আরপিও সংশোধন প্রস্তাব: সরকারের অবস্থান জানতে চান সিইসি
(last modified Sun, 27 Nov 2022 13:04:15 GMT )
নভেম্বর ২৭, ২০২২ ১৯:০৪ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বারবার চিঠি দিয়েও এই বিষয়ে অগ্রগতির তথ্য জানায়নি আইন মন্ত্রণালয়। এজন্য ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি জানাতে ‘শেষবারের মতো’ চিঠি দিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

ইসির উপসচিব মো. আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি আজ (রোববার) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আরপিওর বেশ কিছু সংশোধন বা সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে এ সংক্রান্ত খসড়া বিল প্রস্তুত করে গত ৮ আগস্ট আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়।

দীর্ঘ সময় পার হলেও পাঠানো বিলের বিষয়ে ইসিকে অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়নি। ফলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১০ অক্টোবর লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগকে জরুরি চিঠি দিয়ে অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। তা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত ওই খসড়া বিলের অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়নি। 

ড. বদিউল আলম মজুমদার

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার রেডিও তেহরানকে বলেন, সরকার যে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারে আগ্রহী না তার একটি বড় প্রমাণ আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব পড়ে থাকা। একইসাথে নির্বাচন কমিশনের দেয়ার প্রস্তাবনাও বাস্তবিক ও যৌক্তিক নয় বলেও মন্তব্য করেন এ স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী আইন সঠিক হওয়া দরকার। নির্বাচন কমিশন তাদের নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে থাকা বিষয়গুলোরও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিংবা করেনি বলেও অভিযোগ করেন বদিউল আলম মজুমদার। 

আর সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদিন মালিকের মন্তব্য, আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবের আগে অবশ্যই এর সুবিধাভোগী মানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে বিশদ সংলাপ হওয়া দরকার ছিল। #

পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/২৭

ট্যাগ