মার্চ ২৫, ২০২০ ১৭:৪৫ Asia/Dhaka

গত কয়েকটি পর্বে আমরা ইরানে রমজান মাসের কিছু বিশেষ খাবার সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আজকের পর্বে আমরা ইরানে পবিত্র রমজান ও শবে কদরের সংস্কৃতির সাথে খানিকটা পরিচিত হবো।

রমজান এমন একটি মাস, যে মাসে মুসলমানরা মহান আল্লাহর আতিথ্য গ্রহণ করার সুযোগ পায়। রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের মাস রমজান খোদাভীরু মানুষকে আল্লাহর আরো নিকটে পৌঁছে দেয়ার সুযোগ এনে দেয়। পবিত্র এ মাসে মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ন হয়। যে রাতে কোরআন নাজিল হয়, সে রাতের নাম লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকের কোন এক বিজোড় রাতে শবে কদরের অবস্থান। এই রাতে ইবাদত বন্দেগি'র বহুগুণ পুরস্কার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। এ কারণে বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মুসলমানদের মতো ইরানের মুসলিম জাতি শবে কদরের রাতে কোরআন তেলাওয়াতসহ নানা ধরনের নফল ইবাদতে মগ্ন হয়। এ রাতে ইরানের মসজিদগুলো মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। নানা ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয় মসজিদগুলোতে। ইরানে অধ্যয়নরত বিদেশী ছাত্র মোহাম্মাদ তার ইরানি বন্ধু রমিনের সাথে সেরকম একটি অনুষ্ঠানে যাবে আজ। তাদের কথোপকথোন শোনার আগে চলুন ফার্সি শব্দগুলোর অর্থ জেনে নেয়া যাক।

  ماه - رمضان - حتی - متفاوت - درست می گویی - مردم - دیگر - امور - معنوی - جالب اینکه - روزها - گرم - طولانی - تابستان - صبح - شب - خوردن - آشامیدن - آنها پرهیز می کنند - پاسخ - دعوت - خداوند - شیرین - دلپذیر - انس - قرآن - هر روز - مساجد - تلاوت - من نمی دانم - پایان - کل - هر قدر - خوب - امشب - دانشگاه - مراسم - شب قدر - البته - هر سال - کدام - برنامه - حتماً - دعا ، شب زنده داری - برایت 

মাস - রমজান - এমনকি - বিভিন্ন - ঠিক বলেছ - জনগণ বা মানুষ - আরো - বিষয় - আধ্যাত্মিক - বিস্ময় বা মজার ব্যাপার হলো - দিনগুলো - গরম - দীর্ঘ - গ্রীষ্মকাল -সকাল - রাত - খাওয়া - পান করা - তারা বিরত থাকে - জবাব - দাওয়াত বা আমন্ত্রণ - মহান আল্লাহ - মিষ্টি - হৃদয়গ্রাহী - ঘনিষ্ঠতা - কোরআন - প্রতিদিন -মসজিদগুলো - তেলাওয়াত - আমি জানি না - শেষ - সব - যতখানি - ভালো - আজ রাত - বিশ্ববিদ্যালয় - অনুষ্ঠান - শবে কদর বা কদরের রাত - অবশ্য - প্রতি বছর - কোনটি - কর্মসূচি - অবশ্যই - দোয়া - রাত জেগে ইবাদত করা - তোমার জন্য -

ফার্সি শব্দগুলোর অর্থ জেনে নেয়া গেল । এবারে চলুন দেখা যাক, রমিন ও মোহাম্মাদ পবিত্র রমজান মাস ও শবে কদর সম্পর্কে কী কথা বলছে।

محمد - ماه رمضان را خیلی دوست دارم . حتی میهمانی های این ماه با ماههای دیگر متفاوت است .رامین - درست می گویی . در این ماه مردم بیش از ماههای دیگر به امور معنوی روی می آورند .محمد - جالب اینکه مردم حتي در روزهاي گرم و طولانی تابستان روزه مي گيرند و از صبح تا شب از خوردن و آشامیدن پرهیز می کنند .رامین - پاسخ به دعوت خداوند ، شيرين و دلپذیر است . مردم براي انس بيشتر با قرآن ، هر روز در مساجد به تلاوت قرآن می پردازند .محمد - من هم قرآن می خوانم . اما نمی دانم که تا پایان رمضان می توانم کل قرآن را تمام کنم یا نه ؟رامین - هر قدر که قرآن بخوانی خوب است .محمد - امشب در مسجد دانشگاه ، مراسم شب قدر برگزار می شود . آیا تو هم در این مراسم شرکت می کنی ؟رامین - البته . من هر سال در مراسم شب قدر شرکت می کنم .محمد - به کدام مسجد می روی ؟رامین - من به مسجد محل مان می روم . برنامه خوبی در آنجا برگزار می شود .محمد - پس من هم با تو در آن مراسم شرکت می کنم .رامین - خوب است . حتماً مراسم دعا و شب زنده داری آنجا برایت جالب خواهد بود .

মোহাম্মাদ : আমি রমজান মাসকে ভীষণ পছন্দ করি। এমনকি এ মাসের আপ্যায়ন পর্বগুলিও অন্যান্য মাসের থেকে ভিন্ন ধরনের হয়।রমিন : ঠিক বলেছ। মানুষ অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করে।মোহাম্মাদ : বিস্ময়ের ব্যাপার হলো- গ্রীষ্মের লম্বা দিনে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও মানুষ রোজা রাখে এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকে।রমিন : মহান আল্লাহর আমন্ত্রণে সাড়া দেয়ার বিষয়টি অত্যন্ত সুখকর ও হৃদয়গ্রাহী। কোরআনের সাথে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির জন্য মানুষ প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করে।মোহাম্মাদ : আমিও কোরআন পড়ি। তবে জানি না, রমজানের শেষ নাগাদ পুরো কোরআন শেষ করতে পারবো কি না?রমিন : তুমি যত কোরআন পড়তে পারো, ততই মঙ্গল।মোহাম্মাদ : আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে শবে কদরের অনুষ্ঠান হবে। তুমি কি এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে?রমিন : অবশ্যই। আমি প্রতি বছর শবে কদরের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি।মোহাম্মাদ : তুমি কোন মসজিদে যাবে?রমিন : আমি আমাদের মহল্লার মসজিদে যাবো। সেখানে খুব চমৎকার অনুষ্ঠান হয়।মোহাম্মাদ : তাহলে আমিও তোমার সাথে ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেবো।রমিন : ভালো। নিশ্চয়ই সেখানকার দোয়া ও রাত জেগে ইবাদত তোমার কাছে ভালো লাগবে।

পবিত্র রমজান মাসে ইরানে ভাবগম্ভীর আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিরাজ করে। মসজিদগুলো মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে শবে কদরের রাতে মসজিদগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। এ রাতে মোহাম্মাদ ও রমিন একত্রে রমিনদের মহল্লার মসজিদ যায়। শবে কদরের রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে এবং এ রাতে ফেরেশতারা ভূপৃষ্ঠের অধিবাসীদের ওপর সালাম ও শুভাশীষ বর্ষণ করে। ফজরের আজান পর্যন্ত মসজিদের ইবাদত বন্দেগি চলে। মোহাম্মাদ ও রমিন তখন পর্যন্ত মসজিদে থেকে ইবাদত ও দোয়ার অনুষ্ঠানগুলিতে অংশ নেয়। ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে তারা আল্লাহর রহমত ও মাগফেরাত লাভের আশা নিয়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসে। ফজরের আজানের আগে তারা যথারীতি সেহরি খেয়ে নেয়।#

পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/মো.আবুসাঈদ/২৫

ট্যাগ