চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মতোই শত্রুতার নীতি গ্রহণ করেছে বাইডেন প্রশাসন
চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন শত্রুতামূলক আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করেছে। মাকিন নতুন প্রশাসন এরইমধ্যে বলেছে, পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ায় চীন সম্প্রসারণবাদী তৎপরতা চালাচ্ছে।
সমুদ্রসীমা নিয়ে যেসব দেশের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্ব রয়েছে আমেরিকা এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মূলত সেসব দেশের পক্ষ নিল। এছাড়া, দক্ষিণ এবং পূর্ব চীন সাগরের উপর যে সীমানাগত দাবি রয়েছে চীনের তাও মানবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
গতকাল (বুধবার) জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, পূর্ব চীন সাগরের বিতর্কিত সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জসহ পুরো জাপানকে রক্ষার ব্যাপারে তার প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর আগে গত শনিবার আমেরিকার নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জাপানি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, পূর্ব চীন সাগরের এ দ্বীপপুঞ্জ রক্ষার ক্ষেত্রে আমেরিকা আগে সম্পাদিত মার্কিন-জাপান নিরাপত্তা চুক্তি অনুসরণ করবে। ওই চুক্তি অনুসারে, সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে যদি জাপান কারো সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে আমেরিকাও জাপানের পক্ষে যুদ্ধ করবে।
এছাড়া, জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের তিনদিন পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস তাইওয়ান ইস্যুতে চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অভিন্ন নিরাপত্তা এবং মূল্যবোধ রক্ষার জন্য আমরা আমাদের বন্ধু এবং মিত্রদের পাশে দাঁড়াবো।” তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, “তাইওয়ানের ব্যাপারে আমাদের প্রতিশ্রুতি ইস্পাত দৃঢ়।”#
পার্সটুডে/এসআইবি/২৮