেনী জেলার সোনাগাজীতে আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬জন আসামীর সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলার সাত মাসেরও কম সময়ের মধ্যে, ৬১ কার্যদিবস শুনানির পর এ রায় ঘোষণা করে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র সচিব'-দৈনিক নয়াদিগন্ত
রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য এই ইস্যুতে যথাযথ জবাবদিহিতা চায় বাংলাদেশ। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। সোমবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর যে নৃশংসতা হয়েছে তার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সব ধরণের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে(আইসিজে) ওআইসির পক্ষ থেকে সদস্য দেশ গাম্বিয়া যে মামলা করেছ চলতি মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানিতে বিবাদী পক্ষ মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকবে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বে।
ওআইসির পক্ষ থেকে গাম্বিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন শুনানিতে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও একটি প্রতিনিধি দল সেখানে উপস্থিত থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে(আইসিসি) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সেটির তদন্ত করতে আদালতের প্রসিকিউটর ফাতো বেনসুডাকে অনুমতি দিয়েছে আইসিসি।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, এসব মামলায় বিচারকার্যে সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখতে দেশী-বিদেশী আইনবীদদের পরামর্শ নিচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, মানবিক ও আইনগত দুই উপায়েই রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলা করতে চায় বাংলাদেশ। মানবিক দিক বিবেচনা করে যেভাবে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে, তেমনিভাবে এই গণহত্যায় দোষীদের জবাবদিহিতা নিশ্চত করতেও সম্ভাব্য সব তৎপরতা চালাবে বাংলাদেশ।
শহরে ফের এটিএম জালিয়াতি, যাদবপুরে একের পর এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব
ফের এটিএম জালিয়াতির শিকার শহরের বাসিন্দারা! শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর এলাকায় একের পর এক ব্যক্তি বুঝতে পারলেন, ডেবিট কার্ড হাতে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২৭ জন অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে।
লালবাজার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা। তবে এখনও স্পষ্ট নয় ঠিক কোন পদ্ধতিতে এ বার এটিএম জালিয়াতি হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে জালিয়াতির ধরন দেখে তদন্তকারীদের ধারণা, এই প্রতারণা স্কিমারদের কাজ। তদন্তকারীদের সন্দেহ সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও অভিযোগ বা প্রতারণার খবর মিলবে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) সুদীপ সরকারের জানিয়েছেন, রবিবার রাত পর্যন্ত তাঁরা ১৭টি অভিযোগ পেয়েছেন। সোমবার সকালে তা ২৫ ছাড়িয়েছে।
ঠিক কী ভাবে হঠাৎ গায়েব হয়ে যাচ্ছে এটিএমের টাকা?
একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী পিয়ালি ভট্টাচার্য যাদবপুর থানায় করা অভিযোগে জানিয়েছেন, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাঁর বেতনের অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্টে ৬৭ হাজার টাকা ছিল। রবিবার সকালে পর পর তিনি দু’টি মেসেজ পান। ২০ হাজার টাকা করে পর পর দু’বার তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়েছে। ওই মেসেজ দেখে ঘাবড়ে যাওয়া পিয়ালি এটিএমে গিয়ে অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স দেখেন। কিন্তু, অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ছিল না। তাড়াহুড়ো করে যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান তিনি। কিন্তু তার আগেই পর পর টাকা ‘ডেবিট’ হওয়ার মেসেজ ঢোকে তাঁর মোবাইলে। ফলে মোট ৬৭ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নিয়েছে প্রতারকরা।
একই অভিজ্ঞতা যাদবপুর এলাকার আরও এক বাসিন্দার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজার টাকা ছিল। হঠাৎ করে রবিবার সকালে সেই টাকা দু’দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উঠে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ১৭ জন রবিবার রাত পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা জোর দিয়ে বলছেন, তাঁদের ডেবিট কার্ড বেহাত হয়নি বা কখনও তাঁরা এটিএমের পিন কাউকে দেননি। ফলে প্রাথমিক ভাবে ‘স্কিমিং’ বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
স্কিমারদের এই গণপ্রতারণা শহরে নতুন নয়। ২০১৮ সালের মে মাসে গড়িয়াহাট, লেক গার্ডেন্স, ঢাকুরিয়া, কসবা এলাকার একের পর এক স্কিমিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল। কয়েকশো মানুষের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে রোমানিয়ার একটি চক্র পাকড়াও করেছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সেই অভিযুক্তরা এখনও জেলে। সেখান থেকেই তদন্তকারীদের ধারণা, শহরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে নতুন কোনও চক্র।
তবে, গোয়েন্দাদের চিন্তা বাড়িয়েছে অন্য একটি তথ্য। ২০১৮-র ঘটনার পরেই পুলিশ এবং ব্যাঙ্ক কর্তাদের বৈঠকে ঠিক হয়, রাজ্যে থাকা প্রায় ১ হাজার ২০০টি এটিএমে ‘অ্যান্টি স্কিমিং ডিভাইস’ বসাবেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সেই মতো ২০১৮-র সেপ্টেম্বর মাসেই অধিকাংশ ব্যাঙ্ক দাবি করেছিল যে, তারা ৫০ শতাংশের বেশি এটিএমে ‘অ্যান্টি স্কিমিং ডিভাইস’ ‘ইনস্টল’ করে দিয়েছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছি, কোন কোন এটিএম থেকে তাঁরা ইতিমধ্যে টাকা তুলেছেন। সেখান থেকে স্পষ্ট হবে, ওই এটিএমগুলিকেই হয়তো স্কিমাররা টার্গেট করেছিল এবং স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে গ্রাহকদের তথ্য চুরি করেছে।” এ দিন দুপুর পর্যন্ত যাদবপুর এলাকার বিভিন্ন এটিএমে তদন্ত চালানোর পর গোয়েন্দাদের ধারণা, সুকান্ত সেতু সংলগ্ন এটিএমগুলোকেই ‘টার্গেট’ করেছে এই চক্র। তবে, এখনও কোনও এটিএম থেকে স্কিমিং ডিভাইস পাওয়া যায়নি।
রবিবার যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশের অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা উঠেছে কলকাতার বাইরে থেকে। নিজস্ব চিত্র।
তদন্তকারীরা আরও একটি সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সম্প্রতি ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা ত্রিপুরা পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে তুরস্কের একটি স্কিমিং চক্রকে পাকড়াও করেছেন। সঙ্গে পাকড়াও হয়েছিল ওই চক্রের এক বাংলাদেশি সদস্য। ওই চক্রটি ত্রিপুরা থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। তবে ওই চক্র ধরা পড়ার পর জানা যায়, চক্রটি গত ৬ মাস ধরে ঘাঁটি গেড়েছিল বেলঘরিয়ার একটি ফ্ল্যাটে। অন্য দিকে, রোমানীয় গ্যাং পাকড়াও হওয়ার পর জানা গিয়েছিল, গ্রাহকদের টাকা হাতানোর অন্তত তিন মাস আগে ‘স্কিমার ডিভাইস’ বিভিন্ন এটিএমে বসিয়ে গ্রাহকদের কার্ডের তথ্য হাতিয়েছিল তারা। তার পর সেই তথ্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ক্লোন বা নকল কার্ড।
ওই পদ্ধতির কথা মাথায় রেখেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, তুরস্ক গ্যাং হয়তো ধরা পড়ার অনেক আগেই গ্রাহকদের তথ্য হাতিয়েছিল। সেই তথ্য পাচার করে দিয়েছিল চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে। তারাই এ বার শহরের বাইরে বসে ওই তথ্য কাজে লাগিয়ে টাকা তুলছে! কারণ, রবিবার যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশের অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা উঠেছে কলকাতার বাইরে থেকে। কারও নয়ডা, কারও আবার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের কোনও এটিএম থেকে।
জৈশ–ই–মহম্মদের নয়া ছক, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলা হবে দিল্লিতে! রিপোর্ট এনআইএ’র
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯। জম্মু–কাশ্মীরের পুলওয়ামা কেঁপে উঠেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈশ–ই–মহম্মদের বিস্ফোরণে। সিআরপিএফ কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। ৪০ জন জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। যা আজও ভুলতে পারেনি গোটা দেশ। ভারত পাল্টা প্রত্যাঘাত করলেও দেশ সেই দগদগে ঘা আজও ভোলেনি। এই পরিস্থিতিতে ফের আঘাত করার পরিকল্পনা করেছে জৈশ–ই–মহম্মদ। ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বড় ধরনের হামলা করার পরিকল্পনা করেছে। সেই সংক্রান্ত নথি এবার জমা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা(এনআইএ)। যা নিয়ে এখন সরগরম নয়াদিল্লি।
এনআইএ’র দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, জৈশ–ই–মহম্মদ ইতিমধ্যেই রেইকি করেছে নয়াদিল্লির সরকারি নানা ব্যবস্থার ওপর। সাউথ ব্লক এবং কেন্দ্রীয় সচিবালয় নিয়েও রেইকি করা হয়েছে। এখানেই পুলওয়ামার মতো হামলা করার ছক কষেছে জঙ্গি সংগঠনটি। জৈশ–ই–মহম্মদের সদস্য সাজ্জাদ আহমেদ খান, তানবীর আহমেদ গানি, বিলাল আহমেদ মীর এবং মুজাফ্ফর আহমেদ ভাট খান গ্রেপ্তার হয়েছিল মার্চে, পুরনো দিল্লি থেকে। তাদেরকে জেরা করেই এই তথ্য মিলেছে। রেইকি করা হয়েছে—সাউথ ব্লক, কেন্দ্রীয় সচিবালয়, দিল্লির সিভিল লাইন, বিকে দত্ত কলোনি, কাশ্মীরি গেট, লোধী এস্টেট, মান্ডি হাউজ, দ্বারকাগঞ্জ–সহ গাজিয়াবাদ। এই কারণে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর। তাছাড়া ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জারি করা হবে উচ্চ সতর্কতা বলে খবর।
ধর্ষকদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা উচিত, সংসদে সওয়াল জয়া বচ্চনের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
ধর্ষকদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা উচিত। সোমবার রাজ্যসভায় মন্তব্য করলেন সমাজবাদী পার্টির (সপা)-র সাংসদ তথা অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। হায়দরাবাদে মহিলা পশু চিকিৎসকের উপর নৃশংস অত্যাচার প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যসভা উত্তাল হয়। সরকারকে জয়ার প্রশ্ন, দেশজুড়ে মহিলাদের উপর বেড়ে চলা অত্যাচারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মহিলা পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। এরপর থেকেই গোটা দেশ উত্তাল। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে দেশবাসী। সেই আন্দোলনের ঢেউ এসে আছড়ে পড়েছে সংসদেও।
এদিন অভিনেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন বলেন, “মানুষ সরকারের কাছে এখন সুনির্দিষ্ট জবাব চাইছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার কী করছে? অভিযুক্তরা কবে শাস্তি পাবে?” শুধু তাই নয়, এদিন তিনি আরও একটি ঘটনার উদাহরণ টেনে এনে হায়দরাবাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, “পশু চিকিৎসকের উপর নৃশংস অত্যাচারের আগে আরও একটি ভয়ানক ঘটনা ঘটেছিল। এরপরও নিরাপত্তার দিকে কেন নজর দেওয়া দেওয়া হল না? কেন নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা আধিকারিককে প্রশ্ন করা হল না?” এরপরই ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের প্রকাশ্যে এনে পিটিয়ে মারার পক্ষে সওয়াল করেন অমিতাভ পত্নী। তাঁর কথায়, “যাঁরা নিজের কার ঠিকমতো করে না, তাঁদের গোটা দেশের সামনে লজ্জিত হওয়া উচিত। অভিযুক্তদের জনতার সামনে আনা হোক। সেখানে তাঁদের পিটিয়ে মারা হোক।”
মহিলাদের উপর অত্যাচার রুখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাংসদ গুলাম নবি আজাদ ও আমে ইয়াজনিক। তাঁদের কথায়, “আইন, পুলিশ, বিচার বিভাগ হাত মিলিয়ে জরুরি ভিত্তিতে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিক। তবে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ আটকাতে শুধুমাত্র আইন আনাই যথেষ্ঠ নয়, বরং সকলকে জোটবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।” এদিন হায়দরাবাদে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থার দাবিতে উত্তাল হয় লোকসভাও। সংসদের নিম্নকক্ষে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “হায়দরাবাদের এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্করজনক। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”#
পার্সটুডে/বাবুল আখতার/২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।