আগামী সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম: ইসি
ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন কাদের, জাপা মহাসচিবের আপত্তি
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ (বুধবার) রাজধানীর বনানীতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, “আমরা ২০১৮ সালের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বলেছি, আধুনিক যে টেকনোলজি এটা ব্যবহার করা সংগত। কারচুপির ও জালিয়াতির নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না। তারপরও কিছু কিছু করে ইভিএম চালু করা হয়েছিল। এবারও আমরা ৩০০ আসনে চেয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন অর্ধেক আসনে সম্মত হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “যারা ইভিএমকে ভয় পায়, আমি জানি না তারা জনগণের ভোট নিরপেক্ষ হোক, কারচুপিমুক্ত হোক- এটা চায় কি না।”
এদিকে, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের অভিযোগ করেছেন, কারচুপি করতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীনেরা। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনের ওপর সাধারণ মানুষের কোনো আস্থা নেই। এখন সব ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী কোনো সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এ কথা বলাই যায়। একই নির্বাচন কমিশন নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারলেও দলীয় সরকারের অধীনে সেটি সম্ভব হয়নি। কারণ, নির্বাচনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের প্রার্থীদের সঙ্গে অন্য প্রার্থীদের কখনোই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় না।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভোটে এই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিল। ইসির সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেও সংলাপে বলেছিলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএমে বিশ্বাস করছে না। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত খুব একটা আমলে নেয়নি ইসি। এর আগে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।