অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অপরিহার্য- সিইসি: সংলাপে মানুষের আগ্রহ নেই- ফখরুল
(last modified Tue, 22 Mar 2022 11:03:13 GMT )
মার্চ ২২, ২০২২ ১৭:০৩ Asia/Dhaka
  • প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল
    প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে আস্থা ফেরাতে হবে; মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে হবে। এ জন্য বিশিষ্টজনদের সহযোগিতা প্রয়োজন। গণতন্ত্র সুসংহত করতে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অপরিহার্য বলে দাবি করেন তিনি।

আজ (সোমবার) বেলা সোয়া ১১টায় সুশীল সমাজের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপের উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির জন্য আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে নির্বাচন কমিশন।

সংলাপে ৩৯ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নেন মাত্র ১৯ জন। তাঁদের কেউ কেউ বলেছেন, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

সংলাপে বিশিষ্টজনেরা জাতীয় নির্বাচনে সবার ঐকমত্য ছাড়া ইভিএম ব্যবহার না করা, ভোটারদের বাধাহীনভাবে ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত করা, ভোটের আগে-পরে ভোটারদের বিশেষ করে নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নির্বাচনকালীন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আনার পরামর্শ দিয়েছেন।

বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কমিশন যদি মনে করে, নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে আইন ও সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, তাহলে তারা সরকারকে প্রস্তাব দেবে। আর যদি মনে করে, সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগের মানসিকতা রাখতে হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রমুখ সংলাপে বক্তব্য দেন।

সংলাপ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তাঁরা বিশিষ্টজনদের প্রস্তাব ও পরামর্শ শুনেছেন। এসব পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ইসির সঙ্গে সংলাপে অনুপস্থিতির সংখ্যা দেখেই বোঝা যায়, এই সংলাপে মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। নির্বাচন কমিশন যতই সংলাপ করুক তা কোনো কাজে আসবে না।'

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হয়, ইসির পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব না। তাই আমরা সংলাপে আগ্রহী না। বিএনপির একমাত্র দাবি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে বলে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আরও বাড়বে। নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আমরা আন্দোলন করলাম এবং ভবিষ্যতেও আন্দোলন করে যাবে। আমরা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিরোধী এবং এটা গণবিরোধী উদ্যোগ। তিনি এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. আবদুল কুদ্দুস, মহাসচিব প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেনসহ জিয়া পরিষদের নেতাকর্মীরা।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২২

 

ট্যাগ