এপ্রিল ১১, ২০২১ ১৬:২৪ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ । আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১১ এপ্রিল রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত- প্রথম আলো
  • মামুনুলের দ্বিতীয় স্ত্রী নিখোঁজ জানিয়ে পল্টন থানায় জিডি – যুগান্তর
  • কঠোর লকডাউন নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠ-সবার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ-যুগান্তর
  • দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে মধ্যবিত্ত-নিম্নব্ত্তিদের- ইত্তেফাক
  • রুপগঞ্জে হেফাজত নেতা লোকমান হোসেন আমিনী গ্রেপ্তার- বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • করোনা উপসর্গ দেখা দিলে'আইসোলেন'থাকবেন যেভাবে- সমকাল
  • করোনায় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুবতীদের যৌন ব্যবসা বেড়েছে এক তৃতীয়ংশ-মানবজমিন

ভারতের শিরোনাম:

-আনন্দবাজার পত্রিকা    

  • তথ্য লুকোতেই ৭২ ঘন্টা কোচবিহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন-মমতার অভিযোগ-আজকাল
  • এটা 'গণহহত্যা' শীতলকুচির ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মৃতদের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস মমতার-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত-প্রথম আলো,যুগান্তর, ইত্তেফাকসহ প্রায় সব দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে খবরটি। খবরটিতে লেখা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোববার আইসিডিডিআরবির রিপোর্টে তার করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের কোভিড পজিটিভের সত্যতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলামও যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন। তবে খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তার পরিবার জানে না।  বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাগনে ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুন যুগান্তরকে বলেন, খালেদা জিয়ার  করোনা আক্রান্ত খবর ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিনিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দেখেছেন। উনি ব্যক্তিগতভাবে গুলশান কার্যালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তিনি নিশ্চিত নন।

মামুনুলের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ নিখোঁজ জানিয়ে পল্টন থানায় জিডি-ইত্তেফাক/প্রথম আলো

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর খোঁজ পাচ্ছেন না বলে জানিয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের পক্ষের ছেলে এ জিডি করেছেন। পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জিডিতে তার ছেলে বলেছেন, গত ৩ এপ্রিল থেকে মায়ের খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি। তিনি নিজের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত। 

কঠোর লকডাউন নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠ-সবার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ-যুগান্তর

লকডাউন

এ খবরে লেখা হয়েছে, করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।তবে কঠোর লকডাউনের প্রভাবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে,কত মানুষ বেকার হবে,সাধারণ মানুষ কিভাবে তাদের  সংসার চালাবে সে বিষয়টি ভেবে দেখার আহবান জানানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মহলের অভিমত-লকডাউনে লন্ডভন্ড হয়ে পড়বে অর্থনীতি।গতবারের ভুল যেন ফের না হয়, গার্মেন্টস কলকারখানো খোলা রাখার জোরালো দাবি জানিয়েছে তারা। ইত্তেফাক লিখেছে লকডাউনে ৫৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছে।

দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তদের -ইত্তেফাক

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে। এ লকডাউনের মধ্যে সাধারণ শ্রমজীবীরা কর্মহীন হয়ে পড়ে। সারাদেশে কর্মক্ষেত্র স্বাভাবিক করতে শ্রমজীবীদের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ করা হয়। তাদের চাপের মুখে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সময় কিছু কর্মক্ষেত্র খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। এসব মানুষের মনে কিছুটা আশার আলো সঞ্চয় হয়েছিলো। তবে, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে আবারও সারাদেশব্যাপী এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সর্বাত্মক লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া অন্য সবকিছু বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জীবিকা নিয়ে ফের শংকায় পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণির শ্রমজীবী মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষজন।

করোনার উপসর্গ দেখা দিলে 'আইসোলেশনে' থাকবেন যেভাবে-সমকাল

দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে বা সন্দেহ হলে প্রথমেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে পুরোপুরি আলাদা থাকতে হবে। তা না  হলে বাসা, পরিবার, কর্মস্থল, বা সামাজিক পরিমণ্ডলে অন্য যারা আছেন তাদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত জ্বর ও শুকনো কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পায়। ধীরে ধীরে গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এবার অবশ্য অনেকের পেটের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই নিজেকে অন্যদের সংস্পর্শ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলতে হবে।

অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, সেলফ আইসোলেশনে কিভাবে থাকবেন। বিষেজ্ঞদের মতে, করোনার লক্ষণ থাকলে ঘরে থাকতে হবে। কর্মস্থল বা লোকসমাগম হয় এমন কোন প্রকাশ্য স্থানে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। এছাড়া গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইসোলেশনে থাকার সময় ভালোভাবে যাতে ঘরে বাতাস যায় এজন্য জানালা আছে এমন একটি ঘরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। বাসার অন্য লোকদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। আপনাকে কেউ যেন 'দেখতে না আসে' তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাজার-হাট কিংবা ওষুধের মতো দরকারি কোনো জিনিস কিনতে হলে পরিবারের সদস্য, বন্ধুদের বলুন।

আপনার জন্য কেউ খাবার বা জিনিসপত্র দিতে এলে ঘরের দরজার বাইরে সেগুলো রেখে দিতে বলুন। কারো বাড়িতে কেউ আইসোলেশনে থাকলে ঘরের মেঝে, টেবিল চেয়ারের উপরিভাগ প্রতিদিন তরল সাবান বা অন্য জীবাণূনাশক কিছু দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।

যদি ঘরে থাকার জন্য আলাদা রুম না থাকে থাহলে ঘরের অন্য সদস্যদের সাথে যতটা সম্ভব সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ মিটার বা ৬ ফুট দূরে থাকতে হবে। ঘুমানোর সময় একা  ঘুমাতে হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ যাদের জন্য বেশি বিপজ্জনক হতে পারে - যেমন বয়স্ক মানুষেরা - তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। আইসোলেশনে থাকা কোন ব্যক্তির সাথে যারা এক বাড়িতে বসবাস করছেন, তাদের ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। বিশেষ করে সংক্রমিত কারো সংস্পর্শে আসার পর অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।

এছাড়া আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে তোয়ালে, টুথপেস্ট, সাবান, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা এরকম কোন টয়লেট্রিজ জিনিস ব্যবহার করা যাবে না।

আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির আলাদা একটি বাথরুম ব্যবহার করা উচিত। সেটা সম্ভব না হলে নিয়ম করে সেটা ব্যবহার করতে হবে। আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির ব্যবহারের পর সম্ভব হলে সেটি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

যিনি আইসোলেশনে আছেন তার ফেলা বা সংস্পর্শে আসা সব রকম আবর্জনা একটি ময়লার ব্যাগে ভরে তা আবার আরেকটি ব্যাগে করে রাখুন। আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির করোনাভাইরাস নিশ্চিত হলে ওই আবর্জনা কীভাবে ফেলতে হবে, সে ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সূত্র : বিবিসি

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত: 

এটা গণহত্যা’, শীতলকুচির ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মৃতদের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস মমতার-সংবাদ প্রতিদিন

শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়েই শনিবার বিকেলে শিলিগুড়ি পৌঁছেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবিবার শীতলকুচি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। সেই কারণেই এদিন সকালে  সাংবাদিক বৈঠক থেকেই ভিডিও কলে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আশ্বাস দিলেন পাশে থাকার। আগামী ১৪ এপ্রিল শীতলকুচি গিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন বলেও জানালেন তিনি। ঘটনাকে গণহত্যা বলে মন্তব্য করলেন মমতা।

রাজবংশী আনন্দর মৃত্যুতে দিদি চুপ কেন?’ শীতলকুচি নিয়ে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির অভিযোগ শাহের-আনন্দবাজার পত্রিকা

শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ‘ভোটব্যাঙ্ক’-এর রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুললেন অমিত শাহ। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন তিনি। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর আগেই বুথের লাইনে মৃত তরুণ সম্পর্কে মমতা চুপ কেন সেই প্রশ্নও তোলেন অমিত।

শনিবার শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন মমতা। রবিবার রাজ্যে এসে মমতাকে পাল্টা আক্রমণ করে অমিত বললেন, ‘‘শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তোষণের রাজনীতি করছেন তৃণমূল নেত্রী।

দেশজুড়ে চলছে ‘টিকা উৎসব’! দেশবাসীকে ৪ টি বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিলেন নরেন্দ্র মোদি-আজকাল

আজ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল ‘টিকা উৎসব’। করোনাকে হারাতে এই টিকা উৎসবের প্রাসঙ্গিকতা অনস্বীকার্য বলে মনে করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪ দিন ব্যাপী টিকা উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষের শরীরে করোনার টিকা প্রয়োগ করে ফেলতে হবে। ৪৫ বছরের বেশি যাঁদের বয়স তাঁদেরকে দ্রুত করোনার টিকা দিয়ে ফেলতে হবে। এদিন টিকা উৎসবের শুরুতেই টুইট করে দেশবাসীকে চারটি বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে মোদি লেখেন, যাঁদের করোনা টিকার খুব প্রয়োজন তাঁদের সাহায্য করুন। করোনা আক্রান্তরা যাতে চিকিৎসা পায়, সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে নিশ্চিত করুন। দেশের প্রত্যেক নাগরিককে অনুরোধ করছি মাস্ক পরুন এবং কোনও এলাকায় কেউ কোভিড আক্রান্ত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকাটিকে মাইক্রো–কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ‘টিকা উৎসব’–এর আয়োজনে উত্তরপ্রদেশ সরকার ৬ হাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে টিকাকরণ কর্মসূচী নেওয়া হবে। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল এক ওয়েবিনারে আলোচনা করেন করোনা টিকাকরণ কর্মসূচী নিয়ে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও জানান, টিকা উৎসবে বিহারের ৪ লাখ মানুষের শরীরে করোনার টিকা প্রয়োগ করা হবে। করোনা অতিমারি ঠেকাতে বিহারবাসীকে টিকা নেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছেন তিনি। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাও টুইট করে কর্ণাটরবাসীকে টিকা নেওয়ার আহবান জানান। করোনা অথিমারির সঙ্গে লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় অস্ত্র এই ভ্যাকসিন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কর্ণাটকবাসীকে মাস্ক পরার কথা স্বরণ করান তিনি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও বলেন তিনি। আবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল অন্য কথা। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের যা স্টক রয়েছে তা শেষ হয়ে যাবে। একই কথা শোনা গেল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের গলায়ও। তিনিও জানান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড ভ্যাকসিনের স্টক ফুড়িয়ে যাবে রাজস্থানে। পাঞ্জাবেও একই অবস্থা। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের কথায় আগামী ৫ দিনের মধ্যে পাঞ্জাবে কোভিড ভ্যাকসিনের সমস্ত স্টক শেষ হয়ে যাবে। তাই ‘টিকা উৎসব’ সারা দেশে শুরু হলেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা টিকার আকাল দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কেন্দ্রকে নিশানাও করছেন। #

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১১

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ