প্রযুক্তির উন্নয়নে
বাড়ছে ডিভাইসে বই পড়ার সংস্কৃতি; প্রিন্টেড বই পড়ার তৃপ্তি নেই বুক রিডারে
পড়িলে বই আলোকিত হই/না পড়িলে বই অন্ধকারে রই। একেকটি বই যেন একেকটি বাতিঘর যদি সে বইটি হয় সুখপাঠ্য, শিক্ষণীয়। বই আমাদের জ্ঞানদান করতে পারে, দিতে পারে প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা। তাই আর্নেস্ট হেমিংওয়ে যথার্থই বলেছেন বইয়ের মতো এত বিশ্বস্ত বন্ধু আর নেই।
সময় কালের পরিক্রমায় উন্নত প্রযুক্তির বিনিময়ে তালপাতা বাদ দিয়ে কাগজ ব্যবহার করছি, দৈনন্দিন কাজকর্মের পাশাপাশি করতে পারছি জ্ঞান অর্জন। সেটা হোক ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে অথবা স্বশরীরে। ছাপাখানার ব্যাপক প্রসারের ফলে আমাদের জ্ঞান আহরণ বা বিতরণ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হচ্ছে কিন্তু আমরা ভুলে যাচ্ছি শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য, মাধুর্য। ভুলে যাচ্ছি বই পড়ার ব্যাপক আনন্দ। আর তাই আজ আমাদের বাঙালিদের শোবার ঘরে, বসার ঘরে আর কোনো বই শোভা পায় না। অনুকরণপ্রিয় শিশুরাও আজ বড়দের দেখাদেখি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
হাতের নাগালে চলে এসেছে তথ্যপ্রযুক্তি। আর একে সমৃদ্ধ করেছে নানা ধরনের প্রযুক্তি পণ্য। গান শোনা বা ছবি দেখার জন্য যেমন আলাদা যন্ত্র আছে, তেমনি বই পড়ার জন্যও রয়েছে যন্ত্র। আর বইয়ের ক্ষেত্রে এখন এমনই একটি সুবিধা নিয়ে রয়েছে ই-বুক রিডার বা বই পড়ার বিশেষ যন্ত্র। অর্থাৎ এখন আর ছাপা হওয়া বই হাতে নিয়েই নয়, বরং যন্ত্রের সাহায্যে চাইলেই পড়ছেন অনেকে।
এনিয়ে লেখক পাঠক মহলে রয়েছে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া। লেখক সাইফ বরকত মনে করেন, প্রযুক্তির প্রসারতায় মানুষ ডিভাইসে বই পড়ছে কিংবা ডিভাইস কেন্দ্রিক বই পড়া বাড়ছে এটাতে সমস্যার কিছু নেই।
তবে জাপান প্রবাসী লেখক ও সংগঠক জুয়েল আহসান কামরুলের মতে, মানুষ এখন পিডিএফ বা বুক রিডারে বই পড়তে আসক্ত হচ্ছেন । কিন্তু প্রিন্টেট বই পড়ার তৃপ্তি অন্যরকম।#
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/এনএম/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।