আ. লীগ এককভাবে দেশ শাসন করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে: ফখরুল
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে এককভাবে শাসন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, চীন, নর্থ কোরিয়া ও ভিয়েতনামের মত এখানেও আওয়ামী লীগ এক দলীয় ও এক দলের শাসন চালু করতে চায়। তারা একদলীয় বাকশাল করতে চায়।
আজ (রোববার) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অনেকগুলো আইন তৈরি করেছে। মৌলিক জায়গাগুলোতে তারা সংবিধানকে পরিবর্তন করে সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে নারী-পুরুষ, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কেউ নিরাপদ নয়। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আসার পর কৌশলে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। বারবার দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করছে আওয়ামী লীগ। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো এককভাবে দেশকে শাসন করা। এজন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে।
এসময় মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশির বাধার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে, হত্যা, গুম, গ্রেফতার ও নির্যাতন করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় সরকার।
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে জেসমিন আক্তারের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (জেসমিন আক্তার) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। একজন যুগ্ম সচিবের কথায় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। এটা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। এটা কোনো গণতান্ত্রিক কিছু হতে পারে না। একজন নাগরিক ও সরকারি কর্মচারীকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া ভয়াবহ আইনের লঙ্ঘন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জেসমিন আক্তার র্যাবের নির্যাতনে বা স্ট্রোক করে মারা গেলেন, এটা পরের প্রশ্ন। প্রশ্ন একটাই, তাকে তুলে নেওয়া হলো কোন আইনে?’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সুলতানা জেসমিনের হত্যাকে ছোট করে দেখার কারণ নেই। এই দেশে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার, যারা গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে—তারা এভাবে হত্যা করে, নির্যাতন করে মানুষের ওপর মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।’ #
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/আশরাফুর রহমান/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।