নভেম্বর ২৮, ২০২০ ১৬:৫২ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২৮ নভেম্বর শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • অভিমত-দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি দরকার-দৈনিক প্রথম আলো
  • বছরে ৪শ’ কোটি টাকার চাঁদাবাজি-দৈনিক ইত্তেফাক
  • পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ ইরানের--দৈনিক সমকাল
  • ‘ভাস্কর্য নিয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অনাহুত বিতর্কের পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য’-কাদের-দৈনিক যুগান্তর
  • এই সরকার নির্বাচিত নয়, তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ে ভাবে না : জাফরুল্লাহ-কালের কণ্ঠ
  • 'সরকার তাদের দুঃশাসন আড়াল করার ঘৃণ্য অপকৌশলে মেতে উঠেছে'-ফখরুল-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • করোনা এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে-চীনা বিজ্ঞানীদের দাবি-মানবজমিন

ভারতের শিরোনাম:    

  • লালা কোথায়? কয়লা-কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে সিবিআই তল্লাশি -আনন্দবাজার পত্রিকা 
  • মিলল রাজ্যপালের সম্মতি, উত্তরপ্রদেশে কার্যকর ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী নয়া আইন -সংবাদ প্রতিদিন
  • আরও জোরদার হচ্ছে আন্দোলন, বিভিন্ন রাজ্যে থেকে কৃষকরা হাজির হচ্ছেন বিক্ষোভ সমাবেশে -আজকাল

শিরোনামের পর এবার দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি।

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. ৩০ বছর ভোটে অংশ নেবে না জামায়াতে ইসলামি। এ শিরোনামে মানবজমিন একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাম করেছে। আপনার র্পবেক্ষণ কী?

২. ইরানের একজন খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। কেন এই বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হলো?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

‘ভাস্কর্য নিয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অনাহুত বিতর্কের পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য’-কাদের-দৈনিক যুগান্তর 

ওবায়দুল কাদের

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যে অনাহুত বিতর্কের সৃষ্টি করছে তার ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ভাস্কর্য নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশের সংস্কৃতির প্রতি চ্যালেঞ্জ।ওবায়দুল কাদের শনিবার সকালে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রিয় মানুষের মনে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এদেশে ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা, চর্চা এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

গোল্ডেন মনিরসহ ৫ সহযোগীর উত্থান-স্বর্ণ চোরাচালান ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার-দৈনিক যুগান্তর

স্বর্ণ চোরাচালান এবং হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত গোল্ডেন মনিরের চার সহযোগীর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। মনিরের মতোই তার চার সহযোগীর অবিশ্বাস্য উত্থান হয়েছে। এক সময় আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকলেও এখন তারা দেশে-বিদেশে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। তারা বড় বড় স্বর্ণ চোরাচালানে অর্থলগ্নি করেন। অন্য চারজনও গোল্ডেন মনিরের মতোই স্বর্ণ চোরাচালানের গডফাদার।

মনিরের মতো তাদের জীবনও রহস্যঘেরা। চার সহযোগীর মধ্যে দু’জনই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। বাকি দু’জন মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। রাজনীতি ও ব্যবসার আড়ালে ৫ জনই স্বর্ণ চোরাচালানের অর্থলগ্নি এবং হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করেন। আন্তঃদেশীয় অপরাধী চক্রের সহযোগিতায় বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে তারা ভারতেও স্বর্ণ পাচার করেন। এ ছাড়া দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া থেকে কম দামে স্বর্ণ কিনে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, গোল্ডেন মনিরের বিষয়ে যেসব সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে তারা এরইমধ্যে একজন করে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। তারাই সহযোগীদের বিষয়ে তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, দেশের বড় বড় চোরাচালানের সঙ্গে গোল্ডেন মনির এবং তার সহযোগীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মনিরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একজন আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে একটি ব্যাংকের কর্মচারী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে চাকরি ছেড়ে তিনি স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এখন একটি উপজেলার চেয়ারম্যানও।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোল্ডেন মনিরের অন্যতম সহযোগী। তিনি নব্বইয়ের দশকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে ভাসমান হকার ছিলেন। ১৯৯৬ সালে দু’জন কাস্টমস কর্মকর্তার সহযোগিতায় লাগেজ টানা শুরু করেন। স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে তারা এখন দেশ-বিদেশে অঢেল সম্পদের মালিক।

মনিরের ঘনিষ্ঠ অপর একজন বর্তমানে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি সত্তরের দশকে ছিলেন ভ্রাম্যমাণ ডলার বিক্রেতা। এখন কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং মালয়েশিয়ায় তার বাড়ি আছে। অপর সঙ্গীও সত্তরের দশকে ১২ বছর বয়সে ঢাকায় আসেন। তখন ভ্রাম্যমাণ হকার হিসেবে শার্ট-প্যান্ট বিক্রি করতেন। পঞ্চম শ্রেণি পাস সঙ্গীটি স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হন।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে গোল্ডেন মনির গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই এলাকায় দেখা যাচ্ছে না তার সহযোগীদের। উত্তরার জমজম টাওয়ারে তার কার্যালয়েও তারা যাচ্ছেন না। যুগান্তরের পক্ষ থেকে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের দুটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ বিমানের একটি এয়ারক্রাফট থেকে ১২৪ কেজি চোরাচালানের স্বর্ণ জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ২০১৪ সালে পল্টনে মোহাম্মদ আলীর বাসার বিছানার নিচ থেকে ৬১ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের পাশাপাশি তাকে গ্রেফতার করে ডিবি। একই মামলায় রিয়াজ উদ্দিনও গ্রেফতার হন। পরে মোহাম্মদ আলী এবং রিয়াজ উদ্দিন দু’জনেই জামিনে ছাড়া পান।

তবে সালেহ আহমেদকে গ্রেফতার করা যায়নি। ওই দুটি ঘটনার তদন্ত করে ডিবি। মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে দুটি চালানেই রিয়াজ উদ্দিন, সালেহ আহমেদ এবং মোহাম্মদ আলী অর্থলগ্নি করেছেন। এ ঘটনায় একজন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিক জড়িত ছিল বলেও তদন্তে বেরিয়ে আসে।

বড় বড় স্বর্ণ চোরাচালানে দেশি-বিদেশি যৌথ সিন্ডিকেট জড়িত থাকে। এমনকি বাংলাদেশ বিমানের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারগেট দিয়ে স্বর্ণ খালাস করা হয়। পরে তাঁতীবাজারে স্বর্ণের বার গলিয়ে বিক্রি করা হয়। চোরাচালানের একটি অংশ আবার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোল্ডেন মনির ও তার সহযোগীরা মিলে উত্তরার জমজম টাওয়ার নির্মাণ করেন। ওই টাওয়ারের চারজন মালিকই স্বর্ণ চোরাচালানের গডফাদার।

উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ২২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা হয়। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে আছেন। তাকে গ্রেফতারের পর সরকারের একাধিক সংস্থা তার অপকর্মের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

এই সরকার নির্বাচিত নয়, তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ে ভাবে না : জাফরুল্লাহ-দৈনিক কালের কণ্ঠ

সরকারের সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার যেহেতু নির্বাচিত নয়, তাই তারা দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে ভাবে না। তাদের কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই। তাদের এই পুঁজিতন্ত্রের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভারতীয় চক্রান্ত।

'সরকার তাদের দুঃশাসন আড়াল করার ঘৃণ্য অপকৌশলে মেতে উঠেছে'-মির্জা ফখরুল-বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার তাদের ভয়াবহ দুঃশাসন আড়াল করার ঘৃণ্য অপকৌশলে মেতে উঠেছে। এর অংশ হিসেবে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ঘৃণ্য হামলা এবং খুন-জখমের নারকীয় বিভৎসতা চালিয়ে যাচ্ছে। আজ শনিবার দুপুরে মাগুরায় বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, যুবদল নেতাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ফাখরিজাদেহকে বহু বছর ধরে হত্যার চেষ্টা করছিল মোসাদ: ট্রাম্প-দৈনিক যুগান্তর

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা -শহীদ ফাকরিজাদেহ

ইরানের শীর্ষস্থানীয় পদার্থবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যায় ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা- মোসাদের হাত থাকার বিষয়টি ইঙ্গিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তার অফিসিয়াল টুইটার পেজে একজন ইসরাইলি সাংবাদিকের একটি পোস্ট রিটুইট করে ইরানি বিজ্ঞানী হত্যায় মোসাদের জড়িত থাকার বিষয়টি ইঙ্গিত করেন।  খবর এপির।

ইরানের বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ক সংস্থার চেয়ারম্যান মোহসেন ফাখরিজাদেহ শুক্রবার বিকালে রাজধানী তেহরানের অদূরে এক নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান।এ বিষয়ে ইয়োসি মেলমান নামে ইসরাইলের এক সাংবাদিকের একটি পোস্ট রিটুইট করে ট্রাম্প বলেন, ফাখরিজাদেহকে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বহু বছর ধরে হত্যার চেষ্টা করে আসছিল। এছাড়া, ট্রাম্প নিজে এক টুইটার বার্তায় মোহসেন ফাখরিজাদেহকে তার ভাষায় ইরানের ‘পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি’র কারিগর বলেও দাবি করেন। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি নিশ্চিত করতে বলেছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে কোনো দ্বিধা-সন্দেহের অবকাশ নেই। পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ'র শাহাদাৎ উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি আজ (শনিবার) এ কথা বলেন।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ তার অফিসিয়াল টুইটার পেজে লিখেছেন, ইরানি পদার্থবিজ্ঞানীর কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলের হাত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং এই ঘটনায় বোঝা যায়, যারা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তারা নিজেদের অসহায়ত্বের কারণে একটা যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে।

বছরে ৪শ’ কোটি টাকার চাঁদাবাজি-দৈনিক ইত্তেফাক

৩ বছরে ৩০০ খুন, চাঁদার টাকায় কেনা হচ্ছে অস্ত্র; নীরবে চলছে নারী নির্যাতন, এসবের কোনো প্রতিকার নেই

শান্তির জনপদ পার্বত্য চট্টগ্রামকে ফের অশান্ত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই জনপদে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে আঞ্চলিক দল নামধারী কিছু সশস্ত্র গ্রুপ। যাদের কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ২০১৮ সাল থেকে গত ৩ বছরে ৩ শতাধিক মানুষ নির্মমভাবে খুন হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাও ছিলেন যাদেরকে আঞ্চলিক দল ছেড়ে আওয়ামী লীগ করার অপরাধে প্রাণ দিতে হয়েছে। ওই এলাকায় গত তিন বছরে চাঁদাবাজি হয়েছে হাজার কোটি টাকার ওপরে।

এছাড়া সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে নীরবে চলছে নারী নির্যাতন। সুন্দরী উপজাতি নারীদের অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়। বান্দরবান জেলায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের ঠিক ওপারে ছোট ছোট ক্যাম্প তৈরি করে চলছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ। ইতোমধ্যে এ ধরনের ১২ থেকে ১৫টি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী একটি দেশ থেকে নিয়মিত অস্ত্রের চালান আসছে। বাংলাদেশ সরকারের মনোযোগ রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে ভিন্নখাতে পরিচালিত করার জন্যই সীমান্তের ওপারে গহীন জঙ্গলে এসব ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কথিত ‘জুম্মল্যান্ড’ সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছেন তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এদের মধ্যে দুজন দু’টি আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন। তৃতীয়জন হলেন রাঙামাটি জেলার একজন চাকমা নেতা। মূলত এই তিন ব্যক্তির খেয়ালখুশিমত চলছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। তারা তিনজন প্রকাশ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিরোধিতা না করলেও পাহাড় অশান্ত করার নেপথ্যের কুশীলব এরাই।

এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:

মিলল রাজ্যপালের সম্মতি, উত্তরপ্রদেশে কার্যকর ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী নয়া আইন-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

উত্তরপ্রদেশে জারি হল ‘লাভ জেহাদ’বিরোধী আইন। শনিবার রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল সম্মতি দিলেন এই সংক্রান্ত নয়া আইনের প্রস্তাবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পেশ করা ওই অর্ডিন্যান্সে তাঁর সম্মতির পরে তা এবার পরিণত হল আইনে। 

এর ফলে এবার থেকে রাজ্যে বিয়ের জন্য কোনও মহিলার ধর্মান্তকরণ করা হলে তা ‘অকার্যকর’ ঘোষিত হবে। পাশাপাশি, বিয়ের পরে ধর্ম বদলাতে চাইলে জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানাতে হবে। কোনওরকম প্রতারণা, প্রলোভন দেখিয়ে অথবা জোর করে ধর্মান্তকরণ করালে অভিযুক্তের ৩ থেকে সর্বাধিক ১০ বছরের সাজা হতে পারে। দিতে হবে ২৫ হাজার টাকার জরিমানাও।

আগেই জানা গিয়েছিল ‘লাভ জেহাদ’রুখতে তৎপর উত্তরপ্রদেশ সরকার এই মর্মে নয়া আইন আনতে চলেছে। গত মঙ্গলবারই সেই খসড়ায় সম্মতি দেয় যোগী সরকারের মন্ত্রিসভা। অবশেষে মিলল রাজ্যপালের সম্মতি। এর আগে যোগী আদিত্যনাথ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতে যাঁরা পরিচয় গোপন করছেন তাঁরা যেন নিজেদের ভুল শুধরে নেন। নাহলে ‘রাম-নাম সত্য’ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে আইন আনার কথা জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারও।

উল্লেখ্য, হরিয়ানার বল্লভগড়ে ধর্ম বদলে রাজি না হওয়ায় প্রকাশ্যে এক যুবতীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তারপরই দেশজুড়ে লাভ জেহাদ নিয়ে শুরু হয় জোর বিতর্ক। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার দাবি করেছিলেন, দোষীরা যেন বাঁচতে না পারে এবং কোনও নির্দোষের যাতে সাজা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যে আইন আনার কথা ভাবছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, লাভ জেহাদের বিষয়ে আইন আনার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রও।

ডিসেম্বরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা, একাধিক মন্ত্রী পেতে পারে বাংলা-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল আসন্ন। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকেই তা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের মন্ত্রিসভার রদবদলে বাংলা থেকে একাধিক মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একজন পূর্ণমন্ত্রী এবং দু’জন রাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলা পেতে পারে, এমন জল্পনাও রয়েছে। একই সঙ্গে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে পূর্ণ মন্ত্রীপদ দেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে।

একইভাবে বিহার থেকে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদিকে এবারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার বিষয়টিও মোটামুটি পাকা হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার রাতেই বিজেপি বিহারের রাজ্যসভা উপনির্বাচনের একটি আসনের জন্য প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে। যা সুশীল মোদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দেওয়ার লক্ষ্যেই করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর জায়গায় অন্য দু’জনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার পর থেকেই তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে আসার কথা শোনা গিয়েছিল।

আরও জোরদার হচ্ছে আন্দোলন, বিভিন্ন রাজ্যে থেকে কৃষকরা হাজির হচ্ছেন বিক্ষোভ সমাবেশে –দৈনিক আজকাল

কৃষক আন্দোলন আরও তীব্র হচ্ছে। আন্দোলনে একে একে যোগ দিচ্ছেন রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরাও। গতকাল দিল্লি–হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকদের ‘লং মার্চ’–এ বিস্তর গোলমালের পর প্রশাসন কৃষকদের অনুমতি দেয় দিল্লিতে প্রবেশের। দিল্লির বুরারি মাঠে কৃষকদের জমায়েত করার অনুমতি দেওয়া হয়। তারপরে শনিবার সকাল থেকে খবর আসে, পাঞ্জাবের ফতেগড় সাহিব থেকে বিপুল সংখ্যায় কৃষকরা দিল্লি সীমান্তর দিকে যাচ্ছেন। দিল্লি–হরিয়ানা সীমান্তে বৃহস্পতিবার থেকেই কৃষকরা জমায়েত হয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই এবার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে পাঞ্জাবের কৃষকদেরও।

এদিকে উত্তরপ্রদেশের ৩০ জন কৃষক ইতিমধ্যে দিল্লির বুরারি মাঠে পৌঁছে গিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। একাধিক কৃষি আইন সংশোধনী বাতিল করার দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনের অংশ হিসাবে বুরারি মাঠেই জমায়েত হওয়ার কথা দেশের বিভিন্ন অংশের কৃষকদের। সেইখানে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কৃষকরা বলেছেন, ওই মাঠে তাঁরা ততক্ষণ জমায়েত করবেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের কথা সরকার শোনে। বুরারি মাঠে উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা জমা হয়ে জানিয়েছেন, আরও বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষকদের দল এই মাঠে এসে জড়ো হবেন। তাঁরাই জানিয়েছেন রাজস্থানের কৃষকরাও দিল্লি সীমান্তে জমায়েত করতে শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। জমায়েত বিপুল আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

‘প্রধানমন্ত্রীর অহংই কৃষকদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে জওয়ানদের’ক্ষোভ উগরে টুইট রাহুলের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

দিল্লি সীমান্তে নয়া কৃষি আইনের (Farm Bill 2020) প্রতিবাদ করার সময় কৃষকদের উপরে লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শনিবার সকালে একটি টুইট করে তিনি ক্ষোভ উগরে দেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘অহং’।

লালা কোথায়? কয়লা-কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে সিবিআই তল্লাশি-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

কয়লা-কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শনিবার দুর্গাপুর, রাণিগঞ্জ, আসানসোল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সল্টকেল-সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। কয়লা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা এখনও বেপাত্তা।

কয়লা-কাণ্ডে বাড়িতে সিবিআই, অসুস্থ হয়ে ইসিএল-এর নিরাপত্তা আধিকারিকের মৃত্যুGসিবিআই তল্লাশির সময় ধনঞ্জয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৮

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
     

ট্যাগ