মে ২৭, ২০২১ ১৬:২৬ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২৭ মে বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • রাষ্ট্রের চেতনা বিরোধীদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা বন্ধ: ওবায়দুল কাদের -ইত্তেফাক
  • ঋণের সুদ দিতে ব্যয় বাড়ছে সরকারের -যুগান্তর
  • এলজিইডির প্রকল্প ৯টি গভীর নলকূপেই ১২০ কোটি টাকা - প্রথম আলো
  • প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডাক বিভাগকে সেবামুখী হতে হবে' -কালের কণ্ঠ
  • ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস, ভাঙন -মানবজমিন
  • হলুদ ছত্রাক সবচেয়ে আধুনিক ও সর্বাপেক্ষা প্রাণঘাতী - বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

বাইডেনের আমলে প্রথম আমেরিকা সফরে জয়শংকর, বৈঠক রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের সঙ্গেও-সংবাদ প্রতিদিন

‘যশ’ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে শুক্রবার রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, মমতার সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা–আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

ঋণের সুদ দিতে ব্যয় বাড়ছে সরকারের

ঋণের সুদ দিতে ব্যয় বাড়ছে সরকারের-যুগান্তর

  • সাত মাসে গুনতে হয়েছে ৩৫৬৯৪ কোটি টাকা
  • উচ্চমাত্রায় সুদ পরিশোধে অর্থনীতি চাপে পড়বে -আশঙ্কা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিডিএমসির

ঋণের সুদ পরিশোধে বাড়ছে সরকারের ব্যয়। চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম সাত মাসে ৩৫ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সুদ পরিশোধে। গত বছর একই সময়ে এ ব্যয় ছিল ৩২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় এই বছরে সুদ বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা। এই ব্যয় সরকারের সার্বিক মোট ব্যয়ের ২০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এদিকে উচ্চমাত্রায় সুদ পরিশোধের কারণে অর্থনীতি চাপে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনা কমিটির (ক্যাশ অ্যান্ড ডেবট ম্যানেজমেন্ট কমিটি বা সিডিএমসি)’। সর্বশেষ এ কমিটির বৈঠকে বলা হয়, করোনায় কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। ফলে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের ব্যয় মেটাতে ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও ট্রেজারি বিল থেকে বেশি মাত্রায় ধারদেনা করতে হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে। যে কারণে সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে। জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, রাজস্ব আদায়ের গতি ভালো নয়। অন্যদিকে করোনার কারণে নানা ধরনের প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিও চলছে। যে কারণে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। আর ঋণ বৃদ্ধির কারণে সুদ পরিশোধ ব্যয়ও বাড়ছে।

১৩ই জুন কি স্কুল-কলেজ খুলছে?-মানবজমিন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি থাকায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আবারো বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১২ই জুন পর্যন্ত এই ছুটি কার্যকর থাকবে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এরপর থেকে স্কুল ও কলেজ খুলে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে প্রতিষ্ঠান আদৌ খুলবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই বিষয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির একজন সদস্য মানবজমিনকে বলেন, শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে আগে এই সিদ্ধান্ত ছিল। এখন তা পুনর্বিবেচনা করেছে সরকার। সংক্রমণ পরিস্থিতি এখন যে অবস্থায় রয়েছে তা থেকে যদি কমে আসে বা একই থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। শনাক্তের হার বৃদ্ধি পেলে এই সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করা হতে পারে।

এলজিইডির প্রকল্প ৯টি গভীর নলকূপেই ১২০ কোটি টাকা-প্রথম আলো

তোঘলকি ব্যয়

একটি সরকারি প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩টি পৌরসভায় মাত্র ৯টি গভীর নলকূপ বসানো ও সেগুলো থেকে পানি সরবরাহে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। এতে একেকটি গভীর নলকূপের পেছনে ব্যয় পড়ছে ১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

আবার দুটি বাস টার্মিনালের পরিসর বৃদ্ধি ও আরেকটি নতুন করে নির্মাণে খরচ প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৫২ কোটি টাকা। একইভাবে ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে প্রস্তাব করা হয় ১৯৫ কোটি টাকার তোঘলকি ব্যয়।‘আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভর্ন্যান্স’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এভাবেই বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের বিপরীতে ‘অনুমাননির্ভর’ খরচ দেখিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এলজিইডির অনুমাননির্ভর ব্যয় প্রস্তাব। তা দেখে পরিকল্পনা কমিশন বিস্মিত।

রাষ্ট্রের চেতনা বিরোধীদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা বন্ধ: ওবায়দুল কাদের-ইত্তেফাক

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনা যারা ধারণ করে না তাদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত শিল্পীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি তার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।কোভিড ১৯ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মোকাবেলাই এখন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি, এদের মোকাবেলা করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।’তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংস্কৃতি প্রেমিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই অপশক্তির বিষবৃক্ষের মূল উৎপাটন করতে হবে।’

ঢাবি ছাত্র হাফিজুরের মৃত্যু-তদন্ত করতে গিয়ে নতুন মাদক এলএসডি উদ্ধার, ৩ শিক্ষার্থী আটক-মানবজমিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুরের মৃত্যু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুরের মৃত্যু তদন্ত করতে গিয়ে নতুন ধরনের মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ। এসময় রাজধানীর এই বাসা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রুপল ও তুর্জ এবং ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আদিব।

আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিবি জানিয়েছে, সুইডেন থেকে এলএসডি মাদক আমদানি করা হয়। অনলাইনভিত্তিক অর্থ লেনদেন (পেমেন্ট) ব্যবস্থা পেপ্যালের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়। এই তিনজনের কাছ থেকে ২০০টি এলএসডি জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি তিন হাজার টাকা মূল্যে তাঁরা বিক্রি করেন।

ডিবি সূত্র বলছে, ১৫ই মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় তাঁর তিন বন্ধু এলএসডি সেবন করান। এর প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তিনি শুধু একটি শর্টস পরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক ডাব বিক্রেতার ভ্যানে রাখা দা নিয়ে তিনি নিজের গলায় আঘাত করেন।

সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা হিসেবে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আট দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে হাফিজুরের ভাই তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।

প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডাক বিভাগকে সেবামুখী হতে হবে'-কালের কণ্ঠ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাক ভবন উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন বেশিরভাগ অনলাইন ব্যবসা চলছে ও ক্রয়-বিক্রয় চলছে। সে ক্ষেত্রে ডাক বিভাগকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডাক বিভাগকে আরো বেশি সেবামুখী হতে হবে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে ফলমূল যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ডাকের সেবাটাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডাক অধিদফতরের নবনির্মিত সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই পরামর্শ দেন।

চীনের করোনার টিকা প্রতি ডোজ ১০ ডলার-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১০ মার্কিন ডলার বা ৮৫০ টাকা (১ ডলার =৮৫ টাকা ধরে)। আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটি এ অনুমোদন দেয়। 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জুন, জুলাই ও আগস্টের শেষ দিকে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসবে।

হলুদ ছত্রাক সবচেয়ে আধুনিক ও সর্বাপেক্ষা প্রাণঘাতী-বাংলাদেশ প্রতিদিন

হলুদ ফাঙ্গাস

মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেই উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে ফাঙ্গাস/ছত্রাক। কালো এবং সাদা ফাঙ্গাসের সঙ্গে সম্প্র্রতি আরও একটি নাম আমোদের আতঙ্কিত করে তুলছে এটি হলো হলুদ ফাঙ্গাস। ভারতে বিরল ছত্রাকজনিত এ রোগটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে কালো ও সাদা ছত্রাক সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত জেনে নিই :

কালো ছত্রাক

* কালো ফাঙ্গাস/ছত্রাক : ভারতে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি কালো ছত্রাকে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এটি নাক, মুখ, চোখের কক্ষপথ-মস্তিষ্ক এবং ফুসফুস আক্রমণ করতে পারে। কভিড আক্রান্ত ব্যক্তি, ডায়াবেটিস এবং দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড চিকিৎসাধীন রোগীদের ক্ষেত্রে এটি সংক্রমণের বেশি ঝুঁকি রয়েছে। এটি দেহের রক্তনালির ভিতর প্রবেশ করে, কোষ আক্রমণ করে তাই চিকিৎসা নিতে বিলম্ব হলে এটি রোগীর জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।

* সাদা ছত্রাক : ভারতে কালো ছত্রাকের তুলনায় সাদা ছত্রাক সংক্রমণের হার অনেক কম। এর লক্ষণগুলোর সঙ্গে কভিডের লক্ষণগুলোর অনেক সাদৃশ্য আছে। যেমন শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস কিংবা ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং দীর্ঘ সময় ধরে স্টেরয়েড ব্যবহার করা ব্যক্তিদের বেশি ঝুঁকি আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

হলুদ ছত্রাক

 হলুদ ছত্রাক : হলুদ ছত্রাকের মেডিকেল নাম ‘মিউকর সেপটিকাস’। আাগে এটি সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীর দেহে সংক্রমণ ঘটাত। অন্যান্য ছত্রাকের মতো এটিও দূষিত পরিবেশে বিস্তার লাভ করে। সন্দিহান রোগীদের ক্ষেত্রে দূষিত বাতাস থেকে মিউকর মোল্ড গ্রহণের মাধ্যমে এটি তাদের দেহে প্রবেশ করতে পারে। সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে এটি অন্যান্য ছত্রাক থেকে ব্যতিক্রমধর্মী। কালো ছত্রাকের আক্রমণে দেহের পরিবর্তন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হলুদ ছত্রাক দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহে আক্রমণ শুরু করে। দেহের গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাঘাত ঘটিয়ে ফেলে এবং বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায়। শুরুতে হজমে ব্যাঘাত, ক্ষুধামন্দা ও অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস প্রকাশ পেলেও গুরুতর অবস্থায় চোখ কোটরে ঢুকে যায়। শক্তি হ্রাস ও অলসতা দেখা দেয়, ক্ষত থেকে পুঁজ নিঃসরণ ও বিলম্ব আরও গুরুতর অবস্থায় কোষের মৃত্যু  ঘটে।

অন্যান্য ছত্রাকের মতো হলুদ ছত্রাক ও উচ্চমাত্রার আর্দ্রতা বা পুরনো দূষিত খাবারের উপস্থিতির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এটি সংক্রমণের প্রধানতম কারণ। তবে অন্যান্য ছত্রাকের মতো এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা এখন পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি। প্রত্যেক ব্যক্তির স্বাস্থ্য অবস্থা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকির ওপর নির্ভর করে এটি মানবদেহে প্রাথমিক/গৌণ সংক্রমণ হিসেবে আক্রান্ত করে। তবে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল দেহে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে হ্রাস করে। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে হলুদ ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকিও বহুগুণ বেশি থাকে। তবে যেসব ব্যক্তি কভিড থেকে সেরে উঠেছেন এবং তাদের মধ্যে যাদের দীর্ঘদিন অক্সিজেন ব্যবহার কিংবা দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড ব্যবহারের ইতিহাস আছে তাদের ক্ষেত্রে এটি সংক্রমণের অধিক ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়াও ঝুঁকির তালিকায় আছেন:

যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন

সম্প্রতি অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জটিলতায় ভুগছেন-ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি/ডায়ালাইসিসে নির্ভরশীল রোগী

ছত্রাকজনিত রোগগুলো প্রতিরোধ করতে বাড়ি, হাসপাতাল সর্বত্র জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা খুব জরুরি। অক্সিজেন থেরাপি গ্রহণের আগে লক্ষ রাখতে হবে ভালোভাবে ফিল্টার করা হয়েছে কিনা। স্টেরয়েড এবং এ জাতীয় ওষুধের নির্বিচার ব্যবহার কমাতে হবে। অধিকন্তু ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের অকারণে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। মাস্কের নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

প্রাথমিকভাবে হলুদ ছত্রাকের সংক্রমণ নির্ণয় করা গেলে এটি চিকিৎসাযোগ্য তবে রোগ নির্ণয় পদ্ধতি অপেক্ষাকৃত কঠিন। অভ্যন্তরীণভাবে ছড়িয়ে পড়ার কারণে অন্যান্য ছত্রাক অপেক্ষা এটি অধিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ জন্য এ রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস, ভাঙন-মানবজমিন

বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাব

প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার বেগে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। স্থলভাগে উঠে আসার পর ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে ক্রমে শক্তি হারিয়ে ফেলে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের বড় কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় ৯ জেলার ২৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ভরা পূর্ণিমার সময় ঘূর্ণিঝড়ের হানায় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতায় জোয়ার আসে। সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্তত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গাছ পড়ে ও পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।

অবশেষে সেই জিরো আওয়ার্স এলো। সাইক্লোন ইয়াস আছড়ে পড়লো ওড়িশার বালেশ্বরের দক্ষিণ উপকূলে। বুধবার ঠিক সকাল সোয়া নটায়। ইয়াসের প্রভাবে বালেশ্বর তো বিধ্বস্তই-প্লাবিত হয় দীঘা, এগরা সহ পূর্ব   মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বহু মানুষ বিপন্ন।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বাইডেনের আমলে প্রথম আমেরিকা সফরে জয়শংকর, বৈঠক রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের সঙ্গেও-সংবাদ প্রতিদিন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ভারত-আমেরিকার সখ্যতা সর্বজনবিদিত। কিন্তু মার্কিন মসনদে এখন পালাবদল হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন জো বাইডেন। দুদেশের সম্পর্ক মজবুত করতে জো বাইডেনের আমলে প্রথমবার আমেরিকা সফর করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)সেখানে মার্কিন প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। এই আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

২৬ জানুয়ারি লালকেল্লা দখলের ছক ছিল কৃষকদের! চার্জশিটে দাবি দিল্লি পুলিশের- সংবাদ প্রতিদিন

২৬ জানুয়ারি লালকেল্লা (Red Fort) দখলের ছক ছিল কৃষকদের। ওই এলাকাতেই দ্বিতীয় আন্দোলনস্থল করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। এমনটাই দাবি দিল্লি পুলিশের। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২৬ জানুয়ারির ঘটনা নিয়ে দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে এই তথ্যই দেওয়া হয়েছে।গত ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল করেছিলেন আন্দোলনরত কৃষকরা (Farmer Protest)সেই মিছিল চলাকালীন আচমকাই দিল্লির লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন তাঁরা। এমনকী, এক কৃষক সংগঠনের পতাকা উড়িয়ে দেওয়া হয় সেখানে। এই ঘটনায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

ইয়াসের প্রভাবে ওড়িশায় ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি-গণশক্তি, আনন্দবাজারসহ প্রায় সব দৈনিকে লেখা হয়েছে,

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: মোদির পশ্চিমবঙ্গ সফরের কথা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বড় আকার ধারণ করতে না পারলেও ক্ষতি করে গেল ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের। এর প্রভাবে দুই রাজ্যের উপকূলের ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের খেত। চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ইয়াসের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ১৩৪টি নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। ডুবিয়ে দিয়েছে বহু বাড়ি, ফসল খেত, মাছের ভেড়ি, মাছ চাষের পুকুর। রাজ্যের ১৪টি জেলা ইয়াসের ক্ষতির মুখে পড়েছে। মমতা বলেন, ১ কোটি মানুষ আজ ক্ষতিগ্রস্ত। গতকাল বুধবার সকালে ইয়াস প্রথম আছড়ে পড়ে ওড়িশার বালাসোরের দক্ষিণে।

‘যশ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে শুক্রবার রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, মমতার সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা-আজকাল

ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’

অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ-এ কার্যত তছনছ বাংলার উপকূলবর্তী এলাকা এবং ওড়িশার বিস্তীর্ণ অংশ। সেই বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সূত্রের খবর, তিনি পূর্ব মেদিনীপুর অর্থাৎ যে এলাকা সবচেয়ে বেশি  বিপর্যস্ত, সেখানে পরিদর্শন করবেন। একইদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও যশ-এ তছনছ হয়ে যাওয়া  দিঘা, সাগরের মতো  এলাকা পরিদর্শনের কথা হেলিকপ্টারে। দুই প্রধান একইসঙ্গে আকাশপথে দুর্যোগ কবলিত এলাকা দেখবেন, এই সম্ভাবনাই বেশি বলে সূত্রের খবর। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঘুরে দেখবেন ওড়িশার বিধ্বস্ত এলাকাও।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ