অক্টোবর ০৬, ২০২১ ১৭:৪৭ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৬ অক্টোবর বুধবার কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

  • বিচারের বাণী যেন আর নিভৃতে না কাঁদে: প্রধানমন্ত্রী-প্রথম আলো
  • নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই: ওবায়দুল কাদের-ইত্তেফাক
  • ক্যাবল অপারেটরদের সময় দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী-যুগান্তর
  • মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে, হিউম্যান রাইটসের অভিযোগ-মানবজমিন
  • বিশ্বের দুর্বল পাসপোর্টের তালিকায় বাংলাদেশ নবম-কালের কণ্ঠ

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • লখিমপুর কাণ্ডে নাম জড়ালেও মন্ত্রিত্ব যাচ্ছে না অজয় মিশ্রর! অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা-একান্ত বৈঠকে কি কথা -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, নালিশ জানিয়ে মোদিকে চিঠি ‘ক্ষুব্ধ’ মুখ্যমন্ত্রীর -সংবাদ প্রতিদিন
  • দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর রাহুল প্রিয়াঙ্কাকে লখিমপুরে প্রবেশের অনুমতি যোগী প্রাশাসনের-আজকাল

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বিচারের বাণী যেন আর নিভৃতে না কাঁদে: প্রধানমন্ত্রী-প্রথম আলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের সাধারণ জনগণের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আইন ও প্রশাসন কোর্স থেকে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সময়োপযোগী উন্নয়ন প্রশাসন গড়ে তুলে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনারা নিবেদিত থাকবেন, জনগণের পাশে থাকবেন। মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন।’প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির ১১৯ এবং ১২০ তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় করোনাকালীন মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে তাঁর সরকারের চালু করা ভার্চুয়াল কোর্টের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে আইনের সেবা দেওয়া, বিচার ব্যবস্থাটাকে অব্যাহত রাখা, বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে। কারণ, আমি তার ভুক্তভোগী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর বিচার যাতে না হয় সে জন্য ইনডেমনিটি (অরডিন্যান্স জারি) দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ বিচারের হাত থেকে তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আমাদের (১৫ই আগস্ট স্বজনহারাদের) কোনো অধিকার ছিল না একটা মামলা করার বা বিচার চাওয়ার।

’৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তাঁর সরকার সেই কালো আইন বাতিল করে এবং পরবর্তীতে খুনিদের বিচার সম্পন্ন এবং বিচারের রায় ও কার্যকর করতে সমর্থ হয়, বলেন তিনি।

তিনি সাবেক সেনা শাসক জিয়াউর রহমানের আমলে বিচারাধীন এবং কারাগারে আটক যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে দেওয়াটা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আখ্যায়িত করে তাঁর সরকার সেই বিচার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং অনেকেরই দণ্ড কার্যকর হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিচারের বাণী যেন আর নিভৃতে না কাঁদে। মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায়। আর মানুষ যাতে প্রশাসনের সেবা পায়।

প্রথম আলোর অপর একটি খবরের শিরোনাম-রোহিঙ্গারা পুরো পরিবেশ নষ্ট করছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গারা পুরো পরিবেশ নষ্ট করছে। উখিয়া ছিল ঘন জঙ্গল। এখন ন্যাড়ামাথা হয়ে গেছে, কোনো জঙ্গল নেই। রোহিঙ্গারা নারী ও শিশু পাচার, মাদক পাচারসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজে যুক্ত হচ্ছে। প্রাণপণ চেষ্টা করেও তাদের থামানো যাচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার তাঁর সাম্প্রতিক জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

ফিরে যাওয়ার বিষয়ে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বলেছি, আপনারা এখন কেন ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলেছি, নানা সমস্যা হচ্ছে। এদের না ফেরাতে পারলে সমস্যা আরও হবে। রিফিউজি পালতে পারলেই কোনো কোনো সংস্থার জন্য ব্যবসা। এরা না থাকলে তাদের চাকরি থাকবে না।’

প্রথম আলো পত্রিকার মতামত কলামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল লিখেছেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেছেন, বিএনপিকে কে ভোট দেবে? তাঁর মতে, বিএনপির শাসনামলে মানুষ খুব খারাপ অবস্থায় ছিল, বিএনপির নেত্রী এখন দুর্নীতির দায়ে বন্দী, আরেক নেতা লন্ডনে পলাতক, এমন দলকে কেউ ভোট দেবে না। তিনি এ–ও বলেছেন, জনগণ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে।

আওয়ামী লীগ নেত্রীর এই আত্মবিশ্বাসকে আমরা স্বাগত জানাই। তাঁর এই আত্মবিশ্বাসের কারণ থাকতে পারে। তাঁর দল বহু বছর ধরে ক্ষমতায় আছে; এ সময় অনেক উন্নয়নকাজ হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তাবলয় সম্প্রসারণ ও তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তৃতি ঘটেছে। বিপরীতে দেশ পরিচালনায় বিএনপির অতীত ব্যর্থতা নিয়ে তাঁর মূল্যায়নের সঙ্গেও অনেকে একমত হতে পারে। কিন্তু দেশের জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসলে কী ভাবছে, কাকে তারা ক্ষমতায় দেখতে চায়, তা বোঝার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এমন নির্বাচন দেশে ২০০৮ সালের পর আদৌ হয়েছে কি না, তা নিয়ে বহু যৌক্তিক প্রশ্ন রয়েছে।

সর্বশেষ নির্বাচনে (২০১৮ সালের) পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা, বিরোধী দলের লোকদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলার ব্যাপকতা, ভোটের হারের অস্বাভাবিকতা, এমনকি ভোট আসলে কখন হয়েছে, তা নিয়ে যেসব প্রশ্ন ছিল, সেসবের কোনো সুরাহা হয়নি। বরং ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি একতরফা নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ এখন সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হয়েছে। এই সুযোগে কয়েক বছর ধরে এমন প্রচারণাও চলছে যে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই দেশে। কয়েক দিন আগেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ‘শেখ হাসিনার বিকল্প কে’—এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন এবং লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, টেমস নদীর ওপার থেকে একজন পলাতক আসামিকে নেতা নির্বাচন করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই—এটি বলাটা কি কেবলই রাজনৈতিক প্রচারণা বা কৌশল, নাকি প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে নির্বাচন করার যে সাংবিধানিক অধিকার জনগণের রয়েছে, তা রুদ্ধ করে দেওয়ার যুক্তি হিসেবে বলা হয় এটি?

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই: ওবায়দুল কাদের-ইত্তেফাক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।’নিরপেক্ষ সরকার নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নির্বাচন সংক্রান্ত সবকিছুই নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনই সর্বেসর্বা।’

তিনি বলেন,‘সরকার তখন শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করে থাকে, আর নির্বচন কমিশনকে একটি স্বাধীন কর্তৃপূর্ণ অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহযোগিতা করে থাকে সরকার।’

আওয়ামী লীগ থেকে বাঁচতে নাকি জনগণ বিএনপিকে ভোট দিচ্ছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে বাঁচতে নয় বরং বিএনপির দুঃশাসন থেকে বাঁচতেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিচ্ছে।

ক্যাবল অপারেটরদের সময় দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী-যুগান্তর

ক্লিনফিড চালুর জন্য ক্যাবল অপারেটরদের কোনো রকম সময় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সঙ্গে সংলাপে এ কথা জানান তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল অপারেটররা সময় চাইলেও এর পক্ষপাতি নয় সরকার। যারা বিদেশি চ্যানেল ক্লিনফিড দিয়ে চালাচ্ছে তাদেরগুলো এখন চলবে। যাদের ক্লিনফিড নেই তাদেরগুলো চলবে না।

তিনি বলেন, ক্লিনফিড হলে তাদেরগুলোও সম্প্রচার শুরু হবে। এই সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থে। তাই কোনোভাবেই ব্যত্যয় ঘটবে না। কারণ  ক্লিনফিডসহ চালানোর জন্য ক্যাবল অপারেটরদের অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, ক্লিনফিড নিয়ে চ্যানেল সম্প্রচার না হলে চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হবে; এ বিষয়টি ভারত সরকার আগে থেকেই জানে। তাদের অন্যান্য দেশের উদাহরণ দিয়ে জানানো হয়েছে, ক্লিনফিড দিয়ে না চালালে তাদের চ্যানেল বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এটা নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই।

মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে, হিউম্যান রাইটসের অভিযোগ-মানবজমিন

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মঙ্গলবার বলেছে, কক্সবাজার ক্যাম্পে হুমকি ও সহিংসতার মুখোমুখি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন যে, সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর কথিত সদস্যরা তাদের চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে টার্গেট করছে।

২০২১ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর, কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ(৪৬)কে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে।

বিশ্বের দুর্বল পাসপোর্টের তালিকায় বাংলাদেশ নবম-কালের কণ্ঠ

বিশ্বের শক্তিশালী ১১৬ পাসপোর্টের তালিকায় ১০৮তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট। তালিকায় ১১৩তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান। ভারত আছে ৯০তম স্থানে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বে পাসপোর্টের মান নির্ধারণকারী সূচক হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স-২০২১ প্রকাশিত হয়। কোন দেশের পাসপোর্টে কতটি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যায়- এর ওপর ভিত্তি করে এ সূচকটিতে বাংলাদেশের অবস্থান উঠে এসেছে।

প্রকাশিত সূচকে বলা হয়, ভিসা ছাড়া বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিশ্বের ২২৭টি দেশের ভেতর কেবল ৪০টি দেশ ভ্রমণ করা সম্ভব।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

লখিমপুর কাণ্ডে নাম জড়ালেও মন্ত্রিত্ব যাচ্ছে না অজয় মিশ্রর! অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা-আনন্দবাজার পত্রিকা/সংবাদ প্রতিদিন

 উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ানোর পরও পদ খোয়াতে হচ্ছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে (Ajay Mishra)। অন্তত কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে এমনটাই দাবি। বুধবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছেন অজয় মিশ্র। শাহ সাক্ষাতের আগে তিনি নিজেও দাবি করেছেন, তাঁর ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

লখিমপুরের (Lakhimpur) ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দপ্তরে পৌঁছান অজয় মিশ্র। তাঁকে তলব করা হয়েছিল, নাকি তিনি নিজেই এসেছিলেন সেটা স্পষ্ট নয়। তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অজয়। অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে আলোচনায় মিশ্র জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কারণ, যারা যারা কৃষকদের এই বিক্ষোভের নেপথ্যে আছেন তাঁরা সবাই কৃষক নন।

এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। অজয় মিশ্রর সাফ কথা, “আমি কেন ইস্তফা দেব? আমার উপর কোনওরকম চাপ নেই। আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত করব। কারা কারা ষড়যন্ত্র করছে, এর সঙ্গে কারা জড়িয়ে, সবটা খতিয়ে দেখব। যারা যারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সবার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষে করা হবে।”

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে রাহুল প্রিয়াঙ্কাকে লখিমপুরে প্রবেশের অনুমতি যোগী প্রাশাসনের-আজকাল

উত্তর প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাসহ  মোট ৫ জনকে লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার।তারা মৃত কৃষক পরিবারের সঙ্গে করবেন। তবে আজ সকালে অনুমতি না মেলায় সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, কৃষকদের হত্যা করা হয়েছে। এটি নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণ। ভারতে এখন একনায়কত্ব চলছে। তাদের জিপ দিয়ে পিষে দিচ্ছে মোদি সরকার। আমার পরিবারের উপর জুলুম করলেও কৃষকদের নিয়ে আমরা কথা বলব। ইতিমধ্যে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।

ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, নালিশ জানিয়ে মোদিকে চিঠি ‘ক্ষুব্ধ’ মুখ্যমন্ত্রীর- সংবাদপ্রতিদিন

রাজ্যের আট জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র ও ডিভিসিকে দুষেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, এর প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেবেন। যেমন কথা, তেমন কাজ। এবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মোদিকে চিঠি দিলেন মমতা। সেখানে ডিভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ডিভিসি নিয়ে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করুক কেন্দ্র। না হলে বন্যা থেকে মুক্তি পাবে না রাজ্য। জলাধারগুলি সংস্কারের দাবি তুলে গত ৪ আগস্ট কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার জবাব মেলেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন ভূমিকা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

ফের একবার লেখা চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ৩০ সেপ্টেম্বর ডিভিসির মাইথন-পাঞ্চেত থেকে অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ে। অথচ ২৪ সেপ্টেম্বরই দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। হাতে চারদিন সময় পেলেও জল ছাড়েনি ডিভিসি। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ১০ লক্ষ একর ফুট জল ছাড়ে ডিভিসি। যার জেরে উৎসবের মরশুমে বানভাসী হয়েছে বঙ্গের আট জেলা। কখন কীভাবে কতটা জল ছেড়েছে ডিভিসি তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত একের পর জলাধারের ছাড়া জলে ভেসেছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘরছাড়া লক্ষাধিক। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনও মেলেনি। ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে শনিবার সকালে বেরিয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিদর্শনের পর তিনি জানিয়েছিলেন, বছরে চার বার জল ছাড়ছে ডিভিসি। এবারও কয়েক লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। অন্তত ১ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছে।

সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, “ডিভিসির ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। বারবার তাদের ছাড়া জলে বন্যা হবে। ওরা তো কেন্দ্রের অধীনে। ওরা জল ছাড়বে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব আর ওরা টাকা আয় করবে, এটা হতে পারে না।”#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৬