সরকার সহযোগিতা না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে: সিইসি
(last modified Mon, 25 Jul 2022 11:33:49 GMT )
জুলাই ২৫, ২০২২ ১৭:৩৩ Asia/Dhaka
  • কাজী হাবিবুল আউয়াল
    কাজী হাবিবুল আউয়াল

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের সময়ের সরকার সহযোগিতা না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আজ (সোমবার) বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। ধারাবাহিক এই সংলাপের সপ্তম দিন আজ। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই সংলাপ হয়।

সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় যে সরকারই হোক, একটা সরকার তো থাকবে। ওই সরকার আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা সরকারের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারব। সরকারের কাছ থেকে আইনানুগ সাহায্য-সহযোগিতা চাইব। 

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের কাজটি খুব সহজ নয়, কঠিন। কঠিন হলেও এই কঠিন, চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সকলের মধ্যে যদি চিন্তায় ঐক্য থাকে, চেতনায় ঐক্য থাকে, আমাদের বিশ্বাসে যদি আন্তরিকতা ও সততা থাকে; তাহলে আমরা যেকোনো কঠিন কাজ, যে কোনো কর্মযজ্ঞ যতই জটিল হোক না কেন, যতই অসাধ্য হোক না কেন, আমাদের সাধ্যে আনতে পারব।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার প্রয়াস থাকবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, একটু আগেই বলেছেন (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ) নির্বাচন কমিশনের সাধ্য অসীম নয়। অংশীজনের সহযোগিতা লাগবে। রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বিদ্যমান মোটাদাগে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা যায়। যদি আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই প্রয়াসটা নেন। আমাদের তরফ থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না। আমাদেরকে যতটুকু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োগ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধান যদি কালকেই সংশোধন হয়, আমরা ওর আওতায় পড়ে যাব। ১৮তম হলে তার আওতায় পড়ে যাব। ১৯তম হলেও আমরা তার আওতায় পড়ে যাব। এতে আমাদের কোনো অসুবিধা বা বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা অবশ্যই সংবিধান মান্য করব। আপনারা রাজনৈতিক শক্তি বা দল বা রাজনৈতিক শরীক দলগুলো যারা আছেন, নিজেদের তরফে চেষ্টাগুলো করে যান। যাতে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পরিবেশটা ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অনুকূল হয়। নির্বাচনের সময় সকল দল ও অংশীজনের আন্তরিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যে করেই হোক আমাকে জিততেই হবে, কোনোভাবেই আমি হারব না- এই মানসিকতা যদি কারো থাকে, সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ জানিয়েছে,  তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার চায় না। একইসঙ্গে ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনারও দাবি জানিয়েছে দলটি।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়েরের স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় আইনি কাঠামো, নির্বাচনি প্রক্রিয়া ও বিবিধ বিষয়ে ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ