মার্চ ১৬, ২০২৩ ১৭:০৪ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে ফের টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ক্রেতা সংকটে পড়েছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ক্রেতা সংকটে পড়ে দর হারাচ্ছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে দাম কমে প্রতিদিন নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইজে অর্থাৎ সর্বনিম্ন দাম স্তরে যুক্ত হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে ফ্লোর প্রাইজে আটকানো প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। উদ্বিগ্ন হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে বুধবার দাম কমে নতুন করে ফ্লোর প্রাইজে এসে ঠেকেছে ২৭ টি কোম্পানির শেয়ার। এতে লেনদেনে অংশ নেওয়া দুইশ'র বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইজে আটকে যায়। ফ্লোর প্রাইজে আটকে যাওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

প্রতিদিন দিনের সর্বনিম্ন দামে বা ফ্লোর প্রাইজে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আদেশ আসছে। বিপরীতে শূন্য পড়ে থাকছে ক্রয় আদেশের ঘর। ফলে যারা দিনের সর্বনিম্ন দামে বিক্রির চেষ্টা করছেন তাদের সিংহভাগ ব্যর্থ হচ্ছেন।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে প্রভিশন সংরক্ষণে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে আরও দুই বছর সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে এ সময় পাবে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে নয় বারের মতো প্রভিশন সংরক্ষণের সময় বাড়ালো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এমন বাস্তবতায় দেশের শেয়ার বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারী ও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছে নানা বিশ্লেষণ। প্রশ্ন আসছে শেয়ারবাজার নিয়ে আশার কিছু কি আছে?

এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন-এর পরিচালক ও ডিএসইর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ রশীদ লালি বলেন, দেশের সামগ্রীক অর্থনৈতিক সংকট ও ব্যাংকিং খাতের সমস্যার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করেন তিনি।

আর লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সিইও কান্তি কুমার সাহা মনে করেন, ব্যবসায় আপস ডাউন থাকে। তার মানে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদী।

মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের নিজস্ব ও গ্রাহকের পোর্টফোলিওতে পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের সুযোগ চলতি বছরের (২০২৩ সালের) ৩১ ডিসেম্বর শেষে হওয়ার কথা ছিল। নতুন করে সময় বাড়ানোয় এ সীমা নির্ধারিত হলো ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/১৬

ট্যাগ