চিঠিপত্রের আসর
'প্রিয়জনে সাহিত্য রসে ভরপুর চিঠিগুলোর নির্যাস নিতে খুব ভালো লাগে'
শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন। আজকের অনুষ্ঠান পরিবেশনায় রয়েছি আমি গাজী আব্দুর রশীদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।
আশরাফুর রহমান: প্রত্যেক আসরের মতো আজও অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমি একটি বাণী শোনাতে চাই। হজরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) বলেছেন, "শরীরের প্রশান্তি আছে অল্প আহারে, নফসের প্রশান্তি রয়েছে গোনাহের স্বল্পতাতে, কালবের প্রশান্তি রয়েছে দুনিয়ার প্রতি অল্প গুরুত্ব দেয়াতে এবং জবানের প্রশান্তি রয়েছে অল্প কথাতে।"
আকতার জাহান: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণী শুনলাম। আমরা সবাই এই বাণীগুলোর আলোকে নিজেদের জীবন গড়ার চেষ্টা করব- এ প্রত্যাশা করে নজর দিচ্ছি চিঠিপত্রের দিকে।
আসরের প্রথম মেইলটি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার বন্ধন অ্যান্ড লাকী শ্রোতা সংঘের সভাপতি নজরুল ইসলাম।
রেডিও তেহরানের চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, “প্রিয়জনে সাহিত্যিক শ্রোতাবন্ধুদের চিঠি আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। এছাড়া চিঠি পড়ার বাচনভঙ্গি কণ্ঠের জাদুকরী ছোঁয়াও মুগ্ধ করার অন্যতম হাতিয়ার। প্রিয়জনে সবার চিঠি সমানভাবে গুরুত্ব পায়। সাহিত্য রসে ভরপুর চিঠিগুলোর নির্যাস নিতে খুব ভালো লাগে। সত্যি এ এক বিচিত্র অনুভূতি।”
গাজী আব্দুর রশীদ: থামলেন কেন? ওনার চিঠিটি তো এখনও শেষ হয়নি!
আশরাফুর রহমান: আসলে না থেমে কোনো উপায় নেই। আমাদের শ্রোতাবন্ধুরা এত সুন্দর করে চিঠি লিখেন যে, পুরো চিঠি পড়তে গেলে মাত্র কয়েকটি চিঠিতেই আসরের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাবে। তবে শ্রোতাদের লেখা মানসম্মত চিঠিগুলো যেহেতু আমরা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয় তাই এখানে কম করে পড়লেও শ্রোতারা কিছু মনে করবেন না আশা করি।
গাজী আব্দুর রশীদ: একদম ঠিক বলেছেন, আমাদের বিজ্ঞ শ্রোতারা বাস্তবতা ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পারেন বলে আমাদের বিশ্বাস। তো চমৎকার চিঠিটির জন্য নজরুল ইসলাম ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থেকে মনীষা রায় পাঠিয়েছেন পরের মেইলটি। প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানানোর পর তিনি লিখেছেন, “গত ২৯ সেপ্টেম্বর রেডিও তেহরান থেকে পরিবেশিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে 'স্বাস্থ্যকথা' অনুষ্ঠানটি। এতে থাইরয়েড নিয়ে ইরানে গবেষণারত বাংলাদেশি পুষ্টিবিদ ডা. হেদায়েতুল্লাহ সাজুর মহামূল্যবান সাক্ষাৎকার আমার কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও উপকারী মনে হয়েছে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ায় আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে রেডিও তেহরানকে ধন্যবাদ জানাই।”
আকতার জাহান: স্বাস্থ্যকথা অনুষ্ঠান থেকে উপকার পেয়েছেন জেনে ভালো লাগল। আশা করি আমাদের অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্পর্কেও মতামত জানাবেন।
অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে ক্লাব কার্যক্রমের একটি খবর। এটি পাঠিয়েছেন সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) বাংলাদেশ-এর ভাইস চেয়ারম্যান তাছলিমা আক্তার লিমা। তিনি জানিয়েছেন, “গত ১ অক্টোবর বিকেলে সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) বাংলাদেশ-এর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ক্লাবের দুই যুগ পূর্তি উৎসব উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে সিলেট পর্যটন মোটেলে এবং লাক্কাতুরা চা বাগানে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে দুটি আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সার্ক-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দিদারুল ইকবালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক ও সার্ক-এর প্রধান উপদেষ্টা ড. মির শাহ আলম।
আশরাফুর রহমান: ‘সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) বাংলাদেশ’-এর ২৪ বছর পূর্তিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
গাজী আব্দুর রশীদ: বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহাদত হোসেন পাঠিয়েছেন দুটি মেইল।
তিনি লিখেছেন, “রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ থেকে ২ অক্টোবর প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস’ আমার খুব ভালো লেগেছে। অনুষ্ঠান থেকে আমরা জানতে পারি যে, ইরাকের বিরুদ্ধে ইরানের যুদ্ধের মূলধন ছিল জনসমর্থন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালে ইরান তাতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেয়। আসলে এটি ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের যুদ্ধ। আর ইরাক যেহেতু অন্যায়কারী, সেহেতু তারা এ যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারেনি।”
অন্য একটি মেইলে শাহাদাত ভাই একটি প্রশ্ন করেছেন। জানতে চেয়েছেন, ইরানের মানুষ সকালে কী ধরণের নাস্তা করে? শহর ও গ্রামের মানুষের নাস্তার ধরণ কি একইরকম? জানাবেন আশা করি।
আকতার জাহান: ইরানিরা সকালের নাশতায় সাধারণত পনির, বাটার, মোরব্বা, ডিম অথবা মধু দিয়ে রুটি খান। আবার অনেকে পনিরের সাথে আখরোট, শশা ও টমেটো খেয়ে থাকেন। তবে গ্রাম কিংবা শহর সব এলাকার মানুষের নাশতায় চা অনেকটা বাধ্যতামূলক বলা যায়।
আশরাফুর রহমান: শাহাদত ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো আশা করি তাঁর কৌতুহল মিটেছে। আমাদের অন্যান্য শ্রোতারাও প্রশ্ন পাঠাতে পারেন আমরা সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করব উত্তর দিতে।
আসরের এ পর্যায়ে আমরা কথা বলব এক বাংলাদেশি শ্রোতার সঙ্গে। প্রথমেই তার পরিচয় জানা যাক।

আশরাফুর রহমান: কর্মমুখর শ্রোতা ক্লাবগুলো অবশ্যই যথাযথ মূল্যায়ন পাবে- এ ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। তো আজকের এই সাক্ষাৎকারপর্বে অংশ নেওয়ার জন্য চাঁন মিয়া ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
গাজী আব্দুর রশীদ: ভারতের আসামের বড়পেটা থেকে আব্দুস সালাম সিদ্দিক পাঠিয়েছেন বেশকিছু মেইল। একটি মেইলে তিনি রেডিও তেহরান-এর ‘বিশ্বসংবাদ’ সম্পর্কে একটি সার্বিক মূল্যায়ন করেছেন। লিখেছেন, “গত প্রায় চার দশক ধরে রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠান-এর সাথে আমার ওতপ্রোতভাবে লেগে থাকা, ভালোবাসা ও জীবনঘনিষ্ঠ করে নেবার একটি মাত্র কারণ তাহলো- এ বেতার থেকে প্রচারিত প্রতিদিনের শ্রোতানন্দিত বিশ্বসংবাদ। অন্যান্য বেতার বিশেষ করে পশ্চিমা মদদপুষ্ট গণমাধ্যম ও হলুদ সাংবাদিকরা কখনো তাদের কায়েমী স্বার্থ বাদ দিয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরে না। কিন্তু রেডিও তেহরান সাম্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশবাদী দালাল মিডিয়াগুলোর সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী গণমাধ্যম। সত্য প্রকাশ ও প্রচার- যার একমাত্র লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও মূলমন্ত্র।”
আকতার জাহান: রেডিও তেহরানের বিশ্বসংবাদ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন জেনে ভালো লাগল। আশা করি চিঠি লিখা অব্যাহত রাখবেন।
বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার মল্লিকাদহ থেকে হরিদাস রায় পাঠিয়েছেন পরের মেইলটি।
তিনি লিখেছেন, স্বাস্থ্যকথা অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ নিয়ে প্রচারিত একটি তার ভালো লেগেছে। তবে কোন্ অনুষ্ঠানটির ব্যাপারে তিনি এ মতামতটি জানিয়েছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। আশা করি পরবর্তীতে কোনো অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত জানাবেন দিন-তারিখ উল্লেখ করে। চিঠি লিখার জন্য হরিদাস রায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আশরাফুর রহমান: আসরের এ পর্যায়ে রেডিও তেহরানের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে 'আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ' আয়োজিত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্য থেকে একজনের লেখার কিছু অংশ তুলে ধরব। আজকের লেখাটি বাংলাদেশের ঝিনাইদহের শ্রোতা মোঃ আব্দুস সেলিমের লেখা। তিনি ওই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।
আব্দুস সেলিম ভাই লিখেছেন, " বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো নিজেদেরকে জানান দিতেই মূলত তাদের বাংলা কার্যক্রম। কিন্তু রেডিও তেহরান এর সম্পূর্ণ বিপরীত। মুসলমানদের সার্বিক বাস্তব অবস্থা তুলে ধরতেই যেন রেডিও তেহরান। রেডিও তেহরান না থাকলে বিশ্ব কুটকৌশলীদের অপতৎপরতা এবং বিশ্ব মুসলিমদের প্রকৃত অবস্থাসহ অনেক বিষয়ে সম্পর্কে ঘোর অন্ধকারেই থেকে যেত বাঙালিরা।"
গাজী আব্দুর রশীদ: এরপর আব্দুস সেলিম ভাই ইরানের বিরুদ্ধে ইরাকের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর বর্বরতা, আহলেবাইতের আদর্শ প্রচার, ইয়েমেন, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ইরানের ভূমিকা তুলে ধরাসহ রেডিও তেহরানের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
আকতার জাহান: আব্দুস সেলিমকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন চমৎকার লেখাটির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার জেতার জন্য।
বাংলাদেশের পাবনা জেলার আতাইকুলার নন্দনপুর থেকে মোহাম্মদ আল জায়েদ ইসলাম জসিম পাঠিয়েছেন এই মেইলটি। তিনি এই চিঠিতে ফার্সি শিক্ষা নামে একটি অনুষ্ঠান প্রচারের প্রস্তাব দিয়েছেন। সেইসাথে শেখ সাদী, ফরিদ উদ্দিন আত্তারসহ ইরানি কবি-সাহিত্যিকদের বিভিন্ন গ্রন্থ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
আশরাফুর রহমান: আপনার প্রস্তাবিত দুটি অনুষ্ঠানই ইতোপূর্বে প্রচার করা হয়েছে। ফার্সি ভাষা শিক্ষার আসর এবং পারস্য প্রতিভা, বিশ্বের গর্ব নামের দুটি অনুষ্ঠানই আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা আছে। তারপরও আপনার প্রস্তাবটি আমাদের বিবেচনায় থাকল। চিঠি লিখার জন্য জসিম ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসরের শেষ চিঠিটি এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার নওপাড়া থেকে আর পাঠিয়েছেন নিজামুদ্দিন সেখ। তিনি লিখেছেন, “গত ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখের রংধনু আসরে যে গল্পটা শোনানো হয় সেটা ছিল বেশ প্রাণবন্ত ও শিক্ষণীয়। ৭০-এর দশকে আমি স্কুল লাইফে এই গল্পটা কবিতার মাধ্যমে পড়েছিলাম যা আমার এখনও মুখস্থ আছে। কবিতার কবি ছিলেন সম্ভবত শেখ সাদী (র.)। সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য আমার হার্দিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।”
গাজী আব্দুর রশীদ: নিজামুদ্দিন ভাইকে ধন্যবাদ অনুষ্ঠান শোনার পাশাপাশি মতামত জানিয়ে চিঠি লেখার জন্য।
তো শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে কয়েকজন শ্রোতার চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করছি।
- বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার মৌলভীর ডাঙ্গা বিশ্ব বেতার শ্রোতা সংঘ থেকে খন্দকার এইচ আর হাবিব
- শরিফা আক্তার পান্না কিশোরগঞ্জ থেকে
- রংপুর থেকে আতাউর রহমান রঞ্জু
- ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি থেকে মুন্সি দরুদ
- দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থেকে বিধান চন্দ্র সান্যাল
- এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মহেন্দ্রনগর থেকে ভাস্কর পাল
আকতার জাহান: চিঠি লিখার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, এখন আরবী রবিউল আউয়াল মাস চলছে। এ মাসেই পৃথিবীতে এসেছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে রয়েছে তাঁকে নিবেদিত একটি গান। কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা নাতে রাসূলটি গেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ শিল্পী রেহান, পৃথ্বী রাজ, সাইফ জামান ও সেতু।
আশরাফুর রহমান: তো বন্ধুরা, আপনারা গানটি শুনতে থাকুন আর আমরা বিদায় নিই রংধনুর আজকের আসর থেকে।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।