এ সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়: বিএনপি
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন- বিএনপিকে কাদের : কাউকে ধরে–বেঁধে ভোটে আনব না- সিইসি
টালবাহানা না করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এদিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ইসির পক্ষ থেকে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক ভোট চায়। তবে কাউকে ধরে–বেঁধে নির্বাচনে আনতে পারবে না ইসি।
বিরোধী দল যাতে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে জন্য মাঠ খালি করতে হামলা করা হচ্ছে বলে গতকাল অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ (সোমবার) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ ধরনের বক্তব্যকে 'হাস্যকর ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার' বলে অভিহিত করেন।
তবে, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মশাররফ হোসেন আজ রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আবারো ঘোষণা করেছেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, জনগণের সম্মিলিত গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে।
ওদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক ভোট চায়। তবে কাউকে ধরে–বেঁধে নির্বাচনে আনবে না ইসি। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ইসির পক্ষ থেকে সবার প্রতি আহ্বান থাকবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এমন মন্তব্য করেন।
নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি’র (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে। দলটি বলেছে, নির্বাচন কমিশন যদি এক সাথে ৩০০ আসনের সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে ইভিএম এ নির্বাচন করা সঠিক হবে না।
এর আগে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে অংশ নিয়ে নিবন্ধিত বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনকালীন সরকারে কোনো না কোনো ধরনের পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছিল। ১০টি দল নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ বা সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল সংলাপে।
তবে ইসি মনে করে, নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে তা পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। সাংবিধানিক বিষয়ে ইসির করণীয় কিছু নেই। নির্বাচনের সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ইসির অধীনে ন্যস্ত করার বিষয়টিও সংবিধানের আলোকে বিবেচিত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে ইসি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে ১০টি পর্যবেক্ষণ আজ প্রকাশ করেছে ইসি। ইসির পর্যবেক্ষণের সারসংক্ষেপ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে। যেসব বিষয়ে ইসি পর্যবেক্ষণ বা মতামত দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে আনা, ইভিএমের ব্যবহার, নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক মামলা এবং ইসির ক্ষমতা প্রয়োগ।#
পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।