এপ্রিল ২০, ২০২০ ২১:৩৭ Asia/Dhaka
  • প্রিয়জন: “ভীষণ ভালো লাগে আপনাদের প্রতিদিনের অনুষ্ঠান”

ক. বন্ধুরা,একরাশ প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিন। আশা করছি বাংলাদেশ ও ভারতসহ পৃথিবীর যে প্রান্তে বসেই আমাদের অনুষ্ঠান শুনছেন না কেন সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।

শুরুতেই যথারীতি একটি হাদিস। ইমাম রেজা (আ.) বলেছেন,বিপদাপদে ধৈর্য ধরা একটি সুন্দর গুণ ও বৈশিষ্ট্য। আর এর চেয়েও উত্তম হচ্ছে হারাম বিষয়াদির বিপরীতে ধৈর্যধারণ করা। অর্থাৎ ধৈর্য সহকারে হারামগুলো থেকে দূরে থাকা এবং সেগুলো বর্জন করা। সব হারাম বর্জন ও পরিহার করা ফরয তথা অপরিহার্য ও জরুরি।

খ. জীবনে চলতে গেলে অর্থ ছাড়া সুন্দর জীবন যাপন সম্ভব নয়। এ কথা সবাই স্বীকার করবেন। কিন্তু সত্য ও সুন্দরের পথে না চললে পৃথিবীর সকল অর্থ দিয়েও জীবনকে সুখ এবং অর্থময় করে তোলা যায় না। পাওয়া যায় না পারলৌকিক অনাবিল শান্তি,অমলিন সুখ। আর এ বাণীতে উল্লেখিত পথ চলার মাধ্যমেই কেবল সে শান্তি পেতে পারি আমরা। আসুন আমরা সবাই সর্ব অবস্থায় ধৈর্য ধরার চেষ্টা করি।

ক. আসরের প্রথম ইমেইলটি এসেছে বাংলাদেশ থেকে। নওগাঁ জেলার সান্তাহারের সাহাপুর কে পাড়া থেকে সেখানকার সোর্স অফ নলেজ ক্লাবের সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম পাঠিয়েছেন এ চিঠি। তিনি ইংরেজি নববর্ষে রেডিও তেহরানের কাছে তার প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন এ চিঠিতে। ভাই রফিকুল ইসলাম লিখেছেন,আমার সকল ক্লাব সদস্য,পাড়া প্রতিবেশী,বন্ধুমহল,আত্মীয় স্বজন এক কথায় সবাই রেডিও তেহরানের একনিষ্ঠ ও গুণমুগ্ধ শ্রোতা।  ভীষণ ভালো লাগে আপনাদের প্রতিদিনের বাংলা বেতার অনুষ্ঠান। এ ছাড়া,আমরা আপনাদের ওয়েব সাইট,ফেসবুক পেজ সব কিছুই নিয়মিত ভিজিট করি। খুব ভালো লাগে আমাদের এ সব। আমাদের এলাকার যুব সমাজের মাঝে আপনাদের বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শোনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সব সময় বুঝিয়ে থাকি। এতে করে অনেকেই আপনাদের বেতারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

ক.এরপর তিনি প্রশ্ন করেছেন,ইরানের জনগণ দুপুরের খাবারে প্রধানত কি খেয়ে থাকেন? ইরানের মানুষ কি সালাদ খান?

 বহলুল: খাওয়ার কথা শুনলেই আমার ভালো লাগে। প্রথম প্রশ্নের জবাব না হয় আমিই দেই।  সাধারণত ইরানের মানুষ দুপুরে ভাত খেয়ে থাকেন। সাথে রুটিও থাকে। ইরানিরা মোরগ এবং গোশত বেশি খান।

খ. ইরানে সালাদ খাওয়ার চল আছে। ব্যাপক পরিমাণে সালাদ খেয়ে থাকেন ইরানিরা।

বহলুল: ইরানে অনেক রকম কাবাব পাওয়া যায়। এ সব কাবাবের সঙ্গে কাঁচা মরিচ পুড়িয়ে দেয়া হতে। ইরানে আসার আগে কখনও কাঁচা পোড়া খাইনি। কিন্তু এটি খেতে খুবই মজার। খেয়ে দেখতে পারেন। আর হ্যাঁ ধন্যবাদ ভাই খোন্দকার রফিকুল ইসলাম।

ক. ভবিষ্যতে আপনার এবং আপনার ক্লাবের সদস্যদের চিঠি পাওয়ার প্রত্যাশা করছি।

বহলুল. এবারে কথা বলবো ইরান বসবাসরত বাংলাদেশি এক ভাইয়ের সঙ্গে। ...

খ. জ্বি এরপর তিনি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন...

ক. এখানেই থেমে যান নি ভাই আশেক। এবারে কাসেম সোলাইমানির নজিরবিহীন জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গে কথা বলেন।...

খ.ইরানের পবিত্র নগরী কোমে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র ভাই আশিকুর রহমানের কথা শুনছিলাম এতোক্ষণ। ধন্যবাদ ভাই আশেক।....

বহলুল: এবারে বরং নজর দেয়া হোক রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটের খবরে যেসব মন্তব্য হয়েছে সেদিকে।

ক. আমি তাই তৈরি হয়েই আছি। হ্যাঁ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করলেন আইআরজিসি প্রধান-শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। এ খবরে বলা হয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ভুলবশত ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।  তিনি বলেছেন,জীবনে তিনি কখনো এতটা লজ্জা অনুভব করেননি।

খ.রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ খবরে পাঠক বন্ধু হোসাইন লিখেছেন,উত্তেজনা সৃষ্টিকারীদের ভুলে যাওয়া চলবে না যে,জেনারেল সালামি একজন মহান এবং সাহসী ব্যক্তিত্ব। যুদ্ধকালীন সময় হওয়ায় তিনি কিছু গোপন করেছিলেন। 

বহলুল: চমৎকার মন্তব্য। দেখুন এর পরের খবরটি বিজ্ঞান ক্ষেত্রে উন্নতি নিয়ে তাই না?

ক. জ্বি ঠিকই বলেছেন। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বৈজ্ঞানিক গবেষণার শতকরা ২২ ভাগ ইরানে হয় শীর্ষক খবরটিও প্রকাশিত হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। এ খবরে বলা হয়েছে,মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান একাই শতকরা ২২ ভাগ বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করছে। এ কথা জানিয়েছেন ইরানের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রেজা মালেকযাদেহ।

বহলুল: একা ইরানই ২২ ভাগ! চমকে ওঠার এবং আশাবাদী হওয়ার মতো বিষয়।

খ. হ্যাঁ এ খবরে পাঠকবন্ধু মানিক আবেদিন লিখেছেন,আলহামদুল্লিলাহ! মহান আল্লাহ ইরানকে বিশ্বে অপরাজেয় শক্তিতে পরিণত করুন।

বহলুল: আজকের যুগে এটাই বিশ্বের মানুষের মনের কথা! এদিকে সময় কিন্তু শেষ হয়ে এসেছে।

খ. হ্যাঁ বন্ধুরা আসরের সময় শেষ হয়ে এসেছে। বিদায়ের বেলায় সবাইকে অনুরোধ করব নিয়মিত চিঠি লিখবেন,ইমেইল পাঠাবেন এবং রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটে নিয়মিত মন্তব্য করবেন।#

ট্যাগ