কথাবার্তা: বিচারকের কাছে ২ কোটি টাকা ঘুষ দাবি !
প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১০ জানুয়ারি রোববারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।
প্রথমে বাংলাদেশের শিরোনাম:
- যে কারণে রেকর্ড পরিমাণ কালো টাকা বৈধ -দৈনিক ইত্তেফাকঃ
- আইনের শাসন না থাকায় কারও নিরাপত্তা নেই: ফখরুল -দৈনিক সমকাল
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ -কালের কণ্ঠ
- বিচারকের কাছে ২ কোটি টাকা ঘুষ দাবি রাজউক পরিচালকের -মানবজমিন
- ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ -যুগান্তর
- নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু করবেন ট্রাম্প! -বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- উপকূলে ভেসে এল দেহাংশ, ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা-আনন্দবাজার পত্রিকা
- পশ্চিমবঙ্গে ২০০টির বেশি আসন পাবেন বলেই ফের দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির -সংবাদ প্রতিদিন
- ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে কোভিড টিকাকরণ, জানাল কেন্দ্র-দৈনিক আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
বিচারকের কাছে ২ কোটি টাকা ঘুষ দাবি রাজউক পরিচালকের-দৈনিক মানবজমিন

সরকারি প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া প্লটের কাগজপত্র ঠিক করে দেয়ার বিনিময়ে একজন বিচারকের কাছে দুই কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (এস্টেট) শেখ শাহীনুল ইসলাম। দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় ওই বিচারক রাজউক চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে তিনি স্পষ্টতই রাজউক পরিচালকের ঘুষ দাবির বিষয়টি উল্লেখ করেন। রাজউক’র ওই পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া গোল্ডেন মনিরের প্লট বাণিজ্যের সঙ্গেও নাম এসেছে এই পরিচালকের। অবৈধভাবে অর্থ অর্জন করে তা সুদের কারবারে খাটানোরও অভিযোগ রয়েছে শাহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. আবুল হোসেন খন্দকারের দেয়া অভিযোগ অনুযায়ী ২০০২ সালে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন তিনি। দেড় লাখ টাকা পে-অর্ডারসহ রাজউক’র শর্ত মেনে ফরম পূরণ করে জমা দেন তিনি।
২০০৫ সালের ২১শে মে দশ কাঠা পরিমাণের ওই প্লটটি তার নামে বরাদ্দ করে রাজউক। এক বছর পর প্রথম কিস্তির টাকা হিসেবে সাড়ে ছয় লাখ টাকা জমা দেন বিচারক ড. আবুল হোসেন খন্দকার। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির টাকা জমা দিতে না পারায় রাজউক’র কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন তিনি।
এরই মধ্যে ১৯৯৭ সালে রাজউক’র তৃতীয় প্রকল্পের জন্য আবেদন করা ৫ কাঠার প্লটটিও ২০০৭ সালে বরাদ্দ পান ড. আবুল হোসেন খন্দকার। সে অনুযায়ী ওই বছরের ৩১শে আগস্ট সাত লাখ টাকা জমা দেন। কিছুদিন পরে তিনি জানতে পারেন রাজউকে তার ৫ কাঠার পরিমাণের প্লটের ফাইলটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পরবর্তীতে একাধিক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২রা এপ্রিল ফাইলটি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এখানে আরেক ঘটনা ঘটে ওই বিচারকের সঙ্গে। রাজউক’র বরাদ্দ করা পাঁচ কাঠার প্লটটির ফাইল খুঁজে পাওয়া গেলেও ড. আবুল হোসেন খন্দকারের অজান্তে সেটি বাতিল করা হয়। এই বিচারকের দাবি, তার কোনো রকম অনুমতি না নিয়ে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লটটিতে আগের ৫ কাঠার প্লটটি সমন্বয় করে ফাইল গোপন রাখে রাজউক। ড. আবুল হোসেন খন্দকার জানান, বাতিল হওয়া প্লটের জমাকৃত সাড়ে সাত লাখ টাকার সঙ্গে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লটটি সমন্বয় করে দখলভার ও রেজিস্ট্রির জন্য রাজউকে আবেদন করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৩শে মে ফাইলটি জমা হয় রাজউক পরিচালক শাহীনুল ইসলামের দপ্তরে।
বিচারক ড. আবুল হোসেন খন্দকারের অভিযোগ, শাহীনুলের সঙ্গে দেখা করার জন্য চেষ্টা করলেও তিনি ব্যস্ততার কথা বলে ফাইলে হাত দেননি। ২০ মাস অপেক্ষা করেও ফাইলটির নিষ্পত্তি করা যায়নি। ড. আবুল হোসেন খন্দকার ২০ মাস ঘুরে রাজউক পরিচালক শাহীনুলের দপ্তরে সবশেষ গেল বছর ১১ই নভেম্বর আবার দেখা করতে যান। এদিন শাহীনুল তাকে ফাইলে কিছু ঝামেলা আছে, কাজ করতে হবে বলে জানান। ইনিয়ে-বিনিয়ে নানাভাবে বোঝানোর পর ড. আবুল হোসেনকে ‘খামের ব্যবস্থা’ করতে বললেন। সেদিন খামের অর্থ বোঝেননি বলে পরবর্তীতে আবার যেতে বলেন শাহীনুল।
ড. আবুল হোসেন গত ১০ই ডিসেম্বর আবারো যখন রাজউক’র এই পরিচালকের দপ্তরে হাজির হন তখন তার কাছে ২ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেন শাহীনুল। শাহীনুল ড. আবুল হোসেন খন্দকারকে বলেন, আপনি যদি ২ কোটি টাকা খরচ করতে না পারেন তাহলে আমি পাঁচ কোটি টাকায় প্লটটি বিক্রি করে দেবো।
ওই বিচারক মানবজমিনকে বলেন, সচিবালয়ের নির্দেশমালায় কোনো ফাইল কত সময় কোন টেবিলে থাকবে তা স্পষ্ট উল্লেখ আছে। কিন্তু একদিন না দু’দিন না, ২০ মাস একটি ফাইল তার দপ্তরে ঘুরেছে। এটা কেমন কথা! আর আমার ফাইল দেখার জন্য তো তাকে সরকার টাকা দিচ্ছে। আমাকে কেন দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমি রাজউক ছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনো প্রতিষ্ঠানকে পদক্ষেপ নিতে দেখছি না।
অভিযোগের বিষয়ে রাজউক পরিচালক শেখ শাহীনুল ইসলামের সঙ্গে যোগোযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে বার বার কল দেয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে শাহীনুলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে আগে থেকেই রয়েছে। সরকারি চাকরির পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা সুদে খাটানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ঋণ গ্রহীতাকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে মারধর করার ঘটনাও ঘটিয়েছেন তিনি। গত বছরের জানুয়ারিতে একটি কেমিক্যাল কোম্পানির নির্বাহী পরিচালককে সুদের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় মারধর করেন শাহিনুল। একই কোম্পানির আরেক ব্যক্তিকে গত ২০শে সেপ্টেম্বর মারধর করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ৩০% সুদে তারা শেখ শাহীনুল ইসলামের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন ওই কেমিক্যাল কোম্পানির তিন মালিক। এর চুক্তিপত্র তাদের কাছে রয়েছে। এই টাকার সুদ পরিশোধের পর আরও ৫০ লাখ টাকা তাদের ধার দেন শাহীনুল। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা তারা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু মার্চ থেকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে তাদের ব্যবসা ভালো চলছে না। টাকা ফেরত দিতে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাজউকের প্রধান কার্যালয়ে নিজের দপ্তরে ডেকে নিয়ে তাদের পৃথকভাবে মারধর করেন শাহীনুল।
রাজউকের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। র্যাব’র হাতে গ্রেপ্তার হওয়া গোল্ডেন মনিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ইস্যুতেও তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে দুদকে। এ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ৯ই ডিসেম্বর তলব করে দুদক। এদিন হাজিরা দেয়ার কথা থাকলেও শাহীনুল সময় চেয়ে আবেদন করেন। পরবর্তীতে ২৩শে ডিসেম্বর দুদকের সেগুন বাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। ওইদিন সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল শাহীনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেদিন সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি তা এড়িয়ে গিয়ে দ্রুত দুদক কার্যালয় ত্যাগ করেন।
সূত্র জানায়, রাজউকে কর্মরত থেকে ঘুষের টাকায় অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন শাহীনুল। তিনি ঢাকার উত্তরাতেই গড়েছেন ১০ তলা ভবন। যার নাম সুফিয়া ভবন। এছাড়া নিজ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রয়েছে একাধিক ইটভাটা। যা তার ভাই দেখাশোনা করেন। পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতেই একটি ডুপ্লেক্স ভিলা গড়েছেন এই রাজউক কর্মকর্তা। এছাড়া ঢাকায় আরো একটি ফ্ল্যাটের মালিক শাহীনুল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, শাহীনুলের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরিচালক শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম মানবজমিনকে বলেন, তার বিষয়ে অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্তের অনুমোদনের জন্য নোট দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে তার বিষয়ে অসুন্ধান শুরু হবে।
যে কারণে রেকর্ড পরিমাণ কালো টাকা বৈধ-দৈনিক ইত্তেফাক
গত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার ক্ষেত্রে সরকার ব্যাপক সুযোগ দেয়। এর ফল দেখা গেলো ছয় মাসের হিসাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, ৭ হাজার ৪৪৫ জন ব্যক্তি গত ছয় মাসে ১০ হাজার ২২০ কোটি অপ্রদর্শিত টাকা বৈধ করেছেন। এর বিপরীতে এনবিআর আয়কর পেয়েছে ৯৪০ কোটি টাকা।
এর আগে এতো বিপুল পরিমাণ কালো টাকা একসঙ্গে অর্থনীতির মূল স্রোতে আসেনি। অর্থমন্ত্রী যে সুযোগ দিয়েছেন, তা নেওয়ার জন্য আরো ছয় মাস সময় হাতে রয়েছে। কী কারণে মাত্র ছয় মাসেই এতো বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বৈধ হয়েছে, সে প্রশ্ন অনেকের।
অতীতে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ থাকলেও প্রযোজ্য কর দিয়ে এর উপর আরো ১০ শতাংশ জরিমানা দিতে হতো। গত অর্থবছর পর্যন্ত ব্যক্তি করদাতাদের করহার ছিল ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। কেউ এক কোটি টাকা বৈধ করতে চাইলে এর বেশিরভাগের উপরই ৩০ শতাংশ আয়কর প্রযোজ্য হতো। প্রদেয় করের ওপর আরো ১০ শতাংশ জরিমানা দিতে হতো। ফলে যারা নিয়ম মেনে কর দিতেন, কালো টাকা বৈধ করতে হলে তাদের চেয়ে কিছু হলেও বেশি দিতে হতো। কিন্তু এবার আইন হয়েছে, জরিমানা তো নয়ই। সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ করও নয়। মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়েই যেকোনো টাকা (এমনকি নগদ কিংবা ব্যাংক জমা) বৈধ করা যাবে। এটি কালো টাকা বৈধ হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর চেয়ে বড় কারণ হলো, অতীতে কর দিয়ে টাকা বৈধ করা হলে ওই টাকার উৎস নিয়ে আয়কর বিভাগ কেবল প্রশ্ন তুলতো না। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কিংবা অন্য কোনো গোয়েন্দা সংস্থা চাইলে এ বিষয়ে খোঁজ খবর করতে পারতো। ফলে কর বিভাগ সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও দুদকের ভয়ে অনেকে টাকা বৈধ করতে আগ্রহী হতেন না। এবার এনবিআর তো নয়ই, অন্য কোন সংস্থারও এসব অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ এই টাকা কোথা থেকে এসেছে, এ প্রশ্ন কেউ তুলতে পারবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত এ দুটি কারণেই এবার এতো বেশি পরিমাণে কালো টাকা বৈধ হয়েছে। আগামী ছয় মাসেও একইভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা অর্থনীতির মূল স্রোতে আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ-কালের কণ্ঠ
আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। পূর্ণতা পায় বাঙালির বিজয়।
ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ-দৈনিক যুগান্তর
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রোববার। এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির উদ্দেশে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এ মাহেন্দ্রক্ষণে আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি- প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে হলেও ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখব। জাতির পিতা যে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কার্যকরী ভূমিকা রাখব, ইনশাআল্লাহ।’ তিনি বলেন, আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দিয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করি এবং পরপর তিনদফা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হই। আমরা জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছি। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে’, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বারো বছরে আমরা উন্নয়নের সব সূচকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছি। অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছি। আমরা দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছি। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। এখন আমাদের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৬ বছর। ৯৯ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। পদ্মা সেতুর সব স্প্যান বসানোর ফলে বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা নদীর দু’প্রান্ত এখন সংযুক্ত হয়েছে। রাজধানীতে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আজ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি।’
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশিতে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করায় সুনীল-অর্থনীতির দ্বার এখন উন্মুক্ত। প্রথম ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’র সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১ অর্জন প্রায় শেষ। মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করা হয়েছে কেউ গৃহহীন থাকবে না। শহরের সব সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে দেয়া হবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’ প্রণয়নসহ ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ নামে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনার সুবিধার প্রভাব-বন্ধ হওয়ার উপক্রম ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্যও এখন ভালো-দৈনিক ইত্তেফাক
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত অর্থনীতির গতি ফেরাতে ব্যাংকগুলোকে ঋণসহায়তা প্রদানের নির্দেশনা দিলেও উদ্যোক্তা-দের বেশির ভাগই সুবিধা পাননি। সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করতে ব্যাংকগুলোকে বেশ কিছু সুবিধাও দেওয়া হয়। সেই সুবিধা নিয়ে নিজেদের আর্থিক অবস্থান সুসংহত করেছে ব্যাংকগুলো।
নগদ মুনাফা তুলতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। ঋণ ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কার কথা বলে উদ্যোক্তাদের বঞ্চিত করেছে। যে কারণে করোনায় সরকারঘোষিত ঋণসহায়তার প্যাকেজ ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, বাড়তি তারল্যের জোগান নিশ্চিত হওয়ায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে নগদ মুনাফা তুলছে ব্যাংকগুলো। এই সুবাদে এমনকি বন্ধ হওয়ার উপক্রম ছিল এমন ব্যাংকগুলোও এখন ভালো অবস্থায় পৌঁছেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণসহায়তা না দিয়ে ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ার সমালোচনাও করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, এ খাতের ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর টালবাহানা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা যথাসময়ে ও পরিমাণমতো ঋণ না পাওয়ায় প্রণোদনার প্রত্যাশিত সুফল মেলেনি।
২০২০ সালে ৬২৬ শিশু ধর্ষণের শিকার-দৈনিক মানবজমিন
গত বছর ৬২৬ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ১৪ জন। আজ শনিবার এক ওয়েবিনারে এ তথ্য দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। তারা বলছে, ২০২০ সালে ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে আরও ৫০ জন শিশু।
সংস্থাটি বলছে, করোনার এই সময়কালে শিশু নির্যাতনের পাশাপাশি বাল্যবিবাহও বেড়ে গেছে।
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
পশ্চিমবঙ্গে ২০০টির বেশি আসন পাবেন বলেই ফের দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির-দৈনিকসংবাদ প্রতিদিন
শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন।বাংলা দখলই লক্ষ্য বিজেপির। তাই তার আগে দফায় দফায় বঙ্গ সফরে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার ফের বঙ্গসফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। বিজেপির সভাপতি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের যা পরিস্থিতি দেখছি তাতে এবার এই রাজ্যে আমরা ২০০টির বেশি আসন পাবই। টোপর মাথায় দিতে বিয়ে করতে এসেছিলাম বাঙালির সংস্কৃতি আমি ভালই জানি।
উপকূলে ভেসে এল দেহাংশ, ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা-আনন্দবাজার পত্রিকা
যাত্রী সমেত বিমান যে সাগরে ভেঙে পড়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল আগেই। ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে এ বার উপকূলে ভেসে এল যাত্রীদের দেহাংশ। এই অবস্থায় পাইলট, বিমানকর্মী-সহ যে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি উড়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধারণা উদ্ধারকারীদের।
জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র ইয়ুসরি ইউনুস সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘রবিবার সকাল পর্যন্ত দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করা গিয়েছে। তার মধ্যে একটিতে যাত্রীদের দেহাংশ মিলেছে। অন্যটিতে তাঁদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের টুকরো।’’
ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং মৃতদেহ উদ্ধারে রবিবার দুপুর থেকেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে যায়। রাতে কিছু সময়ের জন্য তা বন্ধ রাখতে হয়। সকাল হতেই ফের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে। উদ্ধারকার্য চালাতে এই মুহূর্তে ১০টি জাহাজ নামিয়েছে জাকার্তা প্রশাসন। এ ছাড়াও নৌবাহিনীর ডুবুরিদেরও নামানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষের টুকরো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১০
- বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।