কথাবার্তা: 'করোনায় বাংলাদেশে নম্বরটি কোথায় গিয়ে ঠেকবে প্রেডিকশন করা যাচ্ছে না'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৫ জুন শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- দেশে কোভিড রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৮১১-দৈনিক যুগান্তর
- পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে কঠোর লকডাউনের পরামর্শ ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর-দৈনিক মানবজমিন
- লকডাউনের ঈদযাত্রায় সড়কে প্রাণ গেছে ১৬৮ জনের, আহত ২৮৩ জন-দৈনিক ইত্তেফাক
- অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও বেশি যাত্রী উঠানো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল’-
- অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও বেশি যাত্রী উঠানো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল’ ওবায়দুল কাদের-দৈনিক প্রথম আলো
- দেশে চালু হলো অ্যাপ, করোনা রোগী কাছে এলেই জানান দেবে-কালের কণ্ঠ
- করোনার টিকার সঙ্গে প্রয়োজন বিশ্ব সংহতি: জাতিসংঘ-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- সব মানুষে সংক্রমণের সক্ষমতা নেই করোনাভাইরাসের!-দৈনিক সমকাল
- সরকারি বরাদ্দ নিয়ে অনিয়ম, এ পর্যন্ত বরখাস্ত ৮৭ জন জন প্রতিনিধি-দৈনিস সমকাল
ভারতের শিরোনাম:
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৯৮৫১ -দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- করোনা সঙ্কট: চলতি অর্থবর্ষে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করবে না কেন্দ্র-দৈনিক আজকাল
- লকডাউনে প্রতিশ্রুতিই সার, মে মাসে রেশন পাননি দেশের প্রায় ১৫ কোটি মানুষ-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

করোনার দাপটে বিশ্ব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্ব মিডিয়ায় এ দুটি বিষয়ের আপডেট খবর বিশেষ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে। একনজরে সেসব খবর দেখে নেয়া যাক।
প্রথমে বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির খবর: বিশ্বের দেশে দেশে করোনায় বেড়েই চলেছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। ওয়ার্ল্ডো মিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনায় এখন পর্যন্ত বিশ্বে মৃত্যু ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩৭ জন এবং আক্রান্তও ৬৭ লাখ ২০ হাজার ১৯৫ জন। করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ১৭৯ জন।
বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, যোগ দিলেন ডাক্তার-নার্সরাও-দৈনিক যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,

পুলিশের হামলায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রতিবাদ। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন করোনা লড়াইয়ে সামনের সারির সৈনিক ডাক্তার-নার্সরাও। তাদের ভাষায়, বৈষম্যের বিরুদ্ধে এসব আন্দোলনকারীরাই এখন প্রকৃত বীর।করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নিউইয়র্ক। শুধু নিউইয়র্ক শহরেই এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২১ হাজার মানুষের। এতেও বর্ণবৈষম্যের আঁচ পাওয়া যায়। আক্রান্ত-মৃতদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর। সরকারি হিসেবে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যেসব মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তাদের ২৩ শতাংশই কৃষ্ণাঙ্গ।

বাংলাদেশের করোনা আপডেট : দৈনিক যুগান্তরসহ প্রায় সব দেনিকের খবরে লেখাহয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু করোনায় আরো ৩০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০ হাজার ছাড়াল। এ খবরে লেখা হয়েছে, এ মৃত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১১ জন। অন্যদিকে একই সময়ে ২ হাজার ৮২৮ জনের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ৩৯১ জন। বাংলাদেশ এখন আট নম্বরে। এদিকে দৈনিক মানবজমিনের এক খবরে লেখা হয়েছে, পরিসংখ্যান ভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এর সর্বশেষ হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অষ্টম। বাংলাদেশের চেয়ে সক্রিয় করোনা রোগী বেশি আছে শুধু সাতটি দেশে। এরা হচ্ছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, পেরু, পাকিস্তান এবং ফ্রান্স।

দৈনিকটির অন্য এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘নম্বরটি কোথায় গিয়ে ঠেকবে প্রেডিকশন করা যাচ্ছে না’। বিস্তারিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, আমাদের ব্যবস্থাপনার বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে। এখানে কে যে কোথায় কি করছেন আমরা তাই বলতে পারছি না। আমাদের এখানে প্রথম থেকেই কোন কিছুই সঠিক পরিকল্পনা মাফিক হয়নি। আমরা শর্ত পূরণ না করেই লকডাউন তুলে দিয়েছি। এখন আক্রান্তের হার যেভাবে বাড়ছে সেই নম্বর কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা-ও প্রেডিকশন করা যাচ্ছে না। মানবজিমনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সরকারের কোভিড-১৯ নিয়ে গঠিত ট্রিটমেন্ট সাব-কমিটির সদস্য ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ রিসার্স সেন্টারের প্রধান অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমান এ কথা বলেন। তিন আগামী দশ দিনে আক্রান্তের হার বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ইমপেরিয়াল কলেজের রিপোর্টে বাংলাদেশের করোনার চিত্র-দৈনিক মানবজমিন

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে প্রতিদিন। মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম।এই অবস্থায় ২রা জুন প্রকাশিত এক রিপোর্টে ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের এমআরসি সেন্টার ফর গ্লোবাল ইনফেকশিয়াস ডিজিজ এনালাইসিস বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কত জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং জুন মাসের শেষ নাগাদ পরিস্থিতি কী হতে পারে তার একটি চিত্র উপস্থাপন করেছে। এতে বলা হয়েছে, গত চার সপ্তাহে বাংলাদেশে মোট ৩ লাখ ১৪ হাজার ৩২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই হিসাবে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ২৬ হাজার ৫৬ জন।কীভাবে এই সংক্রমণ ঘটেছে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এতে কি পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন তা নির্ধারণ ও ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যসেবায় কি কি প্রয়োজন তা প্রক্ষেপণে ব্যবহার করা হয়েছে গাণিতিক মডেলের টেকনিক। এতে একটি গ্রাফ ব্যবহার করা হয়েছে।বলা হয়েছে, ১০ম ব্যক্তির মৃত্যু থেকে এই গ্রাফ করা হয়েছে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষিতে। এতে ৩ দিনকে ডাবলিং টাইম ধরা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, যদি বর্তমানে মৃতের সংখ্যা হয় ২০, তাহলে তিন দিনের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৪০। ৬ দিনে মারা যাবে ৮০ জন। ৯ দিনে মারা যাবে ১৬০ জন। অর্থাৎ জ্যামিতিক হারে মারা যাবে। এতে বলা হয়েছে, হস্তক্ষেপ ব্যতীত বেশির ভাগ মহামারীতে এই ডাবলিং টাইমকে ৩ থেকে ৪ দিন ধরা হয়।রিপোর্টে বলা হয়, মহামারী শুরুর তারিখ ও বেসলাইন নির্ধারণ করতে একটি দেশের টাইম সিরিজ অব ডেথ প্রণয়নে ব্যবহার করা হয়েছে বয়সভিত্তিক এসইআইআর মডেল।
দৈনিক মানবজমিনের খবরে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। বর্তমানে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ তাঁর শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ আপডেট থেকে এ তথ্য জানানো হয়। দৈনিকিটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, করোনায় মারা গেলেন বিএসএমএমইউ'র অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া। আর পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে কঠোর লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছেন ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ট্রাম্পের আগামী নির্বাচন-দৈনিক ইত্তেফাক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের নভেম্বরে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে রয়েছে আর মাত্র পাঁচ মাস। এই সময়ের মধ্যে তিন তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী নির্বাচনের আগে একটি ট্রিপল বিড়ম্বনায় পড়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে শতাব্দীর বৃহত্তম স্বাস্থ্য সংকট। এর কারণে সৃষ্ট সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক মন্দা। আর সম্প্রতি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটিতে বর্ণবাদ নিয়ে আন্দোলন। যা ১৯৬০ সালের পর একটি সর্ববৃহৎ নাগরিক অশান্তি। বিবিসি বলছে, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩ নভেম্বর।
'কুক পলিটিকাল রিপোর্টে' মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পূর্বাভাস দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কাজ উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক চার্লি কুক বলেছেন, 'এটি হবে আমাদের জীবনের সময়কালের সবচেয়ে কৃপণতম, নির্লিপ্ত এবং সবচেয়ে আকাঙ্খিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।তিনি লিখেছেন, 'এখন ভোটারদের কাছে কেবল দুটি জিনিসই গুরুত্বপূর্ণ: করোনভাইরাস এবং অর্থনীতি। এই দুটি জিনিসই এখন আরো ভাল হওয়ার চেয়ে আরো খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। নির্বাচনের আগে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে অর্থনীতিকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করা এখন ট্রাম্প সরকারের জন্য বেশ কঠিন।'
এর মধ্যে জনস হোপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৭৬ জন। ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ২৮১ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ জন।এদিকে, শুরু যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় দেশটি শুরু হয়েছে লাগাতার বিক্ষোভ। যা দিনে দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
রয়টার্স জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কঠোর অবস্থান তার জন্য আরও কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক সময় রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লু বুশ প্রতিবাদকারীদের দমন করতে গিয়েছিলেন বলে শোনা যায়।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:

ভারতে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের জেরে সংক্রমণ। আনন্দবাজার পত্রিকাসহ প্রায় সব দৈনিকের এ খবরে লেখা হয়েছে, দেশে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৯৮৫১। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লক্ষ ২৬ হাজার ৭৭০ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যা মোট ছয় হাজার ৩৪৮ জন। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য দিয়েছে।এদিকে, করোনার জেরে প্রতিদিন মৃত্যু ও আক্রান্তের এ সংখ্যা বৃদ্ধিও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

এদিকে, দৈনিক আজকালের একটি খবরে লেখা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা বিপর্যয়ের কারণে ভারত আগামী এক বছর নতুন কোনও প্রকল্প শুরু করবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অন্য মন্ত্রণানয়গুলোকেও নতুন প্রকল্পের আবেদন জানাতে নিষেধ করা হয়েছে।
লকডাউনে প্রতিশ্রুতিই সার, মে মাসে রেশন পাননি দেশের প্রায় ১৫ কোটি মানুষ-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, যাদের রেশন কার্ড আছে, লকডাউন চলাকালীন তাঁদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কথা রাখেনি বলে অভিযোগ। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত মে মাসে রেশন পাননি প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার (PMGKAY) অন্তর্গত দেশের প্রায় ১৫ কোটি মানুষ। অনাহারেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা এপ্রিল মাসের রেশন এখনও পর্যন্ত পাননি।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৫