আগস্ট ৩১, ২০২২ ১৩:১৬ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা : টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, ২০২১ সালে দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের তালিকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা শীর্ষে রয়েছে। এই খাতে সেবা নিতে গিয়ে ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির শিকার হয়েছেন।

আজ (বুধবার) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক জরিপের ফলাফল উপস্থাপনের সময় টিআইবি এই তথ্য জানিয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সময় সেবা খাতের ওপর এই জরিপ করা হয়।

টিআইবির তথ্যমতে, ২০২১ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় দুর্নীতির শিকার সার্বিক খানার হার ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ। যা গ্রামাঞ্চলে ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ, শহরাঞ্চলে ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার পর দুর্নীতির এই তালিকায় অবস্থান করছে পাসপোর্ট খাত। তবে সেবাখাতগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ ঘুষ লেনদেন হয় পাসপোর্ট খাতে। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে ঘুষ লেনদেনের পরিমাণ বেশি।

এরপর দুর্নীতিতে ধারাবাহিক অবস্থানে আছে বিআরটিএ, বিচারিক সেবা, স্বাস্থ্য (সরকারি), স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, ভূমি সেবা, শিক্ষা (সরকারি ও এমপিওভুক্ত), বিদ্যুৎ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ সহায়তা, কৃষি, বীমা, এনজিও, গ্যাস, ব্যাংকিং, কর ও শুল্ক এবং মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন শপিং, ওয়াসা।

জরিপে অন্তর্ভুক্ত ঘুষদাতা ৭২.১ শতাংশ সেবাগ্রহীতা ঘুষ দেওয়ার কারণ হিসেবে ‘ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না’ এ কথা বলেছেন। অর্থাৎ ঘুষ আদায়ে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অব্যাহত রয়েছে। ২০২১ সালে সার্বিকভাবে খানা প্রতি গড়ে ৬ হাজার ৬৩৬ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছে।

২০২১ সালে জাতীয় পর্যায়ে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ৮৩০ কোটি ১০ লাখ টাকা। যা ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের (সংশোধিত) ৫.৯  শতাংশ। যা বাংলাদেশে জিডিপির ০.৪ শতাংশ। 

অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সেবা খাতে দুর্নীতিতে কিছুক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এলেও সার্বিক তথ্য উদ্বেগজনক। বিচারিক খাতের দুর্নীতিও উদ্বেগজনক। যারা অনিময় করছেন, তারা ঘুসকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করেছেন। যারা দিচ্ছেন তারা জীবনযাপনের অংশ করে নিয়েছেন।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩১

ট্যাগ