কথাবার্তা: অভিশংসিত ট্রাম্প- কলঙ্কিত ইতিহাস, সিনেটে ট্রায়াল কবে শুরু-তাকিয়ে বিশ্ব!
প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১৪ জানুয়ারি বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।
প্রথমে বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ‘কলঙ্কিত’ ইতিহাস গড়লেন ট্রাম্প -ইত্তেফাক
- করোনার টিকা নিয়ে অপরাজনীতির প্রয়াস চলছে: কাদের-দৈনিক সমকাল
- আনুশকা ধর্ষণ ও হত্যা-দিহানের তিন বন্ধুকে বিচারের আওতায় আনার দাবি-কালের কণ্ঠ
- কি বলেন মার্কিনিরা-ট্রাম্পকে অভিশংসন প্রতীকী, তবে অত্যাবশ্যক-মানবজমিন
- বেশি দামে টিকা কিনে লুটপাটের উৎসবের প্রস্তুতি-মির্জা ফখরুল-যুগান্তর
- রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে ৫ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- কাল দেশের ৩ হাজার কেন্দ্রে ৩ লক্ষ মানুষকে টিকা, সূচনায় প্রধানমন্ত্রী-আনন্দবাজার পত্রিকা
- আপাতত কৃষি আইনের সমর্থনে প্রচার নয়, হরিয়ানার নেতাদের নির্দেশ শাহর! তুঙ্গে জল্পনা -সংবাদ প্রতিদিন
- ‘ওয়াইসি আমাদের বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশে জিততে সহায়ক হবে: সাক্ষী মহারাজ -দৈনিক আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্প অভিশংসিত, এরপর কি ঘটবে!-দৈনিক মানবজমিন
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘কলঙ্কিত’ ইতিহাস গড়লেন ট্রাম্প। দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত হলেন। দেশটির স্থানীয় সময় বুধবার প্রতিনিধি পরিষদে ২৩২-১৯৭ ভোটে ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হয়। ডেমোক্র্যাটদের আনা এই প্রস্তাবে ১০ জন রিপাবলিকান নেতা ভোট দেন ।
এরপর কি ঘটবে সেদিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ব। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে রিপোর্ট করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অভিশংসন প্রক্রিয়া কি শেষ?
না। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব এনে তাকে অভিশংসিত করেছে। এখন এই প্রস্তাব পাঠিয়ে দেয়া হবে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে।

ট্রাম্প দোষী কিনা তা নির্ধারণ করতে সেখানে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে। তারপর প্রস্তাবের ওপর ভোট হবে। যদি সিনেটের কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন তাহলে তিনি অভিযুক্ত হবেন। সিনেটে মোট সদস্য সংখ্যা ১০০। যদি ভোটের দিন তারা সবাই উপস্থিত থাকেন, তাহলে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করতে হলে কমপক্ষে ১৭ জন রিপাবলিকানের ভোট প্রয়োজন হবে ডেমোক্রেটদের।
সিনেটে ট্রায়াল কখন শুরু হবে?
কালবিলম্ব না করে অভিশংসন প্রস্তাবের ট্রায়াল শুরুর জন্য ডেমোক্রেটদের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাকলেন। তিনি বলেছেন, ছুটি শেষে সিনেট অধিবেশন বসবে ১৯ শে জানুয়ারি। তার আগে এই ট্রায়াল শুরু করা যাবে না। এর অর্থ হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০ শে জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়ার পর এই ট্রায়াল চলতে থাকবে সিনেটে। তবে সিনেটে এই ট্রায়াল শুরু হওয়ার আগে অবশ্যই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেটের কাছে হস্তান্তর করতে হবে প্রতিনিধি পরিষদকে।
সিনেট ট্রায়ালে ট্রাম্প কি ব্যবস্থা নেবেন?
প্রতিনিধি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে একটিমাত্র আর্টিকেলের ওপর ট্রাম্পকে অভিশংসন অনুমোদন দিয়েছে। সেটা হলো ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতায় উস্কানি’ দেয়া। ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা সৃষ্টির আগে ট্রাম্প তার হাজারো সমর্থকদের উদ্দেশে যে বক্তব্য রেখেছিলেন, সেদিকে জোর দেয়া হয়েছে এতে। তবে ট্রায়ালে ট্রাম্প এটা বলতে পারেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর অধীনে মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত আছে। তার অধীনে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। এ ছাড়া তিনি সমর্থকদের ‘ফাইট’ করার আহ্বান জানালেও এর আক্ষরিক অর্থ সহিংসতায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান নয়। বুধবার ট্রাম্প একটি ভিডিওটেপ প্রকাশ করেছেন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের পর। এতে তিনি গত সপ্তাহের সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা এবং ভাঙচুরের কোনো স্থান নেই। আমাদের আন্দোলনেও এর কোনো স্থান নেই।
তাহলে কি একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করা যায়?
হ্যাঁ। এ বিষয়ে বিজ্ঞজনরা মনে করেন যে, ‘লেট ইমপিচমেন্ট’ সংবিধানসম্মত। অর্থাৎ একজন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা থেকে সরে গেলেও তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া চালানো যেতে পারে। এসব পণ্ডিতজন উল্লেখ করেন, অভিশংসন শুধু ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্যই ব্যবহার করা হয় না। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট পদে বা সরকারি পদে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এর অর্থ হলো ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করলেও তার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর উপায় আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বলা হয়েছে, কেউ একজন অভিযুক্ত হয়ে শাস্তি পেলে তিনি সম্মানজনক কোনো পদ ধারণ ও তা উপভোগ করার ক্ষেত্রে অযোগ্য হয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা ও লাভজনক পদ থেকেও তিনি অযোগ্য হয়ে যান। এখন সিনেট প্রক্রিয়ায় ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করতে হাতেগোনা কয়েকজন সিনেটরের প্রয়োজন ডেমোক্রেটদের। এমন ভোট হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অভিযুক্ত হওয়ার পর। তবে কাউকে অযোগ্য ঘোষণা করতে তাকে অভিযুক্ত হতে হয় কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এই প্রক্রিয়া কতদিন স্থায়ী হবে?
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কিভাবে অভিশংসিত করতে হবে এ বিষয়ে সিনেটের নিজস্ব আইন আছে। বর্তমান আইনের অধীনে একটি ট্রায়াল অল্প দু’চার দিনের মধ্যে হতে হয়।
ঐতিহাসিক দ্বিতীয় দফা ইমপিচ ট্রাম্পের!-দৈনিক মানবজমিন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ঐতিহাসিক দ্বিতীয় দফা অভিশংসন করা হয়েছে। নিজ সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহে উস্কানী দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। দেশের ইতিহাসে ট্রাম্পই একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি চার বছর মেয়াদকালে দু’বার অভিশংসনের মুখে পড়েছেন এবং এবার তার নিজের দলেরও এতে সমর্থন রয়েছে। ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির ১০ জন ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সদস্য এই অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। মোট ২শ ৩২ ভোট পেয়ে প্রতিনিধি পরিষদে এই প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১শ ৯৭টি। এখন এই প্রস্তাবটি পাঠানো হবে সিনেটে। সেখানে তার বিরুদ্ধে ট্রায়াল বা শুনানি হবে।
যদি সেখানে তিনি অভিযুক্ত হন, তাহলে জীবনে দ্বিতীয়বার সরকারি পদ বা প্রেসিডেন্টের পদে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে তার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ, তিনি আর প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না কোনোদিন। তবে যেহেতু তার ক্ষমতার মেয়াদ আর মাত্র এক সপ্তাহ আছে, তাই অভিযুক্ত হওয়ার কারণে হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করার কোনো ঝুঁকি নেই। কারণ, সিনেট অধিবেশনের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। এ অবস্থায় ট্রাম্পকে ২০ শে জানুয়ারি হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে ডেমোক্রেট দল থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে উঠবে হোয়াইট হাউজের চাবি। এ খবর দিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
উল্লেখ, ২০১৯ সালে ইউক্রেন কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকায় প্রথম বার ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হয়েছিল। এই ইমপিচ প্রস্তাব গ্রহণের অব্যবহিত পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক ভিডিওবার্তায় ক্যাপিটল হিলে হামলায় দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান। তবে তিনি তার ইমপিচ নিয়ে কিছু বলেননি। ট্রাম্প বলেন, নতুন প্রশাসনের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান নির্বিঘœ করতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ যদিও আর মাত্র এক সপ্তাহেরও কম। এই প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনপ্রণেতারা বলেন, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। আজ আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন। আমেরিকার গণতন্ত্রের উপর নগ্ন হামলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। ট্রাম্প দেশের গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছেন। ক্যাপিটল হিল হামলা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।
এদিকে, মার্কিন রাজধানী ওয়াশিংটনে এ উপলক্ষ্যে নেয়া হয় নজিরবিহীন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ওয়াশিংটনকে অবরুদ্ধ করে ফেলা হয় সব দিক থেকে । হাজার হাজার ন্যাশনাল গার্ড, সিক্রেট সার্ভিস সদস্য, এফবিআই এজেন্ট, বিভিন্ন পুলিশ বাহিনীর সশস্ত্র লোকজন ঘিরে আছে ক্যাপিটল হিল সহ গোটা ওয়াশিংটন ডিসি। নগরীর রাস্তায় রাস্তায় দেয়া হয়েছে ব্যারিকেড। মোড়ে মোড়ে, সড়ক মহাসড়কে বসানো হয়েছে চেক পোস্ট। জায়গায় জায়গায় তল্লাশী চালানো হচ্ছে মেটাল ডিটেকটর বসিয়ে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাজধানীর সকল প্রবেশ পথ। ওয়াশিংটন এখন যেনো এক ভূতুড়ে নগরী। সংবাদ সংস্থা সিএনএন ও এবিসি নিউজ জানায়, তাদের রিপোর্টার ও ক্রুদের স্থানে স্থানে পরিচয়পত্র দেখিয়ে তবেই নগরীত ঢুকতে দেয়া হয়। সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পায়ে হেঁটেও লোকজনের চলাচল নেই। সাত ফুট উঁচু লোহার সীমানা প্রচীর বসিয়ে চারদিক ঘিরে ফেলা হয়েছে ক্যাপিটল ভবন ও হোয়াইট হাউস। কয়েক ফুট দূর দূর সারি বেধে দাঁড়িয়ে আছে ন্যাশনাল গার্ড। ২০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে আরো ৮টি রাজ্য থেকে আনা বিভিন্ন চৌকস দল।
বুধবার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের সকল নগর পুলিশের প্রধানদের সাথে ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সে যোগ দেন এফবিআইর ভারপ্রাপ্ত পরিচলক ক্রিস্টোফার ওরেই এবং ইউএসসিআইএস পরিচালক ক্যান কুসিনেলি। ক্যাপিটল হিলের সন্ত্রাসী ঘটনায় দেশব্যাপী ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ১শ ৭০টি। ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন। এমন অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হযনি নাইন ইলেভেন পরর্বতী সময়েও। ট্রাম্পের উগ্রবাদী সমর্থকদের সশস্ত্র যেকোন হামলা ঠেকাতে এমন নিরাপত্তা বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের পরও বলবৎ রাখা হতে পারে।
ট্রাম্পের বিপক্ষে তার নিজের রিপাবলিকান পার্টির যেসব কংগ্রেসের সদস্য অভিশংসনে ভোট দেন তারা হচ্ছেন- আ্যডাম কিন্জিন্গার (ইলিনয়), লিজ চেনি (ওয়োমিং), জন কাটকো (নিউইয়র্ক), ফ্রেড আপটন ও পিটার মায়ার (মিশিগান), জেইম বিউটলার এবং ড্যান নিউহাউস (ওয়াশিংটন), এ্যান্টনি গন্জালেস (ওহাইয়ো), টম রাইস (সাউথ ক্যারোলাইনা) ও ডেভিড ভালাডো (ক্যালিফোর্নিয়া)।
বাংলাদেশের রাজনীতির খবর:
বিএনপির বক্তব্য ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’-তথ্যমন্ত্রী-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’র মতো। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব ও তাদের কয়েকজন নেতা বলেছেন, সামনে ১৬ জানুয়ারি যে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেটিও সুষ্ঠু হবে না। প্রকৃতপক্ষে প্রথম দফা নির্বাচনে তারা মাত্র দুটি পৌরসভায় জয় পাওয়ায় লজ্জা ঢাকার জন্য প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে এ কথা বলা ছাড়া তাদের কোনো বক্তব্য নেই।
দৈনিকটির অন্য একটি শিরোনামের খবরে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ ছাপা হয়েছে। তিনি বলেছেন, বেশি দামে টিকা কিনে লুটপাটের উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, দেশে ডাকাতির রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যার সবশেষ নজির অতিরিক্ত দাম দিয়ে করোনার টিকা আমদানি।এই আমদানির মধ্য দিয়ে লুটপাটের আরেক উৎসব চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুই ডলারের করোনার টিকা পাঁচ ডলারে ক্রয় করা হচ্ছে শুধু দুর্নীতির জন্য। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এদিকে দৈনিক সমকালের খবরে লেখা হয়েছে, দেশের কল্যাণকর প্রতিটি কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই এখন বিএনপির স্বভাবে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, করোনার শুরুতে যারা ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়েছিল, তারাই এখন নতুন করে অপপ্রচার শুরু করছে টিকা নিয়ে। তথ্যমন্ত্রীও মির্জা ফখরুলের অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ভারত থেকে নাকি ৪৭% বেশি দামে আমরা ভ্যাকসিন কিনছি-এ রিপোর্টও সত্য নয়, এটিও মিথ্যা।
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র উচ্ছেদ করতে যুবকদের ডাক দিলেন মোদি-ভারতের বিভিন্ন দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে লেখা হয়েছে, গণতন্ত্রের সব থেকে বড় শত্রু পরিবারতন্ত্র। আর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে পরিবারতান্ত্রিকতা। এই ব্যবস্থা উচ্ছেদ করতে পারে তরুণরাই। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে যুব সংসদে দেশের যুবশক্তির কাছে এই আহ্বান পৌঁছে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসন্ন চারটি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র বিজেপির একটি বড় হাতিয়ার। নরেন্দ্র মোদি তার ভাষণে বলেন, একটা সময় ছিল যখন রাজনীতি ছিল ব্রাত্য। কেউ রাজনীতিতে আসতে চাইতো না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে।
তরুণ সম্প্রদায় যেন আরও বেশি করে রাজনীতিতে আসে কারণ, তারাই পারে এই পরিবারতন্ত্রকে উৎখাত করতে। কংগ্রেসের নেহেরু-গান্ধী পরিবার সম্পর্কে বিজেপির ক্রোধ দীর্ঘদিনের। পশ্চিম বাংলায় মমতা বন্দোপাধ্যায় এর ভাইপো অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর উত্থান এই পরিবারতন্ত্রের ফসল বলেই বিজেপি মনে করে। তামিলনাড়ুতেও করুণানিধির সন্তানদের রাজনীতির বিভিন্ন শাখায় আনাগোনাকে বিজেপি পরিবারতান্ত্রিকতা বলেই প্রচার চালিয়ে থাকে। এর প্রেক্ষিতে মোদির এই ভাষণ যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
আপাতত কৃষি আইনের সমর্থনে প্রচার নয়, হরিয়ানার নেতাদের নির্দেশ শাহর! তুঙ্গে জল্পনা-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
বিতর্কিত কৃষি আইনের সমর্থনে আপাতত কোনও কর্মসূচি নয়। হরিয়ানার বিজেপি সরকারকে এমনই নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আসলে দিন দুয়েক আগে হরিয়ানার কার্নলে কৃষি আইনের সমর্থনে হতে চলা মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চে রীতিমতো তাণ্ডব চালান বিক্ষোভরত কৃষকরা। ওই মঞ্চে বক্তৃতা রাখার কথা ছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারের (ML Khattar)। সেই মঞ্চের বিশৃঙ্খলা দেখে সাময়িকভাবে এই ধরনের কর্মসূচিগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহ। আসলে তিনি চান না কোনওভাবেই সরাসরি কৃষক বনাম পুলিশ সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হোক। বুধবার হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী কানওয়ার পাল গুজ্জর (Kanwar Pal Gujjar) একথা জানিয়েছেন।হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রীর কথায়,”কার্নলে যা হল, সেটা দেখার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপাতত রাজ্যে কৃষি আইনের পক্ষে কর্মসূচি নিতে নিষেধ করে দিয়েছেন। আমরা কোনওভাবেই কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই না।
‘ওয়াইসি আমাদের বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশে জিততে সহায়ক হবে: সাক্ষী মহারাজ-দৈনিক আজকাল
আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দল যদি পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় লড়ে তাহলে বিজেপির সেখানে জেতা সহজ হবে। এমনটাই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের উন্নাও লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। এইআইএমআইএম সুপ্রিমো সম্বন্ধে সাক্ষী মহারাজের মন্তব্য, ‘এটা ঈশ্বরের কৃপা। ঈশ্বর ওনাকে শক্তি দিন। উনি বিহারে আমাদের সাহায্য করেছেন এবং উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গেও করবেন।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বিহার বিধানসভা ভোটে লড়েছিল এআইএমআইএম। এবং সংখ্যালঘু ভোটের একাংশ মহাজোটের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় তারা। যার ফলে এনডিএ–র জয়ের পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। তখন থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, এআইএমআইএম আসলে বিজেপির পক্ষে লড়েছে। এবার সাক্ষী মহারাজের মন্তব্যের পর ইন্টারনেটে ওয়াইসির দলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এআইএমআইএম–কে বিজেপির বি–টিম বলে কটাক্ষ করেছে নেটিজেনরা। ডিসেম্বরেই ওয়াইসি ঘোষণা করেছিলেন তিনি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন প্রাক্তন বিজেপি জোট শরিক ওমপ্রকাশ রাজভরের দল সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি বা এসবিএসপি–র সঙ্গে জোট বেঁধে। বাংলা ভোটের কথা মাথায় রেখে কিছুদিন আগে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করলেও এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি ওয়াইসি।
কাল দেশের ৩ হাজার কেন্দ্রে ৩ লক্ষ মানুষকে টিকা, সূচনায় প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
কাল শুক্রবার দেশ জুড়ে শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসের টিকাকরণ কর্মসূচি। টিকাকরণের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের ৩ হাজার কেন্দ্রে প্রথম দিন ৩ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে, জানিয়েছেন দেশের টিকা সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের প্রধান তথা নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল।
দৈনিকটির অন্য একটি খবরের শিরোনাম-গৃহহীনদের দায় নেবে প্রশাসন, বাগবাজারে বললেন মমতা-দৈনিক আনন্দবাজার
বাগবাজারে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বস্তির গৃহহীন মানুষের থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব নিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বুধবার রাতে বাগবাজারের ওই বস্তি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।