'ট্রাম্পের মিথ্যাচারে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ৩০ জানুয়ারিই ভোট হবে: কাদের-দৈনিক যুগান্তর
- সরস্বতী পূজার কারণে ভোট পেছানোর অনুরোধ আতিকুলের-দৈনিক প্রথম আলো
- এখন নির্বাচনের কোনো মূল্য নেই মানুষের কাছে-দৈনিক মানবজমিন
- ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে আমরণ অনশনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা-দৈনিক সমকাল
- 'ট্রাম্পের মিথ্যাচারে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে' -বাংলাদেশ প্রতিদিন
- হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল, সিটি নির্বাচন স্থগিতের আবেদন-দৈনিক ইত্তেফাক
ভারতের শিরোনাম:
- বিক্ষোভের যোগবিয়োগ-জাতীয় রাজনীতির পাশে আগামী বিধানসভা ভোটের হিসেব-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে মার্কিন মডেল অনুসরণ করতে চান রাওয়াত-দৈনিক আজকাল
- সাধারণতন্ত্র দিবসে হামলার ছক, পুলওয়ামার আপেল বাগানে বৈঠক জঙ্গিদের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমেই বাংলাদেশের কয়েকটি খবরের দিকে নজর দেব।
'ট্রাম্পের মিথ্যাচারে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে'-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

আমেরিকার আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দল থেকে অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে মিথ্যাচার করছেন তাতে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইরানের সঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধ শুরু হলে সেটি ইরাক যুদ্ধের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ অবস্থা তৈরি করবে।

বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, আমাদের জীবনে দুইবার সবচেয়ে বাজে পররাষ্ট্রনীতির অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর একটি হচ্ছে ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং অন্যটি ইরাক যুদ্ধ। এ দুটি যুদ্ধ শুরু হয়েছিল মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এবং আমরা এখন এই ভয় পাচ্ছি যে, যিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট তিনিও মিথ্যা বলছেন এবং তিনি দেশকে যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন।

মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাইমারি ডিবেটে বার্নি স্যান্ডার্স এসব কথা বলেন। সম্প্রতি মিথ্যা কথা বলে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ইরান পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল, সিটি নির্বাচন স্থগিতের আবেদন-ইত্তেফাক
সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের দিন পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি ভোটগ্রহণের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করার জন্য আর্জি জানানো হয়।
দৈনিক যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে নির্বাচন কমিশনকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। তিনি বলেন, আমরা ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছি।
তবে দৈনিক যুগান্তরের একটি খবরে লেখা হয়েছে, আদালত ভেবেচিন্তেই দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ নিয়ে রায় দিয়েছেন মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন ৩০ জানুয়ারিতেই হবে। অন্যদিকে প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে, সরস্বতী পূজার কারণে ভোট পেছানোর অনুরোধ জানিয়েছেন সরকারি দলের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। তবে দৈনিক মানবজমিনের এখটি শিরোনাম এরকম, এখন নির্বাচনের কোনো মূল্য নেই মানুষের কাছে।
এতে লেখা হয়েছে, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পেছানো উচিত বলে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, নির্বাচন নিয়ে নানান তেলেসমাতি কর্মকাণ্ড হয়েছে বাংলাদেশে গত ছয় বছরে। ফলে এর কোনো মূল্য নেই এখন মানুষের কাছে। এটা পিছিয়ে দিলে সমস্যা কি? ৩০ তারিখ পূজা হলে নির্বাচন পেছানোই উচিত। তাছাড়া দৈনিক যুগান্তরের একটি খবরে লেখা হয়েছে,
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন রুহুল আমিন। এ সম্পর্কে প্রথম আলোর শিরোনাম-২৪ বছর পর দেশে ফিরেই লাশ হলেন রুহুল আমিন

এ খবরে লেখা হয়েছে, রুহুল আমিন। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলেন। সে দেশের গ্রিনকার্ড পাওয়ার জন্য ২৪ টা বছর কাটি দিয়েছিলেন। এই সময়ে নিজ জন্মভূমি, দেশে থাকা মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনদের জন্য তার মন কাঁদতো। কিন্তু গ্রিণকার্ড নিয়েই দেশে ফিরবেন- এমনটাই পণ করেছিলেন। ২৪ বছর পর সেই গ্রিনকার্ড পেয়েই দেশে ফিরে এসেছিলেন রুহুল আমিন। কিন্তু বাড়ি আর পৌঁছাতে পারেননি। তার আগেই মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তার।বাড়িতে গেছে তার নিথর দেহ। দীর্ঘদির পর দেশে ফেরার ব্যাপারে রোমাঞ্চিত ছিলেন রুহুল আমিন। তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন,২৪ বছর পর বাংলাদেশে যাচ্ছি।ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে নিতে এসেছিলেন বাবা-মা ও স্বজনরা। নিজের বাড়ি সিলেটে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান রুহুল। বুধবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পর্দা উঠলো ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার-দৈনিক ইত্তেফাক
পর্দা উঠলো তিনদিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা- ২০২০’র। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় এই মেলার উদ্বোধন করেন। এর ফলে দেশে প্রথমবারের মত ফাইভ জি-এর অভিজ্ঞতা পাবে জনসাধারণ। টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফাইভ জি ডিভাইস প্রদর্শন করবে।এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতি ও উদ্ভাবনকে তুলে ধরা, উপযুক্ত মানবসম্পদ নিশ্চিত করা, জনসাধারণ এবং উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তির মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করা এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রচারাভিযানের অগ্রগতি প্রদর্শন করা।
সম্রাটসহ ৭ বন্দী হাসপাতালে শুয়েবসে জেল খাটছেন-দৈনিক প্রথম আলো
‘বুকে ব্যথা’ নিয়ে ভর্তি হয়ে টানা প্রায় দুই মাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আছেন সাম্প্রতিক ক্যাসিনো–কাণ্ড আর শুদ্ধি অভিযানে আটক যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট।
সম্রাট একা নন। তিনিসহ ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের আলোচিত-সমালোচিত সাত বন্দী এখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়েবসে জেল খাটছেন। এক-দুদিন নয়, তাঁদের হাসপাতালবাসের মেয়াদ নিচে ২ থেকে ওপরে ১১ মাস পর্যন্ত গড়িয়েছে। তাঁরা সবাই গুরুতর বড় বড় মামলার আসামি।কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাঁদের একজন। তবে তাঁর দীর্ঘ অসুস্থতার কথা বহুল আলোচিত।প্রভাবশালী আসামিদের হাসপাতালে কারাবাস অবশ্য নতুন কিছু নয়।একজন কারা চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেছেন, এই সাতজনের তিনজন আসলেই অসুস্থ। তবে বাকি চারজনের অসুস্থতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
- প্রকৃত অসুস্থ দুই-তিনজন
- আমিন হুদাসহ বাকিরা রোগীর সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন
- ওপর মহলের হাত থাকার কথা বলেছেন কারা চিকিৎসক
এক মাস সব কোচিং বন্ধ: শিক্ষামন্ত্রী-দৈনিক যুগান্তর
এক মাস বন্ধ থাকবে সব কোচিং সেন্টার। মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন অংশ নেবে। তার মধ্যে ১০ লাখ ২২ হাজার ৩৩৬ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ জন ছাত্রী রয়েছে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে মাসব্যাপী দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে প্রতিদিন-জুববাংলা অনলাইন
বাংলাদেশের একটি অনলাইন পোর্টাল জুমবাংলা ডট কম পশ্চিমা মিডিয়ার বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদনে লিখেছে, বাংলাদেশের সাবিহা আফরোজ, তিনি স্বামীর সঙ্গে মিলে একটি ট্যুর কোম্পানি পরিচালনা করেন। ব্যবসা কিংবা ব্যক্তিগত কাজে প্রায় প্রতিদিনই তাকে বাড়ির বাইরে বের হতে হয়।
মিসেস আফরোজ বলছেন, যে হারে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনা বাড়ছে তাতে করে প্রতিদিনই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে একরকম টেনশন কাজ করে তার মধ্যে।
“আগে চিন্তা হতো যে, সড়ক দুর্ঘটনা, ছিনতাই বা এরকম কোন সমস্যায় পড়বো কি-না। বেঁচে ফিরবো কি-না। এখন সেরকম কোন চিন্তা মাথায় কাজ করে না। এখন সবার আগে মাথায় এই চিন্তা আসে যে, আমি নিজের সতীত্ব নিয়ে বাসায় ফিরতে পারবো তো?”
‘ব্যাগে কাঁচি নিয়ে বের হই’
সম্ভাব্য যৌন হয়রানি কিংবা এধরণের বিপদ এড়াতে অনেক নারী এখন নিজেরাই বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকেন। এরকমই একজন তামজিন নাইমা। তিনি একজন স্কুলশিক্ষক। নিজেকে নিরাপদ রাখতে তিনি কারাতে শিখেছেন।
“কারাতে আমাকে কনফিডেন্স দিয়েছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমি শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল। ফলে ব্যাগে করে আমি কাঁচি বা এধরণের জিনিস নিয়ে বের হই।” সাবিহা আফরোজও বলছেন একই ধরণের সতর্কতার কথা।
“আমি কোথাও গেলে অনেক কিছু চিন্তা করে বের হই। যেখানে মানুষজন কম, সেখানে থাকি না। অনেক সময় বাসে কম যাত্রী থাকলে উঠি না। এজন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়। এছাড়া সঙ্গে সেফটি পিন রাখি, এন্টি কাটার রাখি কোন বিপদে পড়লে যেন কিছুটা কাজে আসে সেজন্য।”
অভিভাবকদেরও দু:শ্চিন্তা বেড়েছে
বাংলাদেশে শুধু যে নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন, তা নয়। শিশুরাও ধর্ষণ কিংবা যৌন হয়রানির মুখে পড়ছেন। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্যে দেখা যায়, গেলো বছরে শিশু ধর্ষণের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
ফলে অভিভাবকদেরও দু:শ্চিন্তা বেড়েছে। এরকমই একজন ঢাকার নাজমা রশীদ। তার এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলের বয়স ষোলো। আর মেয়ের বয়স তেরো। মিসেস রশীদ বলছেন, ছেলেকে নিয়ে তার ততটা ভাবতে হয় না। যতটা ভাবতে হয় মেয়েকে নিয়ে।
তিনি বলছেন, “আমার ছেলে বাইরে খেলতে যায়। মেয়েকে কোথাও একা যেতে দিই না। সারাক্ষন চোখে চোখে রাখি। কাউকে বিশ্বাস করা যায় না তো।”
“ওর বয়স যখন একবছর হয়, তখন থেকেই ওকে কোন পুরুষ আত্মীয়ের কোলেও দিতাম না। মেয়েকে যেনো নিরাপদে রাখতে পারি, এজন্যই সাত বছর আগে চাকরিটাও ছেড়ে দিয়েছি। এরপরও ভরসা পাই না। সবসময় তো আর নজরে রাখা সম্ভব হয় না”
পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক
নারীরা বলছেন, তাদের মধ্যে যৌন নির্যাতনের শিকার হবার ভয় ঢুকে গেছে। এমনকি শিশুদের ক্ষেত্রেও এ ভয় তাড়া করে ফিরছে অভিভাবকদের। কিন্তু এ ধরণের পরিস্থিতি একটা সমাজের জন্য কতটা স্বাভাবিক?
সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, সাদেকা হালিম বলছেন, এধরণের পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক নয়। “প্রত্যেকটা নারীর নিজস্ব বলয় আছে। বাংলাদেশে জনসংখ্যার পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি নারী। তাদের মধ্যেই আবার প্রায় ৬২ শতাংশ নারী কর্মজীবী। এখন তাদের যদি নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়, রাতে বের হবো কি-না সেটা ভাবতে হয়, তাহলে এটাতো তো তাদের পদে পদে বাধা সৃষ্টি করবে।” তিনি বলছেন, এ ধরণের মানসিক চাপ বা ভীতি নিয়ে ব্যক্তির উপর যেমন প্রভাব ফেলে, তেমনি সেটা সামাজিক অগ্রগতিকেও ব্যহত করে।
এবারে ভারতের কয়েকটি খবর:
সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে মার্কিন মডেল অনুসরণ করতে চান রাওয়াত-দৈনিক আজকাল
সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হলে আমেরিকার দেখানো পথেই হাঁটতে হবে। স্পষ্ট বললেন তিন বাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত। তাঁর কথায় ‘কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসে ক্রমাগত মদত জুগিয়ে যাচ্ছে।৯/১১–এর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে সন্ত্রাসকে খতম করেছে, একমাত্র সেই পথে হেঁটেই সন্ত্রাসকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলা সম্ভব।’ বৃহস্পতিবার নাম না করেই পাকিস্তানকে একহাত নেন বিপিন রাওয়াত। সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক দেশকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পক্ষেও জোরালো সওয়াল করলেন তিনি।
সাধারণতন্ত্র দিবসে হামলার ছক, পুলওয়ামার আপেল বাগানে বৈঠক জঙ্গিদের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
সাধারণতন্ত্র দিবসে ফের নাশকতার ছক। দেশকে রক্তাক্ত করার পরিকল্পনা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের। ইতিমধ্যে পুলওয়ামার একটি আপেল বাগানে গোপন বৈঠকও সেরে ফেলেছে জেহাদিরা। এক রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর খবর দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।সাধারণতন্ত্র দিবসে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে জইশ, লস্কর-সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠন। শুধু রাজধানী দিল্লি নয়, জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে জম্মু, শ্রীনগরের সেনাঘাঁটি-সহ ভারতের একাধিক শহর।
বিক্ষোভের যোগবিয়োগ-জাতীয় রাজনীতির পাশে আগামী বিধানসভা ভোটের হিসেব-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
নিজের দলের হাতে থাকা রাজ্য অসমে যেতে পারেননি নরেন্দ্র মোদী। বিক্ষোভের ভয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিজেপি-শাসিত অসম সফর বাতিল করতে হয়েছে। সেখানে তাঁর নিজের দলের সরকারই তাঁর উপযুক্ত নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে পারেনি। কিন্তু কলকাতা ভ্রমণে মোদীকে কোথাও বাধা পেতে হয়নি। জল-স্থল-অন্তরিক্ষ ঘুরে ঘুরে তিনি নিজের কর্মসূচি পূর্ণ করতে পেরেছেন। এমনকি, বেলুড় মঠ এবং কলকাতা বন্দরের সরকারি মঞ্চ ব্যবহার করে রাজনীতিও করে গিয়েছেন পুরোমাত্রায়।
মোদীর সফর মসৃণ থাকার জন্য রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী যা করেছেন, সেটা তাঁর যোগ্য কাজ। যাকে বলে, সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা। দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন কোনও রাজ্যে সরকারি সফরে যান, তখন তিনি কোন দলের সেটা বিচার্য হয় না। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কর্তব্য হয়, প্রধানমন্ত্রী পদাধিকারী ব্যক্তির নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্নে সকল কর্মসূচি পালনের বন্দোবস্ত নিশ্চিত করা। বাংলার সরকার সেটাই করেছে।সন্দেহ নেই, বিক্ষোভকারীদের নাগাল বাঁচিয়ে মোদী কোনওক্রমে তাঁর ‘কার্যসিদ্ধি’ করে উড়ে যেতে পারলেও তাঁর এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষের আঁচ থেকে বাঁচতে পারেননি। বস্তুত ‘গো ব্যাক মোদী’ স্লোগান দিয়ে কলকাতা যে ভাবে বিক্ষোভের প্লাবন দেখাল, দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যে ভাবে সেই অসম্মানের বার্তা পেতে হল, তাতে জল মাপতে ভুল হওয়ার কথা নয়!#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৬