অক্টোবর ৩০, ২০২১ ১৭:২৭ Asia/Dhaka
  • 'সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারীরা কেন আওয়ামী লীগে' : ৯ মাসে ১০৮৯ শিশু ধর্ষণের শিকার

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৩০ অক্টোবর শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:

  • জনগণ-পুলিশ একসঙ্গে কাজ করলে অপরাধ ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রথম আলো
  • ৯ মাসে ১০৮৯ শিশু ধর্ষণের শিকার -মানবজমিন
  • আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী ৭ শতাধিক, বহিষ্কার শতাধিক-দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন ১১ নভেম্বর-ইত্তেফাক
  •  ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চমেক-যুগান্তর
  • স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ১৭ নথি গায়েব-কালের কণ্ঠ

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • কংগ্রেসের জন্যই এত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন মোদীজি, গোয়ায় বললেন মমতা-সংবাদ প্রতিদিন
  • এখনও বন্দিদশা! বাড়ি থেকে বেরোবেন না আরিয়ান-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ত্রিপুরায় জারি নয়া নির্দেশিকা, অভিষেককে আটকাতেই কি এই পদক্ষেপ? -আজকাল

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী ৭ শতাধিক, বহিষ্কার শতাধিক-দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন ১১ নভেম্বর-ইত্তেফাক

আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের ৭৬৭ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলটির সাত শতাধিক নেতা। ইতিমধ্যে শতাধিক বিদ্রোহীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহীদের বহিষ্কার করছে। আগামী কয়েক দিনে বহিষ্কারের এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

কারণ দর্শানোর নোটিশ, বহিষ্কার, ভবিষ্যতে দলীয় পদ-পদবি এবং মনোনয়ন না পাওয়া, দলের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে কোনো নোটিশ ছাড়াই দল থেকে অব্যাহতি—এসব উদ্যোগ নিয়েও বিদ্রোহী প্রার্থীদের দমন করতে পারছে না আওয়ামী লীগ। কারণ হিসেবে সাতটি জেলার ১০ জন আওয়ামী লীগ নেতা ইত্তেফাককে জানান, অনেক বিদ্রোহীর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। এ কারণে কেন্দ্রের কঠোর হুঁশিয়ারির পরও বিদ্রোহীরা মাঠ ছাড়ছেন না। অন্যদিকে প্রথম ধাপে ২৮৬ ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন শতাধিক। এর মধ্যে অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী দলের মনোনীত প্রার্থীদের পরাজিত করেছেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই ছয় জনের স্বাক্ষরে নাম প্রস্তাবের রেজুলেশন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তৃণমূলের প্রস্তাব, বিভিন্ন জরিপ রিপোর্ট ও মন্ত্রী-এমপিদের সুপারিশ পর্যালোচনা করে ইউপি নির্বাচনে দল মনোনীত একক চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে অনেক জায়গায় মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের ব্যক্তি মনোনয়নবঞ্চিত হন। এদের অনেকে আবার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। অনেক জায়গায় বিদ্রোহীদের পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছেন কোনো কোনো এমপি। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা ও বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে আওয়ামী লীগ ২০১৬ সালে দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা দলীয় নেতাদের সরাসরি বহিষ্কারের ধারা অন্তর্ভুক্ত করে। তারপরও বিদ্রোহী প্রার্থী দমন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরাই। অবশ্য এখনো বুঝিয়ে বিদ্রোহীদের মাঠ থেকে সরানোর কাজ করছেন কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা। এতে কাজ না হলে সব বিদ্রোহীকে বহিষ্কার করবে আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহী প্রার্থী সংখ্যা বেশি থাকায় ইতিমধ্যে তৃণমূলে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব।

জনগণ-পুলিশ একসঙ্গে কাজ করলে অপরাধ ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রথম আলো

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, যারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এলাকার জনগণ ও পুলিশ মিলেমিশে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করেছে। এটাই কমিউনিটি পুলিশিং। আজ শনিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের শহীদ শিরু মিয়া মিলনায়তনে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১’–এর শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার

সাম্প্রদায়িক হামলা ও হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত সনাতন পরিষদ। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্মিলিত সনাতন পরিষদের ব্যানারে ৪০টি সংগঠন সমাবেশে অংশ নেয়।

সমাবেশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলায় একটি মন্দিরেও আগুন দেওয়া হয়নি বা ধ্বংস করা হয়নি। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাও ঘটেনি। মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কারণে পদত্যাগ দাবি করেন সমাবেশে যোগদানকারীরা। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু কমিশন এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানান তাঁরা।

মতামত কলামে  প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মনোজ দে লিখেছেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারীরা কেন আওয়ামী লীগে। প্রথম আলোতে পরিবেশিত এ নিবন্ধে লেখা হয়েছে, আতঙ্ক, ভয়, দুঃস্বপ্নের দিনরাত্রিগুলো অনেকটা থিতু হয়ে এসেছে। টানা কয়েক দিন দেশের ১৬টি জেলায় এবারে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পূজামণ্ডপ-মন্দিরে যে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা হলো, তা দুই দশকের মধ্যে ছিল নজিরবিহীন। সাম্প্রদায়িক এ উন্মত্ততায় যে সম্পদহানি হয়েছে, সরকারি ও ব্যক্তিগত নানা উদ্যোগে তার অনেকটাই হয়তো পূরণ হবে। কিন্তু যে পরিবারগুলো প্রিয়জন হারিয়েছে, তাদের সেই অমূল্য ক্ষতি পূরণ হবে কী করে? কিংবা পীরগঞ্জের যে নারী দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠা আগুন থেকে বাঁচতে ধানখেতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, যে শিশুটি সারা রাত প্রাণপণে বাঁশের আগা আঁকড়ে জীবন বাঁচিয়েছিল—তাদের মানসিক ট্রমা এবং বাকি জীবনভরের অনাস্থা, অবিশ্বাস ফিরিয়ে দেবে কে?

ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন জাতি কিংবা ভিন্ন পরিচয় বলেই একদল নাগরিকের ওপর সহিংসতা চালানো যে হয়, এ ব্যর্থতা সমাজের। কিন্তু সরকার ও রাষ্ট্রের দায় অনেক বেশি। এর আগে রামু থেকে নাসিরনগর, প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সহিংসতাকারীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। এসব ঘটনায় সরকারের তরফ থেকে ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে সামনে আনা হয়েছে। কিন্তু কখনোই সামনে আনা হয়নি সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির পরিকল্পনাকারী আসলে কারা।

 ৯ মাসে ১০৮৯ শিশু ধর্ষণের শিকার-মানবজমিন

কন্যাশিশু ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। করোনাকালে ঘরবন্দি জীবনেও নিরাপদ ছিল না কন্যাশিশুরা। একের পর এক শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলছে। শিশুদের চকলেট বা খাবারের লোভ, ভয় ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এবং ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে। শুধু ধর্ষণ নয়, ধর্ষণের পর হত্যারও শিকার হয়েছে অনেকে। অভিভাবকরা খুব বেশি যত্নশীল হলেও অধিকাংশ কন্যাশিশু ঘরে-বাইরে নিরাপদ নয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর- এই নয় মাসে ১ হাজার ৮৯ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১ হাজার ৪০২ জন।

দিনে দিনে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংস্থাটির তথ্যমতে, এ বছর শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ১৮৫টি বাল্যবিয়ের ঘটনাসহ ৩৩৮ কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে দিন দিন ধর্ষণচেষ্টা, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। করোনাকালে ঘরবন্দি জীবনেও নিরাপদ ছিল না কন্যাশিশুরা। এ সময়ে ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যার ধরনও ছিল ভয়াবহ।

২১শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সায়েদাবাদের ১৪ কে এম দাস লেন এলাকায় দুই সন্তানসহ ভাড়া থাকেন শিশুটির বাবা। তিনি একজন গাড়ি চালক। ছোট মেয়ের বয়স যখন ৬ মাস তখন মারা যান তার স্ত্রী। সেই থেকে বাবা কাজে থাকলে সন্তানদের দেখাশোনা করেন আত্মীয়রা। তাদের অভিযোগ ওইদিন সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি বাসার সামনে অপর এক শিশুর সঙ্গে খেলছিল। তখন শিশুটিকে ডেকে নিয়ে পাশের ভবনের পঞ্চম তলায় ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটকও করেছে ওয়ারী থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার শিশুটি তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছিলো।

এর আগে ১২ই সেপ্টেম্বরে রাজধানীর হজারীবাগে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির মা বলেন, ১০ই সেপ্টেম্বর তার মেয়েকে ফুসলিয়ে ফয়সাল নামে এক কিশোর বিকাল ৫টার দিকে ওই এলাকার একটি বাড়ির তিনতলায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাসায় ফিরে আসার পর মেয়ে অসুস্থ বোধ করলে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে একথা জানায়। পরে থানায় মামলা করলে পুলিশ ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের তথ্য মতে, গত ৯ মাসে ৮১৩ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৫৮ জনকে। বিভিন্ন কারণে হত্যা করা হয়েছে ১৯৩ কন্যাশিশুকে। আর ১৫৬ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় এ সময় ১৩ ভাগ বেশি বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয়েছে। ১৩৬টি ইউনিয়নে জরিপ পরিচালনা করেছে এ ফোরাম। এক হাজার ২৫৭ কন্যাশিশুর বাল্যবিয়ের কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি। এ ছাড়া অলিখিতভাবে এক হাজার ৫৩৫টি বাল্যবিয়ে হওয়ার তথ্য পেয়েছে। সব মিলিয়ে ১৩৬ ইউনিয়নে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৭৯১ কন্যাশিশু।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি মানবজমিনকে বলেন, চলতি বছর কন্যাশিশুর প্রতি নির্যাতন, ধর্ষণসহ বাল্যবিয়ের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ, দেশে আইনের কোনো প্রয়োগ নেই।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে দিন দিন এ ধরনের অপরাধ বেড়েই চলেছে। সরকারকে আগে বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও জানান, করোনাকালে সরকার স্বাস্থ্য খাতে বেশি জোর দেয়ায় কন্যাশিশুর নিরাপত্তার বিষয়ে নজর দিতে পারেনি। ফলে এ সময় এ ধরনের ঘটনা আরও বেড়েছে। কন্যাশিশুর প্রতি ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি উভয় উদ্যোগই সমানভাবে প্রয়োজন। একইসঙ্গে পুরুষদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ছোট ছেলেমেয়েদের তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের দিকে খেয়াল রাখাটাও জরুরি। বিশেষ করে শিক্ষকদের স্কুলের বাচ্চাদের এই বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। তিনি জানান, অতীতেও দেখা গেছে, সাধারণত নানা রকম প্রভাবের কারণে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। দু’একটি ঘটনায় সামাজিক চাপে বিচার হয়। শিশুরা কোনো কিছু বলতে পারে না বা কোনোভাবেই বাধা দিতে পারে না। ফলে তারা সহজেই অপরাধের শিকার হচ্ছে। শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা এমন সংগঠনের নেতারা জানান, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে দেশে ধর্ষণের ঘটনা কমছে না। দেশে আইন আছে, কিন্তু এর প্রয়োগ নেই। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত না করা গেলে এই অপরাধ কোনোভাবে কমানো যাবে না।

এদিকে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৬২৬ শিশু ধর্ষণের শিকার এবং বাল্যবিয়ে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের শিশুদের সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। প্রকাশিত শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদ পর্যালোচনা অনুযায়ী এই সময়ে বছর জুড়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬২৬ জন শিশু এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৩৭ জন শিশুকে। অন্যদিকে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ১০১ শিশু। এমজেএফের পর্যালোচনা অনুযায়ী অবনতিশীল শিশু অধিকার পরিস্থিতি থেকে এটি সুস্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে বাংলাদেশের শিশুরা তাদের ঘরেই নিরাপদ নয়, কারণ অধিকাংশ শিশু-ধর্ষণ পারিবারিক পরিমণ্ডলে পরিচিতদের দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে। একইভাবে পারিবারিক প্রভাবের কারণেই করোনাকালে বাল্যবিয়ে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, হত্যা, অপহরণ, নিখোঁজ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে আরও ১৪৫ জন শিশু। এ সময় ১৩ থকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরাই ধর্ষণের শিকার হয়েছে বেশি। এরপর রয়েছে ৭ থেেক ১২ বছর বয়সী শিশুরা।

সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলা ঠেকাতে এবারেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তবে অন্যবারের তুলনায় আইনি পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেশি দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন যিনি রেখে এসে সহিংসতার সূত্রপাত করেছিলেন, সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পীরগঞ্জের সহিংসতায় ফেসবুকে যিনি প্রথম উসকানি দিয়েছিলেন, তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু নজিরবিহীন এ সহিংসতা সৃষ্টির মূল পরিকল্পনাকারী কারা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটার কোনো আলামত নেই।

জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে যাঁরা থাকেন, তাঁরা যে দল বা মতাদর্শেরই হোক, খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। জনগণের সামনে তাঁদের অপরাধের সবিস্তার উপস্থাপন করাও জরুরি। কিন্তু এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার হাতিয়ার করা হলে, তা কারও কারও জন্য স্বল্পমেয়াদে রাজনৈতিক জয়ের ক্ষেত্র হয়তো তৈরি করতে পারে; কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটা সমাজের জন্য পরাজয়ের নীতি। সে ক্ষেত্রে অগোচরের ধর্মান্ধ শক্তি সবার অদৃশ্যে বাড়তে বাড়তে বিকটাকার দৈত্য হয়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে। একসময় তারা তাদের হিংসা-ঘৃণার মতাদর্শ দিয়ে বহুত্ববাদী সমাজের স্বাভাবিক সৌহার্দ্য ও বিকাশকে রুদ্ধ করে দেবে। রাজনৈতিক ব্যর্থতায় এ শক্তি স্পষ্টত শক্তি বাড়িয়েছে, তার নমুনা পাওয়া যাচ্ছে। রামু থেকে শুরু করে এর আগের সব কটি সহিংসতার ঘটনা স্থানীয় পর্যায়ে থাকলেও এবারে এর বিস্তার হয়েছে কমবেশি ১৬টি জেলায়।

ধর্ম পরিচয়ের রাজনীতির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ১৯৫৫ সালে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির যাত্রা শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। এ রাজনীতিই বাঙালির জাতিরাষ্ট্রের ভিত গড়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে। কিন্তু সেই সংগঠনেই এমন ব্যক্তিরা কীভাবে সদস্য হচ্ছেন, যাঁরা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখেও নিষ্ক্রিয় থাকছেন, কিংবা ধর্মান্ধদের সঙ্গে নিয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন?

এবারের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা ও অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলার সেই পুরোনো ছকেই ঘুরপাক খাচ্ছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরই মধ্যে বলেছেন, এমন নামও শুনবেন, যাঁরা আপনাদের খুবই পরিচিত ব্যক্তি। ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের নানুয়া দিঘির উত্তর পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সূত্রপাত হয়। ২৫ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হচ্ছে, কুমিল্লার ঘটনার চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, রংপুরসহ দেশের ১৬ জেলায় এ সহিংসতা ছড়ায়। হামলার ঘটনায় দায়ের করা ৮৫টি মামলায় ২৩ হাজার ৯১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী রয়েছেন। আবার রাজনৈতিক পরিচয় নেই, এমন অনেককে এসব মামলায় আসামি ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রায় ২৪ হাজার আসামির বেশির ভাগই অজ্ঞাতনামা বলে মামলার এজাহার পর্যালোচনায় দেখা গেছে।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে একমাত্রিকভাবে দেখার সুযোগ নেই। এর সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক নানা পরিপ্রেক্ষিত রয়েছে। যদিও রাজনীতিতেই এটি প্রধানভাবে পুষ্ট হয়। কিন্তু পুরো প্রপঞ্চটাকে শুধু রাজনীতির ছকে ফেলে দেওয়া হলে মূল সমস্যার গভীরে কখনোই পৌঁছানো যাবে না। বরং ঘৃণা, ধর্মান্ধতা নিজেদের ঘাড়ের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসার সুযোগ তৈরি হবে।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার অঞ্চলগুলো থেকে প্রথম আলোয় প্রকাশিত কিছু সরেজমিন প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, নেতা কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা, দলীয় প্রস্তুতি না থাকা ও বিরোধের ফলে শাসক দল সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঠেকাতে ভূমিকা পালন করতে পারেনি। এর থেকেও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে রংপুরের পীরগঞ্জে। সেখানে মাঝিপাড়ায় গরিব জেলেদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া এবং লুটপাটের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা। র‍্যাবের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, পীরগঞ্জের বড় করিমপুরে হিন্দুপাড়ায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সৈকত মণ্ডল (২৪) নামের একজন নেতৃত্ব দেন। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য এবং মিথ্যা পোস্টের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয় লোকজনকে উত্তেজিত করেন তিনি। ঘটনার দিন একটি মসজিদ থেকে মাইকিং করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করেন তাঁর সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৬)। এরপরই হামলা চালানো হয়।

সৈকতের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে জানা যায়, তিনি কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র। তিনি ওই বিভাগে ছাত্রলীগের কমিটির ১ নম্বর সহসভাপতি। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট ওই কমিটির অনুমোদন দেন কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমেদ।

এ ঘটনার রেশ কাটত না কাটতেই গত রোববার টেকনাফে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর কাটাখালী ওয়ার্ডে চাকমাপল্লিতে হামলা ও পিটিয়ে আহত করার পাশাপাশি এবং তাঁদের বৌদ্ধমন্দির ভাঙচুর এবং রান্নাঘর ও ধ্যানকক্ষে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্রে জানা যায়, এতে নেতৃত্ব দেন তোফায়েল হোসেনসহ ১৩ জন। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সম্রাট কাটাখালী ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বলে স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। যদিও হামলাকারী তাদের সংগঠনের নন বলে যথারীতি দাবি করেছে ছাত্রলীগ।

ধর্ম পরিচয়ের রাজনীতির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ১৯৫৫ সালে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির যাত্রা শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। এ রাজনীতিই বাঙালির জাতিরাষ্ট্রের ভিত গড়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে। কিন্তু সেই সংগঠনেই এমন ব্যক্তিরা কীভাবে সদস্য হচ্ছেন, যাঁরা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখেও নিষ্ক্রিয় থাকছেন, কিংবা ধর্মান্ধদের সঙ্গে নিয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন? অস্বীকার কিংবা বহিষ্কার কিংবা অন্য দল থেকে এসে ষড়যন্ত্র করেছে—বহু ব্যবহৃত এই কৌশল কী আদৌ সমস্যার গভীরে পৌঁছতে সহযোগিতা করে? নীতি-আদর্শকে সমাহিত করে শুধু ‘সহমত ভাইদের’ সংখ্যা বাড়ানো কিংবা ঠেসে পুড়ে সমাজের সব মতাদর্শের সুবিধাবাদীদের দলে ভেড়ার সুযোগ করে দেওয়ার সামাজিক ফলাফলটা কী হচ্ছে?

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকেই দেখা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার সঙ্গে জড়িত অনেককে ছাত্রলীগ, যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর মামলার চার্জশিটভুক্ত তিন আসামিকে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। পরে সমালোচনার মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দলটি।

‘অজ্ঞাত সংখ্যা’কে প্রতিপক্ষ বানানো সহজ। কিন্তু এর বিপদ হচ্ছে, সমাজের যে কাউকেই এতে প্রতিপক্ষ বানিয়ে দেওয়া যায়। সমাজের শুভবোধসম্পন্ন মানুষ ও প্রতিবাদীরাও এতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। বিভ্রান্তির এই বৃত্তের বাইরে ধর্মান্ধ মতাদর্শ পুষ্ট হতেই থাকে। আর সেই মতাদর্শ বাড়তে বাড়তে সব রাজনৈতিক পক্ষকেই গ্রাস করে।

সাম্প্রদায়িকতা দমনে সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভারতের সাংবাদিকেরা: তথ্যমন্ত্রী

‘অনেক বাবা-মা সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে এখনো ভয়ে আছেন’-মানবজমিন

করোনা মহামারিতে ঠিক কতো ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।মন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৯০ ভাগের বেশি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা পাচ্ছি। তার মানে তারা ঝরে পড়েনি। এখনো অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে ভয়ে আছেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার এখনো শতভাগ নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত আরো বৃদ্ধি পাবে।দীপু মনি বলেন, আমরা এখনো ঠিক বলতে পারছি না ঠিক কত সংখ্যক ঝরে পড়েছে। তবে কিছু হয়তো ঝরে পড়েছে। যাদের একটু আর্থিক সমস্যা রয়েছে, তারা ছেলে মেয়েদের কাজে লাগিয়ে দিয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ১৭ নথি গায়েব-কালের কণ্ঠ

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েব হওয়ায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ। আজ শনিবার (৩০ অক্টোবর) শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত এই অভিযোগটি করা হয়।

তিনি বলেন, ‌গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব বা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাদিরা হায়দার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আজ সচিবালয় বন্ধ থাকায় আগামীকাল থেকে তদন্ত শুরু হবে। কে বা কারা নথি গায়েব করেছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে।

জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই।

ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চমেক-যুগান্তর

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

কংগ্রেসের জন্যই এত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন মোদীজি, গোয়ায় বললেন মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা

তৃণমূলনেত্রীর তিন দিনের গোয়া সফরের শেষ দিন শনিবার। ঘটনাচক্রে সে দিনই গোয়ায় পা রাখছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। দু’জনের কি দেখা হবে?

শনিবার সকালে রাজধানী পানজিমের অদূরে ডোনা পওলার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে এই প্রশ্নই করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জবাব এল, ‘যে কেউ, যেখানে খুশি যেতে বা আসতে পারেন।’ পর্যবেক্ষকদের মত, এই জবাবেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেল কংগ্রেসকে নিয়ে তৃণমূলের বর্তমান মনোভাব। একই আলাপচারিতায় মমতা সাফ জানালেন, কংগ্রেসের মতো করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা ভাবছেন না তিনি। বরং শক্তি বাড়িয়ে আঞ্চলিক দলগুলিকে জোটবদ্ধ করে বিজেপি-কে টক্কর দিতে চান। তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, যে কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ছাড়ে না, তাঁদের সঙ্গে কী করে জোট সম্ভব?

এখানেই শেষ নয়। মমতার অভিযোগ, বিজেপি-র সঙ্গে সমঝোতা করে চলে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেস যে ভাবে কমছে, সেই হারেই টিআরপি বাড়ছে বিজেপি-র। এই প্রসঙ্গেই পিকে-র মন্তব্যেরও ব্যাখ্যা দেন মমতা। বলেন, ‘‘পিকে-র কথার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে বলে মনে হয়। ও বলতে চেয়েছে, কংগ্রেস একা একা যে ভাবে লড়ছে, সে ভাবে লড়ে বিজেপি-কে হারানো যাবে না। আমিও চাই না গোয়ায় ভোট ভাগাভাগি হোক।’’

ত্রিপুরায় জারি নয়া নির্দেশিকা, অভিষেককে আটকাতেই কি এই পদক্ষেপ?-আজকাল

রবিবার থেকে অভিষেক ব্যানার্জির ত্রিপুরা সফর শুরু হচ্ছে। তার আগেই নয়া পদক্ষেপ ত্রিপুরা সরকারের। বিপ্লব দেবের সরকার এক নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ভিনরাজ্য থেকে ত্রিপুরায় আসার ৪৮ ঘণ্টা আগে RT-PCR টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ওই রিপোর্ট  যদি না থাকে? সেক্ষেত্রে ত্রিপুরা সরকার ওই যাত্রীর RT-PCR টেস্ট করাবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। তবে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ত্রিপুরায় ঢুকতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট যাত্রী। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও ভাঙন দেখা দিচ্ছে বিজেপির। চলতি মাসের ২৭ তারিখ গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা পরীক্ষিত দেববর্মা।

এবার পাখির চোখ ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। তবে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রয়েছে পুরভোট। সেখানে সব আসনে লড়ার কথা জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

২৬ দিন হাজতে কাটিয়ে ‘মন্নত’-এ ফিরেছেন আরিয়ান খান- আনন্দবাজার/সংবাদ প্রতিদিন 

শাহরুখের অট্টালিকার বাইরে উৎসবের আমেজ। কিন্তু মুক্তির উচ্ছ্বাসের আড়ালেও দপদপ করছে উৎকণ্ঠা। শাহরুখ-পুত্রের বন্দিদশা কেটেছে ঠিকই। কিন্তু ঘিরে রয়েছে নিয়মকানুনের বেড়াজাল। এখন বেশ কিছু দিন ‘মন্নত’-এর বাইরে পা রাখবেন না তারকা-সন্তান। এমনই জানিয়েছেন শাহরুখের সহকারী পূজা দাদলানি। অর্থাৎ আইনি বন্দিদশা ঘুচলেও আপাতত চার দেওয়ালের ঘেরাটোপেই দিন কাটবে শাহরুখ-তনয়ের। দাদার জেলমুক্তির কারণে নাকি খুব শীঘ্রই নিউ ইয়র্ক থেকে বাড়ি ফিরতে চলেছেন বোন সুহানা।

কয়েকটি শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে আরিয়ানকে। বিশেষ আদালতের কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। দেশের বাইরে এই মুহূর্তে কোথাও যেতে পারবেন না শাহরুখ-পুত্র। দেশের মধ্যে কোথাও যেতে হলেও জানাতে হবে তদন্তকারী অফিসারকে। আপাতত লোকচক্ষু থেকে তাঁকে আড়ালে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাবা-মা। অর্থাৎ ঘর ছেড়ে এই মুহূর্তে কোথাও বেরোবেন না আরিয়ান।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩০

ট্যাগ