কোনো দলের পক্ষে কাজ করবেন না: ডিসি-এসপিদের প্রতি সিইসি
(last modified Sat, 08 Oct 2022 11:22:58 GMT )
অক্টোবর ০৮, ২০২২ ১৭:২২ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) আগামী নির্বাচনে নিরপেক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রজাতন্ত্রের কর্মের কাঙ্ক্ষিত মান ও আদর্শকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ (শনিবার) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে স্বাগত বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, 'আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে জনগণ ভাবতে পারেন যে, আপনারা কোনো একটি দলের পক্ষে কাজ করছেন।'

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন। এরপর জাতীয় সংসদের দুটি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী বছরের শেষ প্রান্তিকে অথবা ২০২৪ সালের শুরুতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবিধান ও বিভিন্ন আইন অনুযায়ী নির্বাচনকে একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংবিধান ও বিভিন্ন আইন অনুযায়ী বছর ধরেই তা চলে। সাধারণত, পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন হয়। তবে স্থানীয় সরকার বিষয়ক বিভিন্ন নির্বাচন বছর ধরে কোনো না কোনো কারণে চলমান থাকে।

এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আপনারা রাষ্ট্রের মূল প্রশাসনিক ইউনিট এবং জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা। পদাধিকারবলে জনগণের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার এবং স্থানীয় সরকার গঠনের গুরুত্ব নিশ্চয়ই অনুধাবন করেন। ইসির সঙ্গে আস্কের এ এই বৈঠকে জেলার ডিসি-এসপি ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আজ রাজধানীতে এক সমাবেশে আবারো বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই  সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি  নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা  ছেড়ে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন সেই অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনে গঠন করে দেশে একটি অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে। আর একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি গণতান্ত্রিক জাতীয় সংসদ গঠিত হতে হবে।

অপরদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল খুশি মতো চলে না, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের পন্থা অনুসরণ করেই নির্বাচনী ব্যবস্থা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে অবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের স্বৈরতান্ত্রিক জিয়াউর রহমান ও এরশাদ নিজেদের স্বার্থে দখলকৃত ক্ষমতাকে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিল। সংবিধানের সেই সমস্ত সংশোধনী দেশের উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করছে। এখন সেই জায়গায় ফেরত যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতারা নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং সংবিধান নিয়ে তাদের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি বক্তব্য প্রদান করছেন। তাদের উদেশ্য একটি অগণতান্ত্রিক এবং অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা  করা। আর সে জন্যই তারা নির্বাচন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতা চালাচ্ছেন।#

পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ