মে ২৮, ২০২১ ১৮:৩০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২৮ মে শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • জ্বরে ভুগছেন খালেদা জিয়া-ইত্তেফাক
  • বাবার ফিরে আসার অপেক্ষায় আনিস- মানবজমিন
  • বিশ্লেষণ-শত কোটির নলকূপ ও ছাগলে অপরাধ-প্রথম আলো
  • বাস থেকে শিশুকে ছুড়ে ফেললেন সুপারভাইজার-হেলপার-দৈনিক যুগান্তর
  • জীবন বাঁচানোর বাজেট চায় বিএনপি- ফখরুল- কালের কণ্ঠ
  • বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ছাড়াল- ৩৫ লাখ-দৈনিক সমকাল
  • ভয়ঙ্কর মাদক এসএসডি কি, কী ধরনের ক্ষতি করে-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল-গুরুতর অভিযোগ কেন্দ্রের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • বিজেপি বিধায়কদের কাজে বাধা, সাহায্য করছে না রাজ্য- বিস্ফোরক শুভেন্দু–আজকাল

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

‘গুম’ হওয়া ব্যক্তিদের ফেরার অপেক্ষায় স্বজনেরা-প্রথম আলো

আনিশা-বাবার প্রতীক্ষায়

‘গুম’ হওয়া ব্যক্তিদের অবিলম্বে সন্ধান দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্বজনেরা। স্বজনেরা বলেছেন, গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফেরার অপেক্ষায় আছেন তাঁরা। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনেরা। মানববন্ধনে যাঁরা অংশ নেন, তাঁদের কারও হাতে বা গলায় ঝোলানো ছিল গুম হওয়া স্বজনের ছবি। মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল ‘গুম বন্ধ কর, গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দাও’।

প্রিয়জনের অপেক্ষা ওরা

মানববন্ধনে অংশ নেন বিএনপির ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীর ছেলে আবরার ইলিয়াস। আবরার ইলিয়াস বলেন, ‘আমরা এখনো বাবার অপেক্ষার আছি। কারণ, আমরা দেখছি, বহু বছর পর অনেকে গুম নামের কারাগার থেকে ফিরে এসেছেন।মানববন্ধনে যোগ দেন কাঠ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী নাসরিন জাহান, মেয়ে আনিশা ইসলাম ও ছেলে এনাম। তাঁরা জানান, ২০১৯ সালের ১৯ জুন ইসমাইল ‘গুম’ হন।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিশা বলে, ‘প্রতিদিন বাবার অপেক্ষায় থাকি। আমরা বাবার সন্ধান চাই।’মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘কোনো মানুষ নিখোঁজ হলে বা হারিয়ে গেলে, তাঁকে খুঁজে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। কারণ, আমাদের জানমালের নিরাপত্তা দেবে তারা। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।’

Image Caption

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম অভিযোগ করে বলেন, এখানে সম্প্রতি যাঁরা গুম হয়েছেন, তাঁরা সরকারের দ্বারাই হয়েছেন।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক গুম হওয়া ব্যক্তিদের অবিলম্বে সন্ধান দেওয়ার দাবি জানান।

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৩৫ লাখ ছাড়াল-সমকাল

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৮৭ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৫ লাখ।জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৯২টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

আরও ৩ জেলায় লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা-যুগান্তর

ঈদ পরবর্তী সংক্রমণ বাড়ার যে শঙ্কা ছিল, সেটিই এখন সত্যি হতে যাচ্ছে। ঈদের পর আবার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে সরকারের বিধিনিষেধ না মেনে শপিং ও গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ঘটনায় ঈদের পর আবারও সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। বিশেষ করে এই সংক্রমণ বাড়ছে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায়। কারণ ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি যাত্রী। তাদের অনেকে করোনা পজিটিভ হয়েছেন, শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টও পাওয়া গেছে। আর ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা-ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি? ঝুঁকিতে কারা? সুরক্ষার উপায়?-মানবজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করায় এবং বাংলাদেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকে ভাবতে শুরু করেছেন এই রোগ বাংলাদেশে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অযাচিত আতঙ্ক দূর করার জন্য জনগণের মাঝে বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।

ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি গ্রহণে যা ঘটতে পারে -ইত্তেফাক

এলএসডি মাদক

দেশজুড়ে বিভিন্ন রকম মাদকের ছড়াছড়ি হলেও দেশে এ প্রথম নতুন মাদকের সন্ধান মিলেছে। এলএসডি’র (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) নামের এ মাদকের ভয়াবহতা অন্যান্য মাদকের চেয়ে কয়েকগুন বেশী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন আশির দশকের প্রথম দিকে এমন মাদকের সন্ধান পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ সময়ের পর আবারও আলোচনায় আসে এটি।

পুলিশ বলছে, উচ্চবিত্তদের তরুণ-তরুণীরাই এ মাদক সাধারণত সেবন করে থাকে। মাদকটি সেবনে দুই ধরণের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, একটি সেবনকারীকে সাময়িক আনন্দ দেয় অন্যটি হ্যালুসিনেশন ও ইলুনেশন দুইটাই তৈরি হয়। আর হ্যালুসিনেশনটা যখন দীর্ঘায়িত হয় তখন সৃষ্টি হয় বড় সমস্যা। এমনকি ব্যক্তি পাগল পর্যন্ত হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছে মাদকটি অতিমাত্রায় গ্রহণে অনেক সুইসাইড পর্যন্ত করে বসে।

এলএসডি কী?

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনস্থ মাদক বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ড্রাগ অ্যাবিউজের তথ্য অনুযায়ী, ডি-লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড বা এলএসডি রাসায়নিক সংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি একটি পদার্থ যা বিভিন্ন ধরণের শস্যের গায়ে জন্মানো এক বিশেষ ধরণের ছত্রাকের শরীরের লাইসার্জিক অ্যাসিড থেকে তৈরি করা হয়।

এটি স্বচ্ছ, গন্ধহীন একটি পদার্থ। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের মতে এটি পাউডার, তরল, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের আকারে পাওয়া যায়।

ঢাবি শিক্ষার্থী হাফিজুরের মৃত্যু তদন্তে নতুন মাদক এলএসডি’র সন্ধান

এলএসডি’কে ‘সাইকাডেলিক’ মাদক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই ধরণের মাদকের প্রভাবে সাধারণত মানুষ নিজের আশেপাশের বাস্তবতাকে ভিন্নভাবে অনুভব করে এবং কখনো কখনো ‘হ্যালুসিনেট’ বা অলীক বস্তু প্রত্যক্ষও করে থাকে।

ডিবি বলছে, এই মাদকগুলোর ছদ্মনাম MDMA, N, M-Dimethyltryptania, psilocybin mushroom সহ LSD-25, Acid, Delysid ইত্যাদি নামের হয়ে থাকে। সাধারণত এই মাদকের ভয়াবহতার কারণে এই মাদককে LSD (Last State of Drug) বলা হয়।

নতুন এ মাদক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, আশির দশকের প্রথম দিকে এ এলএসডি মাদকদ্রব্যটির প্রচলন হয়েছিল। সারা পৃথিবীতে এ মাদকদ্রব্যটি অবৈধ এবং নিষিদ্ধ। এ মাদকটি খুবই ছোট আকারের। এটি গ্রহণের পর সেবনকারী এক ধরণের কল্পনার জগতে চলে যায়। তবে এ মাদক গ্রহণে দুই ধরণের প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, একটি হলো সাময়িকের জন্য আনন্দ পাওয়া যায় আবার আরেকটা দিক হলো হ্যালুসিনেশন, যার কারণে গ্রহণকারী কলল্পনার জগতে থাকবে সারাক্ষণ। আবার এর ফলে ইলিউশন হয় যেটি হ্যালুসিনেশন থেকে আলাদা একটি বিষয়। আপনি যেটি দেখছেন মূল বস্ত্রটি আসলে সেটা নয়। যেমন সামনে একটি রশি পরে আছে কিংবা ঝুলে আছে কিন্তু গ্রহণকারী সেটাকে সাপ ভাবছেন এবং চোখে সাপ দেখছেন। ফলে এ মাদক গ্রহণে বিভিন্ন রকম খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ মাদক গ্রহনে হ্যালুসিনেশন যদি কোন কোন ব্যাক্তির জীবনে দীর্ঘায়িত হয় তাহলে মারাত্মক আকার ধারণ করবে এবং মানসিক রোগী ব্যাক্তি পাগল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পুলিশের গোয়েন্দা এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ সকল মাদক বিপনণ, গ্রহণ এবং ক্রয় তিনটির যে কোনও একটির সঙ্গে জড়িত এমন কোন তথ্য পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে যারা কোন মাদক গ্রহণ করে না এবং তাদের কাছে তথ্য আছে যেসব তরুণ-তরুণীরা এসব মাদক গ্রহণ করছে এমন কোন তথ্য থাকলে আমাদেরকে দ্রুত জানানোর জন্য অনুরোধ করবো। বিশেষ করে অবিভাবকের এ বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। যেন ছেলেমেয়ারা মাদক গ্রহণ থেকে বিরত থাকে।

এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (ঢাকা গোয়েন্দা) মো. শামিম আহম্মেদ ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ১৫ তারিখে রাজধানীর কাফরুল থানায় একটা মামলা হয়েছিল যার মামলা নং ২১। যেখানে এলএসডির ৪৬টি স্ট্রিকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ মামলটির তদন্ত শেষে ইতিমধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়ে গেছে। এর পরে সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে আবার সামনে আসলো এ মাদকদ্রব্যটি।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, এলএসডি সাধারণত অন্যান্য মাদক থেকে অনেক ক্ষতিকর একটি মাদক। এটি ব্যবহারে এক ধরণের উত্তেজনা তৈরি হয় যেটি তাকে ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়। এটি গ্রহণের ফলে ব্যাক্তির চোখের সামনে অনেক কিছু ভাসবে তবে সেটির বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই। যেমন সে ঘরে বসে দেখছে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে কিংবা উড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত হ্যালুসিনেশনের কারণে এমনকি আত্মহত্যাও করতে পারে। এসব মাদক সাধারণত অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েরা গ্রহণ করে থাকে। যেটি সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভয়ানক।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ নতুন মাদক এলএসডি’র (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) সন্ধান পায় পুলিশের ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ। পরে এলএসডি মাদক বিক্রির অভিযোগে হাফিজুরের ৩ বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মে) রাতে রাজধানী থেকে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ।

গ্রেফতার হাফিজুরের ৩ বন্ধু হলো নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুপল ও তুর্জ এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র আদিব। গ্রেপ্তার তিন তরুণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে মাদক বিক্রি করতো। তারা ‘আপনের আব্বা’ ও ‘গ্রেট ব্রাইনি এন্ড বিয়ন’। এই দুটির মাধ্যমে মাদক বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। এগুলোর মাধ্যমে তারা এলএসডি ও গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি এক ধরণের ‘গাঁজার কেক’ বিক্রি করতো। এই ‘গাঁজার কেক’ নতুন উদ্ভাবন বলে দাবি তাদের। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার সংবাদ সম্মেলনে করে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

দিঘায় আসতে হত, তাই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে থাকতে পারিনি, বললেন মমতা-এটি আনন্দবাজার পত্রিকার খবর। এতে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দখা করে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দিয়ে এসেছি। তবে বৈঠকে থাকতে পারিনি। উনি আমাকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। তাই ওঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে পাবো কি না জানি না কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে বলে এসেছি। এদিকে আজকালের এক খবরে লেখা হয়েছে, বিজেপি বিধায়কদের কাজে বাধা, সাহায্য করছে না রাজ্য-বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর।

নারদা মামলায় চার হেভিওয়েট নেতার জামিন-সংবাদ প্রতিদিন

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বর্ধিত বেঞ্চ  নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। এর ফলে তাঁদের আর গৃহবন্দি থাকতে হবে না। নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে বিস্তর নাটকের পর মামলাটি আবার ফিরে আসে কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার বেলা ১২টার পর মামলাটি  উঠতেই বিচারপতি ইন্দু প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন যে, ২০১৭ সালের মামলায় সেই সময় নেতাদের গ্রেপ্তার না করে এখন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হল। অর্থাৎ সেই সময় তাঁরা প্রভাবশালী ছিলেন না, এখন রাতারাতি প্রভাবশালী হলেন কিভাবে? সিআই-এর আইনজীবী ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা নারদ মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি চান। কিন্তু, পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ  তাঁর আবেদন আগ্রাহ্য করে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী  জামিন পেশ করে। শর্ত হিসেবে ট্রায়াল কোর্টের ৫০ হাজার টাকার বেল বন্ড পরিবর্তন করা হয় ২ লাখ টাকায়। এছাড়াও এই মামলা সম্পর্কে মিডিয়ার সামনে কোনও মন্তব্য করা যাবে না।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/‌২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ