অক্টোবর ১৬, ২০২০ ১৫:৩১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ । আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৬ অক্টোবর শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যু-ভয়ঙ্কর সেই রাতের বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী- দৈনিক ইত্তেফাক
  • ঢাকা থেকে বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ধর্ষণবিরোধী লংমার্চ শুরু-সমকাল
  • দেশের প্রতিটি ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর-প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • ধর্ষণের মামলা- একযুগে পাঁচজনের ফাঁসি-প্রথম আলোমধ্যবর্তী নির্বাচন ছাড়া পথ নেই-
  • প্রধানমন্ত্রীকে ডা. জাফরুল্লাহ-দৈনিক মানবজমিনযুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির আসামিরি মৃত্যু
  • কারাগারে-দৈনিক যুগান্তর

ভারতের শিরোনাম:    

  • ‘গোপন’ আলোচনা চলছে, চিন প্রসঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী নয়, বললেন জয়শঙ্কর-সংবাদ প্রতিদিন
  • লকডাউনে কাজ হারানো শ্রমিকদের তিন মাসের অর্ধেক মজুরি দেবে কেন্দ্র-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

‘পুলিশের নির্যাতনে’ মৃত্যু-ভয়ঙ্কর সেই রাতের বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী-দৈনিক ইত্তেফাক

Image Caption

পুলিশের নির্যাতনে’ মারা যাওয়া যুবক রায়হানের সঙ্গে সেই দিন রাতে কী ঘটেছিল তার বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী এক সিএনজি চালক। ওই চালক ও তার আরেক সঙ্গীর দুটি সিএনজি অটোরিকশাতেই সেই রাতে টহল দেয় সিলেটের বন্দর বাজার ফাঁড়ির দুটি পুলিশ টিম। এর মধ্যে অটোরিকশাতেই রায়হানকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই অটোরিকশা চালক ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শনিবার দিবাগত (১২ অক্টোবর) রাতে সিলেট নগরীর কাষ্টঘর এলাকার একটি সুইপার কক্ষ থেকে রায়হানকে বের করে নিয়ে আসে পুলিশ। এর আগে নগরীর মাশরাফিয়া রেস্টুরেন্টের সামনে অজ্ঞাত দুইজন লোক পুলিশকে এসে খবর দেয়, কাষ্টঘরের গলিতে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

অটোরিকশা চালক জানান, পুলিশ গিয়ে একটি সুইপারের কক্ষ থেকে রায়হানকে ডেকে বের করে। সেখানে কোনো ছিনতাই বা রায়হানকে গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি। ওই গলি থেকে রায়হানকে বের করে দ্বিতীয় (ওই চালকের সঙ্গীর) অটোরিকশাযোগে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে পুলিশ। তখন সুস্থ শরীরেই ছিলেন রায়হান। এসময় রায়হান পুলিশের তর্কে লিপ্ত হন এবং বলেন- আমি কোনো ছিনতাইকারী বা অপরাধী নই।

রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে নিয়ে যাওয়ার পর দুই অটোরিকশা চালক ফাঁড়ির বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে সকালে রায়হানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই দুই চালকের মধ্যে একজনের অটোরিকশাতে করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

অটোরিকশা চালক আরও জানান, হাসপাতালে নেয়ার পর রায়হানের অবস্থা আরও খারাপ হয় এবং তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়। এর আগে ফাঁড়ি থেকে রায়হানকে বের করার সময় তার হাঁটুর নিচে ও হাতের আঙ্গুলে আঘাতের চিহ্ন দেখেন ওই চালক। এসময় চালক দুই পুলিশ সদস্যকে বলতে শুনেন- ‘এমন নির্মমভাবে কেউ কাউকে মারে।’

এ ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে পরিবারের অভিযোগ ওঠে রায়হান পুলিশের নির্যাতনে মারা যায়। পরে ওইদিন রাতেই রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এসআই আকবর

এই ঘটনায় বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

নিহত রায়হান আখালিয়া নেহারীপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র। সিলেট নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেটে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন রায়হান। শনিবারও তিনি যথারীতি দায়িত্ব পালন করে। ওইদিন রাতে তিনি বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা ছিলেন উদ্বেগে।

নিহতের চাচা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, ভোররাত চারটার দিকে রায়হান একজন পুলিশ সদস্যের ফোন দিয়ে তার মায়ের মোবাইলে কল করে বলে, ‘আমারে বাঁচাও, ১০ হাজার টাকা লইয়া তাড়াতাড়ি ফাঁড়িতে আসেন।এরপর পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন রায়হানকে বন্দর বাজার ফাঁড়িতে আটকে রাখা হয়েছে।

মো. হাবিবুল্লাহর দাবি, কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে পাশের ফাঁড়িতে রায়হানের সন্ধানে গেলে ডিউটিরত কনস্টেবল তাকে জানান- ‘সবাই ঘুমে। সকালে আসেন। এ সময় ১০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ফাঁড়িতে যেতে বলা হয়। নিহতের চাচা বলেন, পরে ৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে ফাঁড়িতে গেলে পুলিশ বলে রায়হান অসুস্থ। ওসমানী মেডিকেলে যান। এরপর মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে এসে দেখেন রায়হানের লাশ। এই ঘটনায় নগরীতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাবিবুল্লাহ বলেন, রায়হানের পায়ের তলা ও হাঁটুর নিচসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার হাতের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। ফাঁড়ির ভেতর 'পুলিশ নির্যাতন' করে তাকে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ তার। এদিকে রায়হানের শরীরে অতিরিক্ত আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ডা. শামসুল বলেন, রায়হানের শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। এসব কারণেই তার মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে।

উত্তাল সিলেটে পুলিশকে ধাওয়া করলো জনতা

এসআই আকবরকে ধরতে ইমিগ্রেশনে চিঠি- এ খবরে লেখা হয়েছে, সিলেটের বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনর্চাজ (সাময়িক বরখাস্ত) এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।আকবর যাতে দেশ ত্যাগ না করতে পারেন সেজন্য ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে পিবিআই।

এমবিবিএস ডাক্তার যখন ইয়াবা ব্যবসায়ী-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ডা, আরিফ মঈন উদ্দিন

ইয়াবা পরিবহনের অভিযোগে আরিফ মঈন উদ্দিন (৩০) নামে একজন এমবিবিএস ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ঢাকান্ডচট্টগ্রাম মহাসড়কের চেকপোস্টে প্রাইভেট কার থামিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল। এ সময় তার সহযোগী জুলি আক্তার রূপাকেও (২৮) গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৭ হাজার ৮৫০ পিস ইয়াবা। গতকাল বিকালে র‌্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

ধর্ষণের মামলা এক যুগে পাঁচজনের ফাঁসি-দৈনিক প্রথম আলো

দেশে ধর্ষণসংক্রান্ত মামলায় গত ১১ বছরে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ এবং এককভাবে ধর্ষণের পর হত্যা বা মৃত্যু ঘটানোর অপরাধে এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আরও ১৪৪ জন।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রে দেখা যায়, পাঁচজনের মধ্যে একজনের ফাঁসি হয় ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে। দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসি হয় বাকি চারজনের। ধর্ষণের পর হত্যায় এবং দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আগে থেকেই রয়েছে।

বিভিন্ন মামলার রায় বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা বলছেন, মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে প্রমাণের দায়ভার অনেক বড় হয়। সে ক্ষেত্রে চুলচেরা সুনিশ্চিত প্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তির খালাস পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। নিম্ন আদালতে হওয়া মৃত্যুদণ্ডের বেশির ভাগ উচ্চ আদালতে টেকে না। বিচারপ্রার্থীর অপেক্ষা দশকের পর দশক গড়ায়। এমনিতেই ধর্ষণ মামলা ঝুলে থাকে, সাজার হারও নগণ্য।

এবার ধর্ষণের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সমাবেশের ডাক পুলিশের-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম।

ধর্ষণের বিরুদ্ধে ‘লংমার্চ’ নোয়াখালীর পথে-দৈনিক যুগান্তর

ধর্ষণের বিরুদ্ধে লংমার্চ

ধর্ষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে নোয়াখালীর পথে লংমার্চ শুরু করেছে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ।বাম ধারার রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর এই প্লাটফরম শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে এ লংমার্চ শুরু করে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স জানান, লংমার্চটি শাহবাগ, গুলিস্তান হয়ে যাবে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায়। তার পর তারা যাবেন সোনারগাঁও; সেখান থেকে কুমিল্লায় পৌঁছাবেন শুক্রবার বিকালে। কুমিল্লা শহরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করার পর লংমার্চ যাবে ফেনীতে। শনিবার ফেনী শহরে সমাবেশ শেষে দাগনভুঞা, নোয়াখালীর চৌমুহনী হয়ে যাবে বেগমগঞ্জের একলাসপুর। শনিবার বিকালে সেখান থেকে মাইজদী কোর্টে। সেখানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে লংমার্চ। লংমার্চের আগে রাজধানীর শাহবাগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, সারা দেশে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্ষণ অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে, যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তা জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এর বিরুদ্ধে গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে আমাদের এ লংমার্চ।

দেশের প্রতিটি ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের প্রতিটি ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা দুর্যোগে খাদ্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। উৎপাদনে কৃষক যাতে উৎসাহ না হারায় সে জন্য প্রণোদনা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে। ক্ষমতায় এসে খাদ্যসংকটের দেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত: 

‘গোপন’ আলোচনা চলছে, চিন প্রসঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী নয়, বললেন জয়শঙ্কর-সংবাদ প্রতিদিন

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কার

আলোচনা ও আগ্রাসন দু’টোই কার্যত এক সঙ্গে চালায় চিন। সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যেই যেমন পূর্ব লাদাখে নজিরবিহীন ভাবে গুলি চালিয়েছে চিনা বাহিনী। ফলে বেজিংকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও সেই দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘‘আলোচনা চলছে। কিন্তু চিনকে নিয়ে আগাম কোনও মন্তব্য করা যাবে না।’’ আলোচনার বিষয়বস্তু ‘গোপনীয়’বলেও মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী।

১৪ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের পর সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পর পূর্ব লাদাখে স্থিতাবস্থা ফেরাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) থেকে সেনা সরাতে একমত হয়েছিল নয়াদিল্লি-বেজিং। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলছিল। কিন্তু আলোচনার প্রক্রিয়ার মধ্যেই ৩০ অগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কয়েক বার গুলি চালিয়েছে চিনা বাহিনী। মস্কোয় ভারত-চিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্তরের বৈঠকেও সমঝোতার বার্তা ছিল। তারপরেও লাদাখ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। ভারতও তার জবাব দিয়েছে।

লকডাউনে কাজ হারানো শ্রমিকদের তিন মাসের অর্ধেক মজুরি দেবে কেন্দ্র-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

লকডাউনে কত পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, তার হিসেব না থাকায় মুখ পুড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান প্রকল্প’-এ নগদ আর্থিক সাহায্যের সংস্থান না থাকা নিয়েও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিতে লকডাউনে কাজ হারানো শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। অটল বিমিত ব্যক্তি কল্যাণ যোজনা (এবিভিকেওয়াই)-য় এই শ্রমিকদের মজুরির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করতে প্রচারে নেমেছে সরকার।

করোনাকালে কাজ হারানো অভিবাসী শ্রমিকদের তিন মাসের অর্ধেক মজুরি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার

দু’বছর আগে চালু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে অগস্টে। কিন্তু এখনও তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত তেমন সাড়া মেলেনি। তবে আমরা আশা করছি, ধীরে ধীরে তা বাড়বে। বিজ্ঞাপন দিয়ে উপভোক্তাদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছনোর পরিকল্পনা চলছে।’’

লকডাউনে কাজ হারালে এবং ইএসআই অফিসে আবেদন করলে তিন মাসের অর্থাৎ ৯০ দিনের মজুরির ৫০ শতাংশ পাবেন শ্রমিকরা। লকডাউনের সময় কাজ হারিয়ে আবার অন্য কোথাও কাজে যোগ দিলেও এই আবেদন করতে পারবেন শ্রমিকরা এবং অন্যত্র কাজ পাওয়ার বিষয়টি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হবে না। তবে আবেদন করতে হবে সশরীরে ইএসআই অফিসে গিয়ে। পাশাপাশি আগে থেকেই যাঁরা ইএসআই সদস্য, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। তাঁরা এই আর্থিক সাহায্যের জন্য বিবেচিত হবেন গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কাজ হারালেও।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৬

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।