এপ্রিল ১৬, ২০২০ ১৭:১৭ Asia/Dhaka

ক. বন্ধুরা,অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিন। আশা করছি আপনারা যে যেখানে বসেই অনুষ্ঠান শুনছেন না কেন সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। অন্য সব আসরের মতো আজও আমরা শুরুতেই একটি হাদিস শোনাবো।

ইমাম বাকির (আ.)  বলেন:  যে ব্যক্তির বাহ্যিক রূপ ও অবস্থা তার আত্মিক রূপ ও অবস্থার চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে কিয়ামত দিবসে তার আমলগুলোর ওজন হালকা হবে। অর্থাৎ আত্মশুদ্ধি না করে লোক দেখানো নেক আমল বা ভালো কাজ কিয়ামতের দিন তেমন কোনো কাজে আসবে না।

খ. দেখুন, এ বাণী হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে এবং মনে প্রাণে মানার চেষ্টা করতে হবে। এ চেষ্টার মধ্য দিয়েই ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সাফল্য আসবে আমাদের গোটা জীবনে। আসুন আমরা সবাই এ চেষ্টা করি।

ক. বন্ধুরা আজকের আসরে প্রথমেই হাতে তুলে নিয়েছি যে চিঠি তা এসেছে বাংলাদেশ থেকে। ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে এটি লিখেছেন, মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। তিনি লিখেছেন, আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনাদের নিয়মিত শ্রোতা। এছাড়া ফেইসবুক পাতা এবং ওয়েবসাইটের পাঠক। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখ রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পাতায় "হিজাব খুলতে বলায় স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যান করলেন ভারতের এক সেরা ছাত্রী" শীর্ষক খবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ভারতের পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিষয়ে মার্স্টার্সে সর্বোচ্চ নম্বরের অধিকারী রাবিহা আব্দুরেহিমকে হিজাবের কারণে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। সমাবর্তনে যোগ দিতে হলে হিজাব খুলে আসতে হবে,এমন শর্ত দেওয়ায় তিনি স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যান করে শুধু সার্টিফিকেট নিয়েই বাসায় চলে যান।

খ. ভাই জিল্লুর রহমান আরো লিখেছেন, প্রতিবেদনটি পড়ে সেটি আমি আমার ফেইসবুক পাতায় আপলোড করি কিন্তু আপলোড করার পর সেটি বেশ অভূতপূর্ব সাড়া ফেলে দেয় এবং এ চিঠি প্রেরণকালীন সময় পর্যন্ত ২০১ জন শেয়ার করেছে। আমি লক্ষ্য করেছি,রেডিও তেহরানের ফেইসবুক থেকেও ৪৪৫ জন শেয়ার করেছে। আসলে হীরের টুকরো ঈমানের কাছে তুচ্ছ স্বর্ণপদক কিছুই না। রাবিহা আব্দুরেহিমকে তার এ সাহসী ও প্রশংসনীয় সিদ্ধান্তের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।

বহলুল: রাবিহাকে শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানানোর মধ্য দিয়ে আপনি নিজের হিরের টুকরা ঈমানের পরিচয় তুলে ধরেছেন।

খ. সত্যিই বহলুল ভাই আমাদের নিয়মিত পাঠক ও শ্রোতা ভাই জিল্লুর রহমান সম্পর্কে ঠিক কথাই বলেছেন আপনি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ভবিষ্যতে আরও চিঠি দেবেন।

ক. এবারে একটি মজার আলোচনা শুনি। বহলুল ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের এক প্রিয় বন্ধুর আলোচনার ঘটনা এটি। ....

খ.ইখতিয়ার নামের বন্ধুকে ইফতেখার বলায় এ মজাটা হলো। এ ভাইয়ের নামকরণের কারণও জানতে পারলাম। ভালোই লাগল। হ্যাঁ আপনি জীবনের সব অবস্থানে বিজয়ী হন এ কামনা করছি।  তা ভাই এবারে আপনার পুরো পরিচয় দিন.

ক. তা ভাই ইখতিয়ার আপনি কিভাবে রেডিও তেহরান শোনা শুরু করেছেন সে কথা এবারে বলবেন কি?...

খ. ঠিকই বলেছেন ইখতিয়ারের মতো শ্রোতা ভাইয়েরা রেডিও তেহরানের বড় সম্পদ। এতোক্ষণ বাংলাদেশের শ্রোতা ভাই ইখতিয়ারের কথা শুনছিলেন। ভবিষ্যতে তার কথা আবার শুনবো। পাশাপাশি শুনবো আপনাদের কথাও। ....

বহলুল: এবারে রেডিও তেহরানের ফেসবুক গ্রুপ এবং রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটের খবরে পাঠক বন্ধুরা যে সব মন্তব্য করেছেন সে দিকে নজর দেবো।

ক.না বহলুল ভাই আপনি নন,আমি নজর দিয়েই রেখেছি। হ্যাঁ উসকানি: ইরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কয়েক ঘণ্টার জন্য আটক শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখে। ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে অন্যতম মন্তব্য হলো প্রতিটি দেশ ও জাতিকে নিরাপদ রাখতে ওদের নজরদারীতে রাখা উচিত। আর এ মন্তব্য করেছেন পাঠক ভাই মো আজহার রুবেল।

বহলুল: একে হক কথা বলা ছাড়া আর কিছু বলার নেই।

খ. এদিকে সোলাইমানিকে হত্যা করে বিশ্বকে অনিরাপদ করে তুলেছে আমেরিকা শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১১ জানুয়ারি। এ খবরে বেশ কয়েকটি মন্তব্য হয়েছে সে কথা সবাই বুঝতে পারছেন।

ক. এর মধ্যে শহিদ আহম্মেদ রেডিও তেহরানের ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে লিখেছেন, জীবিত সোলাইমানির চেয়ে মৃত সোলাইমানি যে বেশি ভয়ংকর হবে তা আমেরিকা বুঝতে পারেনি। এ মন্তব্যকে অনবদ্য কমেন্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন আল ফাহিম সরদার। আর শহিদুল ইসলাম লিখেছেন সদা সদ্য কথা!

বহলুল: ব্যাস! কথার ভাণ্ডার আর খুলতে হবে না। অল্পতেই কর্ম কাবার।

খ. সবমিলিয়ে চমৎকার। মন্তব্যকারী বন্ধুরা আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। এদিকে আসরের সময় শেষ হয়ে এসেছে।

বহলুল: দ্রুত সময় শেষ হয়ে এলো বলে মনে হচ্ছে!

ক. মাঝে মাঝে তাই মনে হয়। তা যাই হোক একেবারে সঠিক সময়ে এসে আসর শেষ করার কথা মনে করিয়ে দেয়া হলো। এবারে বিদায় নিতে হবে। আসরে এতোক্ষণ সঙ্গ দেয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে আবারও বুকভরা শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রিয়জনের আসর থেকে আজকের মতো এখানেই বিদায় চাইছি।

খ. আবার কথা হবে আগামী আসরে।#

ট্যাগ