মার্চ ২৯, ২০২০ ১৬:১৫ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৯ মার্চ রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ‘করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলে কি আমরা খুশি হই?’ -দৈনিক প্রথম আলো
  • গুজবে কান না দিতে জনগণের প্রতি ওবায়দুল কাদেরের আহ্বান-দৈনিক ইত্তেফাক
  • মানুষ মরছে বেশুমার-দৈনিক মানবজমিন
  • করোনাভাইরাস: সাড়ে ৬ কোটি টাকা ও ১৩ হাজার টন চাল বরাদ্দ -দৈনিক যুগান্তর
  • আরও ভয়াবহ হবে করোনা পরিস্থিতি: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • শের-ই-বাংলা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে নারীসহ ২ জনের মৃত্যু-দৈনিক সমকাল

ভারতের শিরোনাম:    

  • দেশে হাজার ছুঁতে চলল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু ২৫ জনের -দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ২১ দিন যথেষ্ট নয়, করোনা রুখতে বাড়াতে হবে লকডাউন’, বলছে গবেষণা-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • পরিযায়ী শ্রমিকদের খাওয়া–থাকার ব্যবস্থা করলেন কেজরিওয়াল, মমতার চিঠিতে সাড়া দিয়ে উদ্যোগ -দৈনিক আজকাল

পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

প্রথমেই বাংলাদেশের কয়েকটি খবরের দিকে নজর দেব। বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্ব মিডিয়ায় করোনাভাইরাসের আপডেট খবর বিশেষ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে। একনজরে সেসব খবর দেখে নেয়া যাক।

বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি

বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি-দৈনিক যুগান্তর লিখেছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা-৬,৬৪,৬৭২ জন, মৃতের সংখ্যা-৩০৮৯২ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ১,৪২,৩৬৮ জন।

বাংলাদেশে গত দুদিনে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে আইইডিআর- এখবরটি সমকালসহ প্রায় সব দৈনিকে এসেছে। দৈনিক সমকাল লিখেছে, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক যুগান্তর লিখেছে, গুজবে কান না দিতে জনগণের প্রতি ওবায়দুল কাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনা সম্পর্কে দৈনিক ইত্তেফাকের কযেকটি খবর- ইতালি সম্পর্কে দৈনিকটি লিখেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত ইতালি। দীর্ঘদিনের লকডাউন সত্ত্বেও করোনায় দেশটিতে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ৯২ হাজারের বেশি। শুক্রবার দেশটিতে ৯১৯ জনের প্রাণহানির পর শনিবার ৮৮৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা ঠেকাতে শিগগিরই নিউইয়র্ককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে (লকডাউন) নেয়া হবে।দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা চীনকে ছাপিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় সময় শনিবার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান ট্রাম্প।  করোনাভাইরাস সংকট আরও ভয়াবহ হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যুক্তরাজ্যের সব বাড়িতে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে এ হুঁশিয়ারি জানান তিনি

করোনায় বেকারত্বের ঝুঁকি: অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে হবে-দৈনিক যুগান্তর

বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশজুড়ে এক ধরনের লকডাউন চলছে। প্রায় সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

এমনকি গৃহকর্মী, ভিক্ষুক ও দিনমজুরদের আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থা যত দীর্ঘায়িত হবে, ততই তাদের ভোগান্তি বাড়বে। এমনকি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অনেকেই আবার কাজ ফিরে পাবেন কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মানুষের চাকরি চলে যাওয়ার খবর পত্রপত্রিকায় এসেছে এবং কর্ম হারানো মানুষের এ সারি দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

এ অবস্থায় সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সুরক্ষায় বিশেষ তহবিল গঠন ও নগদ অর্থ সহায়তার ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছেন অর্থনীতিবিদরা। আমরা মনে করি, আপৎকালীন হিসেবে এমন উদ্যোগের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাও নেয়া প্রয়োজন। তা না হলে সামগ্রিক অর্থনীতিকেই বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে। কারণ আমাদের শ্রমশক্তির বেশির ভাগই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এবং এ কারণে তারা শ্রম অধিকার থেকেও বঞ্চিত।বিবিএসের সর্বশেষ জরিপে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ৫ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ১ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার মহিলা এবং ৩ কোটি ৪৬ লাখ ১৩ হাজার পুরুষ উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে শহর ও গ্রামকেন্দ্রিক তথ্য বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিভাগওয়ারি অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে। সরকার এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে বিভাগ অনুযায়ী আলাদা আলাদা ব্যবস্থা নিতে পারে।

দুর্যোগ ও মহামারী ইত্যাদিতে যারা বেশি বিপদে পড়েন তারা হলেন প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ, অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিযুক্ত শ্রমিক। বিপদে, দুর্যোগে মানুষকে রক্ষায় তাদেরই এগিয়ে আসার নজির বেশি। এমনকি বর্তমানে সরকার ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করে না দিলে প্রয়োজনে এ মানুষদেরই দেখা যেত অন্যের সহায়তায় এগিয়ে আসতে।

অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধের সময় খেটে খাওয়া মানুষ, অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক ও প্রান্তিক কর্মীদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। সরকারের বিশেষ তহবিল ও নগদ সহায়তা ঘোষণার পাশাপাশি প্রতিটি ক্ষেত্রের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসতে হবে সহায়তার হাত নিয়ে। জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের

মানুষ মরছে বেশুমার-দৈনিক মানবজমিন

হিংসা নেই। বিদ্বেষ নেই। হানাহানিও নেই। বারুদের গন্ধও নেই। কামানের গোলার শব্দও নেই। নেই বোমারু বিমানের অ্যাকশন। তবুও মানুষ মরছে বেশুমার। ঘুম নেই কারও চোখে।

সবাই এখন ক্ষমতাহীন। যাদের ইশারা-ইঙ্গিতে দুনিয়া কাঁপতো তারাও এখন ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি করছেন। সবাই বাঁচার তাগিদে। এক অদৃশ্য ভাইরাস দুনিয়াকে বদলে দিয়েছে। কারফিউ’র জায়গা দখল করেছে লকডাউন। এতে আরও লেখা হয়েছে, এই ভাইরাস মানবতাকে বিপন্ন করে দিয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে।কাউকে দোষারোপ করে বলছি না। কোথায় যেন ভুল হচ্ছে। এই ভাইরাস কারও সৃষ্টি নয়। তাই মনে হয় সত্যটা বলতে হবে। মানুষ যদি বাস্তব অবস্থা না জানতে পারে তখন বিপদ হবে আরও বেশি। সত্য গোপনের পরিণতি ভাল হয় না। বগুড়ায় একজন মানুষের দাফন নিয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হল তা বোধ করি খোলাসা করে বলার দরকার নেই। মানুষ এখানে অসহায়। সরকার কি সবকিছু করতে পারবে? সরকার সময়ে সঠিক দিক নির্দেশনা দেবে এটিই মানুষের চাওয়া। এই মুহুর্তে খালি চোখে বড় সঙ্কট না দেখলেও বড় সঙ্কট কিন্তু সামনে। দেশে দেশে অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। আমরা এর বাইরে নই। ঝড়ো হাওয়া আসেনি। দমকা হাওয়ায় অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে। এই সময়ে ভুল কৌশল পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।

মানবিকতা দেখাতে গিয়ে  বিদেশ ফেরৎ বাংলাদেশীদের আমরা পর্যবেক্ষণেই রাখিনি। কেউ বলবে না ওদের আসতে দেবো না। নিজ মাতৃভূমিতে তারা আসবে। কিন্তু ‘স্বেচ্ছাবন্দি’ থাকতে আমরা শুরুর দিকে পরামর্শও দেইনি। বরং ভাইরাসমুক্ত সার্টিফিকেট দিয়েছি। এটা ছিল ভুল। এই ভুলের মাসুল যেন আমাদের আর দিতে না হয়।বলা হচ্ছে সত্য বললে নাকি মানুষ আতঙ্কিত হবে। অঘোষিত লকডাউনে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ঢাকা ছেড়েছেন। ফেরি ঘাটে লাখো মানুষের ভিড় আর আকুতির ছবি আমরা দেখেছি। লকডাউন মানে লকডাউন করতে হবে। হোটেল রেস্তোঁরা খোলা রেখে লকডাউন পৃথিবীর কোথায় আছে? পশ্চিমা দুনিয়ায় মদের দোকানও বন্ধ। যারা খাদ্যের চেয়ে মদকে ভালবাসে বেশি। তাছাড়া হোটেল রেস্তোঁরাগুলো কি করোনা মুক্ত? অতি মানবিকতা আমাদের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। জাতিসংঘের ফাঁস হওয়া রিপোর্টে ভয়ঙ্কর চিত্র ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশকে এখান থেকে বার্তা নিতে হবে। জাতিসংঘের অনুমান কতোটা সত্য জানি না। মনে-প্রাণে চাই এটা যেন মিথ্যে হয়। বিদেশি কূটনীতিকদের দলে দলে ঢাকা ছাড়ার খবরে চিন্তার ভাঁজ কপালে। ৪৮ জন আক্রান্তের দেশ ছেড়ে তারা কেন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর দেশে ফিরছেন তা বুঝতে পারি না।

শেষ কথা-নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিখ্যাত উক্তি-‘দুর্ভিক্ষ থামাতে পারে গণতন্ত্র আর মুক্ত  সংবাদ মাধ্যম’। দেশে দেশে তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের-দৈনিক যুগান্তর

দেশে চলমান পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় করোনা পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের গুজবে কান না দিতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।সেতুমন্ত্রী বলেন, অতীত ইতিহাস থেকে লক্ষ্য করা যায়, এদেশের জনগণ সবসময় ধৈর্য্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে। কোনো দুর্যোগের কাছেই তারা পরাজিত হয়নি। আপনারা কোনো প্রকার গুজবে কান দেবেন না।

ব‌রিশা‌লে দুই সাংবাদিককে পেটানোর ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য ক্লোজড-দৈনিক মানবজমিন

বরিশালে করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত সরকারি প্রচারণার ছবি তুলতে গিয়ে স্থানীয় পত্রিকার ২ ফটো সাংবাদিককে পেটানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির তিন সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার।

এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি

দেশে হাজার ছুঁতে চলল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু ২৫ জনের-দৈনিক আনন্দবাজার

শনিবারই দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা নশো পেরিয়ে গিয়েছিল। রবিবার তা পৌঁছে গেল হাজারের কাছাকাছি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। শনিবার থেকে এ দিন সকাল পর্যন্ত, এক দিনে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১৮। 

এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে মোট ১৮৫ জন করোনায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইও জারি রয়েছে। গোটা দেশে ইতিমধ্যে মোট ৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

২১ দিন যথেষ্ট নয়, করোনা রুখতে বাড়াতে হবে লকডাউন’, বলছে গবেষণা-দৈনিক  সংবাদ প্রতিদিন

করোনা ভাইরাস (COVID-19) রুখতে মাত্র ২১ দিনের লকডাউন যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন অন্তত মাস দুয়েকের নিষেধাজ্ঞা। তাহলেই করোনার বৃদ্ধিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। এমনটাই মনে করছে দেশের দুই গবেষণা সংস্থা।গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন (lockdown) ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরে বসে থাকা এবং সামাজিক দূরত্বই করোনাভাইরাস আটকানোর একমাত্র পন্থা। শুধু ভারত নয় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এই ভাইরাস আটকাতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইনস্টিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স ও ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ নামের চেন্নাইয়ের দুই সংস্থা বলছে, করোনা রুখতে লকডাউন কার্যকারী পন্থা বটে, কিন্তু মাত্র ২১ দিনে কাজ হবে না। অন্তত মাস দুয়েক গোটা দেশকে বন্দিদশায় রাখতে হবে। কার শরীরে সংক্রমণ হয়েছে, বা হতে পারে তা মাত্র ২১ দিনে বোঝা সম্ভব নয়। কারণ অনেক সময় সুপ্ত অবস্থায় থাকছে করোনার উপসর্গ। সেক্ষেত্রে কোনও বাহক যদি অবাধে ঘরাফেরা করে ভারতের মতো জনবহুল দেশে তা বিপজ্জনক হতে পারে।

লকডাউন ভেঙে হাজার হাজার শ্রমিকের ভিড়, বিপদঘণ্টা বাজাচ্ছে দিল্লির এই ছবি-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন। দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, আরও ৫ জনের শরীরে মিলল COVID-19, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ছে উদ্বেগ।

মহামারির কোপে সর্বস্ব খুইয়েছেন। না আছে কাজ, না অর্থের সংস্থান। লকডাউনের সময় কারও সাহায্য পাওয়ার প্রত্যাশাও নেই। খাদ্যাভাবে অনেকেই পায়ে হেঁটে ২০০-২৫০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। অনেকেই আটকে ছিলেন রাজধানীর বুকে। অনাহারে বা অর্ধাহারে কাটছিল দিন। উত্তরপ্রদেশ সরকার এই পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant workers) জন্য এক হাজার বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নিতেই ওরা যেন প্রান ফিরে পেলেন। বাড়ি ফিরে প্রিয়জনকে দেখার সাধ, পেটপুরে একবেলা খাওয়ার ইচ্ছা, স্বাস্থ্য সচেতনতার বিধি-নিষেধ অমান্য করতে বাধ্য করল ওদের।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করতেই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এদের জীবন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিল্লির বাসস্ট্যান্ডের এই ছবি শুধু বিপজ্জনক নয়, রীতিমতো উদ্বেগের। এই শ্রমিকরা রাজধানী দিল্লি ও তৎসংলগ্ন এলাকায় কাজ করতেন। এই এলাকাগুলিতে বহু করোনা রোগী ধরা পড়েছে।

দৈনিক আজকাল লিখেছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের খাওয়া–থাকার ব্যবস্থা করলেন কেজরিওয়াল, মমতার চিঠিতে সাড়া দিয়ে উদ্যোগ এ উদ্যোগ নিলেন তিনি।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৯