ডিসেম্বর ২৮, ২০২০ ১৬:৩০ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক! ২৮ ডিসেম্বর সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • করোনার লকডাউনে বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন -ইত্তেফাক
  • উগ্রবাদীদের ফেরাতে র‌্যাবে বিশেষ টিম –যুগান্তর
  • স্বাস্থ্য ভবনে ৩০ কোটি টাকা লোপাটের ছক –মানবজমিন
  • রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান সেতুমন্ত্রীর-দৈনিক ইত্তেফাক
  • পুরো এক লাখ রোহিঙ্গা দ্রুত ভাসানচরে নিতে হবে -বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • দেশের ২৪ পৌরসভায় ভোট হয়েছে আজ-কালের কণ্ঠ
  • রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাজ্যের হাসপাতাল -সমকাল

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে, কিন্তু শেয়ার বাজার বাড়ছে কেন? -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • কৃষক–বিক্ষোভ:‌ ‘‌সব শরিকরাই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করবে, ধুলোয় মিশে যাবে এনডিএ’‌:‌ এনসিপি -আজকাল
  • ‘মুখ্যমন্ত্রী পদের  প্রতি কোনও লোভ নেই’‌, আচমকাই উলটো সুর নীতীশ কুমারের!--সংবাদ প্রতিদিন

শিরোনামের পর এবার দুটি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ব্রিটিশ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক রিপোর্টের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। কীভাবে দেখছেন খবরটিকে?
২. ইয়েমেনে ইসরাইল হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হবে। এমন মন্তব্য করেছেন ইয়েমেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

করোনার লকডাউনে বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন-দৈনিক ইত্তেফাক

বিদায়ী বছর দেশে করোনার জন্য লকডাউনকালে উল্লেখযোগ্য হারে নারী শারীরিক, মানসিক, যৌন, অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেক নারী ও শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। স্কুল বন্ধ থাকায় বাল্যবিবাহও থেমে থাকেনি। বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কয়েক দফা জরিপে তারা জানায়, প্রত্যেক দফায় এমন অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা আগে কখনো নির্যাতনের শিকার হয়নি।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৪৮ নারী, মানসিক নির্যাতনের শিকার ২ হাজার আট জন, যৌন নির্যাতনের শিকার ৮৫ জন এবং অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ‘১ হাজার ৩০৮ জন নারী। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন চার জন নারী, হত্যা করা হয়েছে এক জনকে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে ২০ জন নারীকে। ৪২৪ জন শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহ হয়েছে ৩৩টি এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪২টি। চারটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৬ জনকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়, অপহূত হয়েছে দুই জন, যৌন হয়রানির শিকার ১০ জন এবং ত্রাণ নেওয়ার সময় ১০টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুদের মধ্যে শতকরা ৯২ ভাগ তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়দের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। আর নারীরা বেশির ভাগই স্বামীর হাতে।

নভেম্বরের শেষে দেশের ৫৯ জেলায় ১০ লাখ নারীর অংশগ্রহণ এ জরিপটিতে দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার নারী, পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী প্রথমবারের মতো নির্যাতিত হয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, কোভিড-১৯-এর কারণে লকডাউন চলাকালে নারীর ওপর সহিংসতার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলাকালে প্রথম দুই মাস (মার্চ ও এপ্রিল) এর তুলনায় মে মাসে পারিবারিক সহিংসতা ৩১ শতাংশ বেড়েছে। পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের চেয়েও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত যেসব নারী পারিবারিক নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাদের ভেতর ৪৭ শতাংশ মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এরপর প্রায় ৩০ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘বিশ্বে এই করোনার সময় লকডাউনে নারী নির্যাতন ২০ ভাগ বেড়েছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। আর এখানে স্বাভাবিক অবস্থায়ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেশি। এ সময় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে শিশু ধর্ষণ হয়েছে বেশি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যমতে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৪৬ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের শিশু-কিশোরীই বেশি যাদের বয়স ৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। শিশুধর্ষণের বেশির ভাগ ঘটনায় আশপাশের মানুষই দায়ী। উল্লেখ্য, ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতনের অপরাদের ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হয়।

উগ্রবাদীদের ফেরাতে র‌্যাবে বিশেষ টিম-যুগান্তর

ধর্মকে ব্যবহার করে উগ্রবাদীরা সাম্প্রদায়িক ফাটল সৃষ্টি করে জঙ্গিবাদের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এদের ডি-রেডিক্যালাইজেশনে (কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা) নতুন কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব সদর দফতর এবং ব্যাটালিয়ন সদর দফতরগুলোতে এ নিয়ে বিশেষ টিম (দল) গঠন করা হয়েছে। জেলা পর্যায়েও এ টিম সম্প্রসারণ করা হবে। এতে শিক্ষাবিদ ও ধর্মীয় নেতাসহ সমাজের নানা স্তরের লোকদেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। টিমের সদস্যরা এ মুহূর্তে বেশ কয়েকজন উগ্রবাদীকে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি রোববার বিকালে টেলিফোনে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া এদিন দুপুরে এ বিষয়ে র‌্যাব সদর দফতরে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

যেসব দেশকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি-দৈনিক মানবজমিন

বাংলাদেশ এখন যে ধরণের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশটি হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি।

ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিক এন্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের সর্বশেষ এক রিপোর্টে এই পূর্বাভাস দিয়েছে। 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল ২০২১' নামের এই রিপোর্টটি শুক্রবার প্রকাশ করা হয়। এতে মূলত সামনের বছর এবং আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের কোন দেশের অর্থনীতি কী হারে বাড়বে, তারই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সিইবিআর প্রতিবছর এই রিপোর্ট প্রকাশ করে।

এই রিপোর্ট অনুযায়ী আর মাত্র ৭ বছর পর পরেই চীন হবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। ২০৩০ সালে ভারত হবে তৃতীয়। আর ২০৩৫ সাল নাগাদ ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বহু ধাপ উপরে উঠে পৌঁছে যাবে ২৫ নম্বরে।

২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।সিইবিআর বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনেক ওলট-পালট ঘটে গেছে। ইউরোপ-আমেরিকার বেশিরভাগ বড় অর্থনীতির দেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর বিপরীতে চীন খুব কৌশলে করোনাভাইরাস দ্রুত এবং কঠোরভাবে মোকাবেলার কারণে সামনের বছরগুলোতে পৌঁছে যাবে বেশ সুবিধেজনক অবস্থানে।

চীন যে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে, সেটাকে সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করা হচ্ছিল।

কিন্তু সিইবিআর বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর হয়েছে। আগে যা ধারণা করা হয়েছিল, তার থেকে ৫ বছর আগেই ২০২৮ সালে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে।

মন্দা এড়াতে সাফল্য

চীনের মতোই একইভাবে বাংলাদেশও যেহেতু করোনাভাইরাসের মধ্যেও কিছুটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে, তাই সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশে ধারাবাহিক এবং জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশা করছি সিইবিআর।সিইবিআর তাদের রিপোর্টে বলছে, কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর আগের বছরগুলোতে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল বেশ ভালো। এবং এটা ঘটেছে দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও। গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ছে গড়ে ১ শতাংশ হারে।

বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় কোভিড-১৯ যেভাবে ছড়িয়েছে, সে তুলনায় বাংলাদেশে সংক্রমণ অনেক সীমিত রাখা গেছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মারা গেছে ৭ হাজার ৫২ জন। প্রতি এক লাখে মাত্র ৪ জন। যদিও এই মহামারির কারণে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ছিল সীমিত, তা সত্ত্বেও অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে এটি। কারণ মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে চাহিদা গিয়েছিল কমে আর আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেইনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।

তবে অন্য অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ তা এড়াতে পেরেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

সিইবিআর এর পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ২০২১ সাল হতে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটবে গড়ে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে। তবে এর পরের দশ বছরে এই হার কিছুটা কমে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে।

সিইবিআর বলছে, ২০২০ হতে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। এখন বাংলাদেশের অর্থনীতি আছে ৪১ নম্বরে। কিন্তু ২০৩৫ সালে বাংলাদেশ হবে ২৫তম অর্থনৈতিক শক্তি।

২০২০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৩৯ ডলার। এই হিসেবটা পিপিপি বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিকে হিসেবে নিয়ে করা। বাংলাদেশকে এখন একটি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ বলে গণ্য করা হয়।বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান(তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল ২০২১, সিইবিআর)

বাংলাদেশের নাটকীয় উত্থান

সিইবিআর এর সূচক অনুযায়ী বিশ্ব অর্থনীতিতে এখনো এক নম্বর শক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে চীন এবং জাপান। প্রথম দশটি দেশের তালিকায় এরপর ক্রমান্বয়ে আছে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা এবং কোরিয়া।

২০৩৫ সাল নাগাদ এই প্রথম দশটি দেশের তালিকা থেকে ঝরে যাবে ইতালি, কানাডা এবং কোরিয়া। তাদের স্থলে প্রথম দশটি দেশের তালিকায় ঢুকবে ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল এবং রাশিয়া।২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রথম ২৫টি দেশের তালিকায় যুক্ত হবে তিনটি নতুন দেশ: ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশ।

এর মধ্যে ভিয়েতনামের অবস্থান হবে ১৯, ফিলিপাইনের ২২ এবং বাংলাদেশের ২৫।

এর মধ্যে বাংলাদেশের উত্থানকেই সবচেয়ে নাটকীয় বলতে হবে। বর্তমান র‍্যাংকিং ৪১ থেকে বহু দেশকে টপকে বাংলাদেশ পৌঁছাবে ২৫ নম্বরে।

করোনার কারণে বৃটেনে প্রায় ১০ মিলিয়ন লোকের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন-মানবজমিন

করোনা ভাইরাস সংকট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনার পরও বছরের পর বছর ধরে এর প্রভাব অনুভূত হবে বলে শীর্ষস্থানীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

বছরখানেক ধরে করোনা ভাইরাস সঙ্কটে নিমজ্জিত থাকার প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়ার ফলে বৃটেনে ১.৫ মিলিয়ন শিশুসহ প্রায় ১০ মিলিয়ন লোককে নতুনভাবে বা অতিরিক্ত হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত এশীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ব্যাপক প্রভাব স্পষ্ট এবং এ সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে।  

বৃটেনের রয়্যাল কলেজ অফ সাইকিয়াট্রিস্টের প্রেসিডেন্ট ডা. অ্যাড্রিয়ান জেমস বলেছেন, এই রোগের সংমিশ্রণ এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। মহামারীটি অনেক দিন থাকার ফলে দীর্ঘকাল এর ক্ষতিকর প্রভাব অব্যাহত থাকবে।

বৃটেনে কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে এই ভবিষ্যদ্বাণীটি আসে এবং  মানসিক অসুস্থতা বিকাশের আগেই তা প্রতিরোধের পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতি যাতে আরো খারাপ না হয় সেটি নিশ্চিত করার জন্য বিশেষজ্ঞরা  তাগিদ প্রদান করছেন।

ডা. জেমস বলছেন, করোনা সংকট দ্রুত সমাজদেহে  প্রবেশ করছে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে চলেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এটি সম্ভবত মানসিক স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বড় আঘাত। অথচ মহামারী শুরু হওয়ার সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ হ্রাস পেয়েছে। লোকেরা জিপি সার্জারি এবং হাসপাতাল থেকে দূরে রয়েছেন বা চিকিৎসা সুবিধা বঞ্চিত হয়েছেন।

এনএইচএস ডিজিটাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সাথে যোগাযোগের  সংখ্যা কখনও এতো বেশি হয়নি। কিছু কিছু হাসপাতালের ট্রাস্ট তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ওয়ার্ডগুলি স্পষ্টতই চাপের মধ্যে রয়েছে বলে রিপোর্ট করেছে।

মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মডেলিং পূর্বাভাস দিয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রত্যক্ষ ফলাফল হিসেবে ১০ মিলিয়ন লোককে নতুন বা অতিরিক্ত মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে প্রায় ১.৩  মিলিয়ন মানুষ যাদের আগে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না। তাদের মধ্য থেকে গুরুতর উদ্বেগের জন্য চিকিৎসা এবং মাঝারি থেকে গুরুতর অসুখের জন্য ১.৮ মিলিয়ন চিকিৎসার প্রয়োজন হবে বলে তারা আশংকা করছেন।

সামগ্রিক পরিসংখ্যানটিতে উদ্বেগ ও হতাশার ঝুঁকিতে থাকা দেড় মিলিয়ন শিশু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  আইসোলেশন বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, কোয়ারেন্টিনে পৃথকীকরণ, পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ফলে এদের মধ্যে মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।  বিশেষত কালো, এশীয় এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, কেয়ার হোমস এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব স্পষ্ট এবং এ সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে লকডাউনের বিরুদ্ধে যুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। তবে জেমস বলেছেন, ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে মানসিক স্বাস্থ্যের কারণগুলি উপেক্ষা করা উচিত নয়। সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা বা দুর্বল প্রিয়জনরা অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয় ছড়িয়ে মারাত্মক রোগে ভুগলে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি ভয়ংকর হতে পারে। প্রিয়জনকে হারানোর পরে প্রায়শই ব্যক্তিগতভাবে বিদায় জানাতে না পারায় জটিল শোকের প্রতিক্রিয়াগুলি অন্যতম ক্ষতির কারণ। কর্মসংস্থান, আবাসন এবং সামনের বিস্তৃত অর্থনৈতিক কষ্টের বিষয়ে অনিশ্চয়তার বোঝা এটিকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।

জেমস বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সেবাগুলি আরও সুন্দর করে সাজাতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ, তরুণ কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষেরা প্রাথমিক পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে প্রায়ই অনিচ্ছুক থাকে।  এসব সমস্যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন।

করোনায় মানসিক স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব নিয়ে ইতিপূর্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ডব্লিউএইচও বলছে, করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। গত জুন থেকে আগস্ট মাসে ৯৩টি দেশে পরিচালিত জরিপের উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সেপ্টেম্বর মাসে সতর্কতা জারি করে বলেছে, করোনা ভাইরাসের সংকটময় সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য উপেক্ষা করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপের অন্তর্ভুক্ত ১৩০টি দেশের ৮৩ শতাংশ করোনা মহামারী বিষয়ক পরিকল্পনায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তুর্ভুক্ত করেছে। সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিচালক দেভোরা কেসটেল ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মানসিক স্বাস্থ্যখাতে অবিলম্বে তহবিল বাড়ানোর তাগিদ দেন। তিনি বলেন, এটি কোভিড-১৯ এর উপেক্ষিত দিক।

করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে গত কয়েক মাসে আমাদের জীবনে যেসব নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে, তাতে সর্বত্র মানসিক দুশ্চিন্তা অনেক বেড়ে গেছে। এক নতুন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অভিভাবকরা বিশেষ করে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান সেতুমন্ত্রীর-দৈনিক ইত্তেফাক

আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির কার্যকর কৌশল অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি আজ সোমবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে শেখ হাসিনা সরকার বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করে আসছে, কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় নেওয়ায় তাদের ভরণপোষণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ।

ধারণ ক্ষমতার কম জায়গায় অধিকসংখ্যক মানুষ বসবাস করায় হুমকির মুখে পড়েছে সামাজিক পরিবেশ ও ভারসাম্য উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখা দিয়েছে মানবিক ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা। তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সৈকত ঘিরে পর্যটন শিল্পের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

‘মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রতি কোনও লোভ নেই’‌, আচমকাই উলটো সুর নীতীশ কুমারের!-সংবাদ প্রতিদিন

বিহারে ভাঙতে চলেছে জেডিইউ (JDU)—বিজেপি (BJP) জোট? পদত্যাগ করবেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)? গত কয়েকদিনে যেভাবে দুই শরিকের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রবিবারই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। JD(U)–এর নয়া জাতীয় সভাপতির পদে আনা হয়েছে দলের রাজ্যসভার সাংসদ রামচন্দ্র প্রসাদ সিংকে। তিনি আবার নীতীশ কুমারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। নীতিশের মতো তিনিও বিহারের নালন্দা জেলারই বাসিন্দা। তবে এই ঘোষণার পরই বোমা ফাটান নীতীশ। জানান, চাপের মুখেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছে ছিল না। কে এই চেয়ারে বসল, তাতে নাকি তাঁর কিছুই যায়–আসে না।

বিহার নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে RJD। কিন্তু জেডিইউ এবং বিজেপি জোট সরকার গড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশই। কিন্তু তারপর থেকেই দু’‌দলের সম্পর্কে অবনতি হতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই আবার অরুণাচল প্রদেশে নিজের শরিকেরই ঘর ভেঙেছে বিজেপি। অরুণাচল বিধানসভায় নির্বাচিত জেডিইউয়ের ৬ বিধায়ক একসঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ফলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে প্রধান বিরোধী দলের তকমা হারিয়েছে নীতীশ কুমারের দল। আপাতত নীতীশের দলের হাতে রয়েছে একজন মাত্র বিধায়ক। আর এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিহারেও।

এরপরই তড়িঘড়ি দলে একাধিক পরিবর্তন এনেছেন নীতীশ। কিন্তু তারপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে এমন বক্তব্য রেখেছেন। সূত্রের খবর, দলের বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘লোকে বলছে বিজেপি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইছে। আমার তাতে কিস্যু যায় আসে না। আমার কোনও পদের প্রয়োজন নেই। ভোটের ফলাফলের পরই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও ছিলাম। কিন্তু জোটের চাপেই আমাকে ফের এই আসনে বসতে হয়েছে।’‌’‌

কেন্দ্রের তথ্যেই ধরা পড়ল ‘‌শাহি–মিথ্যাচার’‌!‌ বাংলার আর্থিক বৃদ্ধি দেশের চেয়ে বেশি, বললেন অমিত-আজকাল

কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘‌মিথ্যাচার’ হাতেনাতে ধরলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সম্প্রতি বাংলায় এসে শাহ দাবি করেছেন, গত ১০ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে বাংলা। কৃষি–শিল্প সব ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি কমেছে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান এবং প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের তথ্য তুলে ধরে অমিতবাবু জানালেন, কেন্দ্রই বলছে, দেশের তুলনায় রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধি বেশি। শুধু তাই নয়, শিল্প, পরিষেবা এবং কৃষি সব ক্ষেত্রেই মোট যুক্তমূল্যের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রের তুলনায় বেশি। 

অর্থমন্ত্রী যে পরিসংখ্যান টুইটারে তুলে ধরেছেন।টুইটে অমিত মিত্র লিখছেন, ‘কেন্দ্রের তথ্যেই প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিথ্যে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, মমতা ব্যানার্জির আমলেই বাংলার বৃদ্ধি তরান্বিত হয়েছে। সুতরাং, ক্ষমা চান বাংলার মানুষের কাছে।’‌

কৃষক–বিক্ষোভ:‌ ‘‌সব শরিকরাই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করবে, ধুলোয় মিশে যাবে এনডিএ’‌:‌ এনসিপি-আজকাল

নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে শনিবার বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি। আগেই দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছেদ করেছে শিরোমণি অকালি দল। বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে এনসিপি–র তরফে বলা হয়, ‘কিছু দিনের মধ্যেই ধুলোয় মিশে যাবে এনডিএ।’ 

কেন্দ্রের আচরণে রুষ্ট শরিকদের জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসা প্রসঙ্গে দলের মুখপত্র মহেশ তোপে বলেন, ‘কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির আরও এক শরিক এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এল। বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কালো কৃষি বিল পাশ করেছে বিজেপি। কৃষকদের আন্দোলন থেকে সাহস সঞ্চয় করেই এনডিএ ত্যাগ করতে পেরেছে আরএলপি। বাকি শরিকদেরও একই অবস্থা হবে। বাধ্য হয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে জোট ছাড়তে হবে তাদেরও।’‌ 

আম্বানিদের পেট ভরাচ্ছেন!’ সুইসাইড নোটে মোদিকে ‘স্বৈরাচারী’ তকমা দিয়ে আত্মঘাতী আইনজীবী -আজকাল  

টিকরি সীমান্তের যেখানে কৃষকদের প্রতিবাদ চলছে তার কয়েক কিলোমিটার দূরেই আত্মঘাতী হলেন এক পঞ্জাবি আইনজীবী। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সুইসাইড নোটে লিখলেন, কৃষকদের সমর্থনেই তাঁর এই আত্মবলিদান। পুঁজিপতিদের পেট ভরাচ্ছেন মোদি, এদিকে প্রতারিত হচ্ছে কৃষক ও মজুররা, লিখেছেন এ কথাও। 

আত্মঘাতী আইনজীবীর নাম অমরজিৎ সিং বলে জানা গিয়েছে। তিনি পঞ্জাবের ফাজিলকা জেলার জালালাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। বিষ খেয়েছিলেন অমরজিৎ। তাঁকে রোহতকের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

তাঁর সুইসাইড নোটটি আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে লেখা এক চিঠি। চিঠির শুরুতেই মোদিকে স্বৈরাচারী হিসেবে তকমা দিয়েছেন অমরজিৎ। তারপর লিখেছেন, ‘অনেক দুঃখের সঙ্গে বলছি, আপনি আদানি এবং আম্বানির মতো স্পেশ্যালদের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কৃষক এবং শ্রমিকরা প্রতারিত হচ্ছেন। পুঁজিপতিদের পেট ভরাতে গিয়ে সাধারণ মানুষ এবং কৃষির সর্বনাশ করছেন আপনি। সামাজিকভাবে জনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন আপনি।’ অমরজিতের পরিবারকে তাঁর মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৮

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ