নভেম্বর ০২, ২০২১ ১৬:০৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২ নভেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • দেশে আরও বিনিয়োগের জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর-প্রথম আলো
  • বিদেশি মিশনগুলোকে বার্তা-আর সাম্প্রদায়িক হামলা চালাতে দেওয়া হবে না-কালের কণ্ঠ
  • স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফাইল গায়েব নিয়ে যা বললেন রিজভী -যুগান্তর
  • রংপুরে পুলিশের অভিযানে যুবকের মৃত্যু-পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট-মানবজমিন

  • বিশ্ব নেতাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বাইডেন-ইত্তেফাক

ভারতের শিরোনাম:

  • ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে উন্নয়ন, একতাকে বেছে নিলেন বাংলার মানুষ: মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ভোটের আগে জিন্নাকে নিয়ে অখিলেশের মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় উত্তরপ্রদেশ, কটাক্ষ যোগীর-সংবাদ প্রতিদিন
  • মৃত্যু উপত্যকা!‌ ২ বছরেরও কম সময়ে বিশ্বে করোনার বলি ৫০ লক্ষ‘–আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলেন প্রার্থী। লক্ষীপুর জেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে এই খবর দিয়েছে দৈনিক মানবজমিন। এই মনোনয়ন বাণিজ্য সম্পর্কে আপনি কি বলবেন?
২.আমেরিকার বেআইনি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইরান ও চীন অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। দুই দেশের এই অবস্থানের গুরুত্ব কি?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

দেশে আরও বিনিয়োগের জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর-প্রথম আলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের দেওয়া অফুরন্ত সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

স্কটল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তিনি এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন।প্রবাসীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রতিবন্ধকতাগুলো (আরও যদি থাকে) খুঁজে বের করব। আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, সেগুলোর সমাধান করার মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও সুবিধাজনক করব।’

আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই গণমুখী বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, তাঁরা সব সময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করেন।যথাযথ চ্যানেল ব্যবহার করে বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বর্তমান সরকার প্রবর্তিত ২ শতাংশ প্রণোদনার কথাও এ সময় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে একটি পৃথক ব্যাংকও প্রতিষ্ঠা করেছে।বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবাসীরা কিছু অসুবিধার কথা উল্লেখ করলে জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আসলে তিনি জানতেন না যে তাঁরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লন্ডনে একটি রোড শো হবে, যেখানে আমি বাংলাদেশ উন্নয়ন ও বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষকে (বিডা) বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলব।’সরকারপ্রধান বলেন, বিনিয়োগের সুবিধার্থে সব বাধা দূর করতে তিনি ইতিমধ্যে বিডাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য তাঁর সরকার বিশেষ ব্যবস্থার প্রস্তাব করেছে।

তবে প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশে প্রচলিত আইন মেনে চলার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কারণ, বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগের জন্য কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। তিনি আশা করেন, প্রবাসীরা এই নিয়মকানুন মেনে চলবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বিনিয়োগ বন্ড ও প্রিমিয়াম বন্ড রয়েছে, যেখানে প্রবাসীরা বিনিয়োগ করতে পারবেন। সরকার প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। সেখানেও প্রবাসীরা বিনিয়োগ করতে পারবেন।

স্কটল্যান্ডে বিএনপির বিক্ষোভের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, কেন তারা এটা করছে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, আমার দোষ কী? বাংলাদেশের উন্নয়ন করেছি, দারিদ্র্যের হার কমিয়েছি, বাংলাদেশের মানুষকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি।’

বাংলাদেশের আর বিদেশিদের কাছে ভিক্ষা করার দরকার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে আমাদের ৯০ শতাংশের বেশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।’শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলের মতো দেশকে আবার এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে ফেলতে চায়। বিএনপির মতো চোরেরা ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ আবার অন্ধকারের যুগে নিমজ্জিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট কখনো দেশের উন্নয়ন চায় না, এমনকি তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাও চায়নি।শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ঢাকা-নিউইয়র্ক ও ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইট পুনরায় চালু করার জন্য আলোচনা করছে।

বিদেশি মিশনগুলোকে বার্তা-আর সাম্প্রদায়িক হামলা চালাতে দেওয়া হবে না-কালের কণ্ঠ

দুর্গাপূজাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক হামলাগুলোর মতো ঘটনা আর ঘটতে দেওয়া হবে না বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বাস দিয়েছে সরকার। গত রবিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি দূতাবাস, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে পাঠানো চিঠিতে সরকার ওই আশ্বাস দেয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, সব গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝি ও জটিলতা দূর হবে। আইনের শাসন সমুন্নত থাকবে এবং আন্ত সম্প্রদায় ও আন্তর্ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা যারা করবে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ধর্ষণ ও মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অপপ্রচারে বাংলাদেশ সরকার উদ্বিগ্ন। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নেবে। দেশে ও বিদেশে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো পক্ষেরই এ ধরনের মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোকে হিন্দু ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে হামলার ঘটনার বিষয়ে সরকারের অবস্থানপত্র পাঠানো হয়েছে। সেখানে সাম্প্রতিক হামলাগুলো মোকাবেলায় সরকারের প্রচেষ্টা, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগসহ সরকারের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।

জানা গেছে, চিঠিতে দুর্গাপূজার সময় হামলার খবর পাওয়ার পরপরই ৩৭টি জেলায় নিরাপত্তা জোরদারে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি মোতায়েনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে গুজবে কান না দেওয়ার এবং সবাইকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সবাইকে যেকোনো উপায়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এরই মধ্যে অনেক স্থানে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। হামলাগুলোর ঘটনায় মামলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু, অন্যজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। কোনো মন্দির ভাঙা হয়নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাউকে ধর্ষণ করা হয়নি।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধে দরিদ্র কিছু ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার দ্রুত ২০টিরও বেশি বাড়ি পুনর্নির্মাণের ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে, সম্ভবত বাংলাদেশই বিশ্বে একমাত্র দেশ যেখানে সব ধর্মের উৎসবে সরকারি ছুটি পালন করা হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সহায়তায় এখানে আলাদা ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ বছরও দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টে তিন কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফাইল গায়েব নিয়ে যা বললেন রিজভী -যুগান্তর

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি ফাইল গায়েব হওয়া নিয়ে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের দোষারুপ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  

তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি ফাইল গায়েব হয়ে যায়, এতে কী বুঝতে বাকি আছে? এটা কারো বুঝতে বাকি নেই। আমার মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, নেতারা দেশ ছেড়ে  চলে যেতে চাচ্ছেন। তাই যাতে কোনো ডকুমেন্ট না থাকে সেজন্য এই ১৭টি ফাইল গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। কারণ সামনে কোন পরিস্থিতি হয়, আবার এই ফাইলগুলো থেকে কত টাকা কোন জায়গা থেকে কত পার্সেন্টেজ দেওয়া হয়েছে, তার যদি কোনো ডকুমেন্ট থেকে থাকে এ জন্যই ফাইলগুলো হাওয়া করে দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে রিজভী এসব কথা বলেন। খাদ্যপণ্য, ও ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পে ব্যবহৃত সুতা, রঙ, কেমিক্যালের দাম ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। 

মানববন্ধনে বক্তব্যে রিজভী বলেন, বাংলাদেশকে আজ এমন এক অবস্থায় শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) নিয়ে গেছেন, যার না আছে স্বাধীনতা, না আছে সার্বভৌমত্ব। আর গণতন্ত্র অনেক দিন আগেই গোরস্থানে কবর দিয়েছেন তিনি। তার যা ইচ্ছা তিনি তাই করবেন, এজন্য তাকে কোনো জবাবদিহি করতে হবে না। 

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি মানে রাষ্ট্রের অভিভাবক, জাতির অভিভাবক। কিন্তু বর্তমান রাষ্ট্রপতি হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি। 

সরকার বিনাভোটে ক্ষমতার রাজসিংহাসনে বসে আছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ওই সিংহাসনের পা ধরে ধুলায় লুটিয়ে দিতে হবে। তাহলে আবার দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস ফিরে আসবে।

রিজভী বলেন, আজকে প্রতিটি জায়গা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের পার্সেন্টেস নিশ্চিত করতেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। মানুষের গলায় পা দিয়ে টাকা তুলছে এই ক্ষমতাসীনরা। তারা অনির্বাচিত। তারা অগণতান্ত্রিক, তাদের নির্বাচনের দরকার নেই। তাই যারা ডাকাত, লুটেরা, দস্যুবৃত্তি যাদের রাজনীতি তারা কখনোই জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে চায় না।  

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করলেও তাদের কোনো নদীর পানি বিষাক্ত নয়। আর আপনার তুরাগ নদী, বুড়িগঙ্গা নদী নর্দমায় পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। আর আপনি গেছেন গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে। বাহ কী বৈপরিত্য, কী স্ববিরোধিতা।

তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।

বিশ্ব নেতাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বাইডেন-ইত্তেফাক

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে দিয়েছিলো। ক্ষমতায় এসেই সেই চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল সোমবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ঐতিহাসিক জলবায়ু সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে বিগত ট্রাম্প প্রশাসনের ওই  সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্বনেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

জো বাইডেন বলেন, বিগত প্রশাসনের ওই পদক্ষেপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি খুবই লজ্জিত। ওই সিদ্ধান্ত আমাদের যেই জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা অর্জন করা থেকে পিছিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমার ক্ষমা চাওয়া উচিত নয়, তবে আমি এই সত্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী যে সাবেক মার্কিন প্রশাসন প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।’

জলবায়ু বিপর্যয় এড়ানোর আহ্বানের মধ্য দিয়ে রবিবার গ্লাসগোতে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা। সেখানে তারা পৃথিবীর সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

রংপুরে পুলিশের অভিযানে যুবকের মৃত্যু-পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট-মানবজমিন

রংপুরের হারাগাছে পুলিশের অভিযানে তাজুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনার বিষয়ে উচ্চ আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত। পরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ঘটনার পুরো বিষয়ে এসপির সঙ্গে কথা বলে খবর নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা উচ্চ আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি ও আদেশ দেয়া হবে।রংপুরের হারাগাছে পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হারাগাছের নতুন বাজার বছি বানিয়ার তেপতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাজুল ইসলাম উপজেলার হারাগাছ নয়াটারী দালালহাট গ্রামের বাসিন্দা।জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নয়া বাজার বছি বানিয়ার তেপতি থেকে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ।

এ সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাজুল ইসলাম। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করেন। বিক্ষুব্ধ জনতা ইটপাকটেল ছুড়ে মারার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে উন্নয়ন, একতাকে বেছে নিলেন বাংলার মানুষ: মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা

উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রেই বিপুল ব্যবধানে জয়ের পথে তৃণমূল প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে জয় ঘোষণার আগেই টুইটে এল মমতার শুভেচ্ছা। তিনি লিখলেন, ‘আমি চার জয়ী প্রার্থীকেই অভিনন্দন জানাচ্ছি। এটা মানুষের জয়। কারণ বাংলার মানুষ ঘৃণা এবং মিথ্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে উন্নয়ন ও একতাকে বেছে নিয়েছেন। আমরা বাংলাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের ঠিক ৬ মাসের মাথায় উপনির্বাচনে ৪-এ ৪। ছত্রখান বিরোধী শিবির। জয়জয়কার তৃণমূলের। গণনার শুরু থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে ব্যবধান বাড়াতে থাকেন ৪ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীরা। গোসাবা, দিনহাটায় গণনার মাঝ পথেই তৃণমূলের সঙ্গে নিকটতম দ্বিতীয়ের ব্যবধান এক লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। খড়দহ কেন্দ্রেও বিজেপি-সিপিএমকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান শোভনদেব। অর্থাৎ ৪ কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে তৃণমূলের জয় এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে টুইট এল কালীঘাট থেকে। দলের বিপুল জয়ের কাঁধে চেপে আগামী দিনে বাংলাকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সংকল্প ঘোষণা করেছেন দলনেত্রী। নেত্রীর শুভেচ্ছা পাওয়ার পর জয়োল্লাসে মেতেছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।

মৃত্যু উপত্যকা!‌ ২ বছরেরও কম সময়ে বিশ্বে করোনার বলি ৫০ লক্ষ‘–আজকাল

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম আবির্ভাব। চীনের ইউহান প্রদেশে। তার পর একে একে ছড়িয়েছে বিভিন্ন দেশে। এখন দুনিয়ার কোনও কোণেই তার পা পড়া বাকি নেই। দু’‌ বছরেরও কম সময়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন দুনিয়ায় প্রায় কোটি কোটি মানুষ। আর মারা গিয়েছেন লাখ লাখ। পরিসংখ্যান বলছে, কোভিডে গোটা দুনিয়ায় মারা গিয়েছেন ৫০ লক্ষ জন।জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি বলছে, সান ফ্রান্সিসকো আর লস এঞ্জেলেসে মোট যা জনসংখ্যা, তার থেকে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন কোভিডে। প্রসঙ্গত শুধু আমেরিকাতেই কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন সাত লক্ষ ৪০ হাজার জন। দুনিয়ায় করোনায় যত জন মারা গিয়েছেন, তার অর্ধেকই আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং ব্রাজিলের বাসিন্দা। অথচ দুনিয়ার মোট জনসংখ্যার আট ভাগের এক ভাগ মাত্র এই দেশগুলোতে বাস করেন। এর থেকেই স্পষ্ট, যে এসব উন্নত দেশে কোভিডে মৃত্যুর হার কতটা বেশি।

ভোটের আগে জিন্নাকে নিয়ে অখিলেশের মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় উত্তরপ্রদেশ, কটাক্ষ যোগীর-সংবাদ প্রতিদিন

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তালিকায় মহম্মদ আলি জিন্নাকেও শামিল করে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সপা নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। তাঁর এমন মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই ওই মন্তব্যকে ‘লজ্জাজনক’ বলে তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এদিকে সপা নেতা তথা সম্বলের সাংসদ শফিকুর রহমান বার্ককে অখিলেশের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে।

রবিবার হরদোইয়ের এক জনসভায় অখিলেশ মন্তব্য করেছিলেন, “সর্দার প্যাটেল, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু এবং জিন্না একই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছিলেন এবং ব্যারিস্টার হয়েছিলেন। তাঁরা সকলেই পরে ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। কখনও তাঁরা সংগ্রাম থেকে পিছিয়ে আসেননি।” অখিলেশের এই মন্তব্যেই ছড়ায় বিতর্ক। তাঁর সর্দার প্যাটেল, গান্ধীজি এবং নেহরুর সঙ্গে একই তালিকায় জিন্নার নাম নেওয়াকেই ‘টার্গেট’ করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোটা বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দেন।#

জলবায়ুর পরিবর্তন বড় বিপদ’, গ্লাসগোর সম্মেলনে বিশ্বকে সতর্ক করলেন মোদি-সংবাদ প্রতিদিন

জলবায়ুর পরিবর্তন (Climate Change) ক্রমেই বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে। গত কয়েক দশকেই দেখা গিয়েছে, কীভাবে এর প্রভাব সকলের উপর পড়েছে। গ্লাসগোয় COP26 জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে নিজের বক্তব্য পেশ করার সময় জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে এভাবেই সকলকে সচেতন করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)।

এদিন বক্তব্য রাখার সময় মোদি বলেন, ”গত কয়েক দশকেই দেখা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে কেউই জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাঁচতে পারেনি। সে উন্নয়নশীল দেশই হোক কিংবা প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য থাকা দেশই হোক।” এদিন ‘অদম্য দ্বীপরাজ্যের পরিকাঠামো’র উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ নতুন আশা ও বিশ্বাসের জন্ম দেবে।

উল্লেখ্য, সোমবার ইতালিতে G20 শীর্ষ সম্মেলন থেকে গ্লাসগোয় COP26 জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের জন্য পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিনই স্কটল্যান্ডে অবস্থিত ভারতীয় সম্প্রদায়ের নেতা এবং ইন্ডোলজিস্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (UNFCCC) ২৬ তম কনফারেন্স অফ পার্টিস অথবা COP26-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন। সেখানেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মন্ত্রী, প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মোদির। দেখা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গেও।

সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, জলবায়ুর উপর বড় প্রভাব ফেলছে মানুষের জীবনযাপন। সেখানেই বদল প্রয়োজন। আর তাই লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্টের (LIFE) শপথ নেন তিনি। অর্থাৎ জলবায়ুর উন্নতির জন্য জীবনযাপনে বদল আনতে পাঁচ অমৃত তত্ত্বের সন্ধান দেন মোদি। মঙ্গলবারও জলবায়ুর গুরুত্বের কথা উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর মুখে।

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।