ক্রমাগত বাড়ছে গরমের উত্তাপ, ধ্বংসের হুমকিতে প্রাণ প্রকৃতি: শংকা জলবায়ু বিশেষজ্ঞর
(last modified Sun, 16 Apr 2023 12:11:32 GMT )
এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ১৮:১১ Asia/Dhaka

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে এবার চৈত্রের শুরুতে ছিল ঝড়-বাদল। কিন্তু পঞ্জিকায় বৈশাখের পাতা খুলে দিন এগুতে থাকলেও দেখা নেই বৃষ্টি কিংবা ঝড়ের। বাতাস বইছে খরতাপে। দেশের অধিকাংশ এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস চারদিক। প্রতিদিন তাপপ্রবাহ বিস্তৃত হতে হতে ৪০ ডিগ্রী পার করেছে বেশ কয়েকবার।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই হাঁসফাঁস অবস্থা আরও সপ্তাহখানের থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেছেন, গরমের উত্তাপ কমতে আরো কিছুটা সময় লাগতে পারে।

তবুও জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। অন্যদিকে ফসলি জমিতে পানিসংকট ঠেকাতে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে কৃষকদের। একটু স্বস্তির আশায় পানিতে শরীর ভিজিয়ে নিচ্ছেন মাঠে কাজ করা মানুষেরা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবনযাত্রায় চলছে হাহাকার।

চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।এর আগে একবার ২০১৪ সালের একই দিনে অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল ঢাকার তাপমাত্রার পারদ একই উচ্চতায় উঠেছিল। অর্থাৎ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। এর আগে এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল ১৯৬৫ সালে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৯৬০ সালে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এমন সব রেকর্ডের ঘর টপকে অতিষ্ঠ জনজীবনে পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে ‘তাপমাত্রা জরুরি অবস্থা’ জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ঋতু বৈচিত্রের দেশে জলবায়ুর বিরুপ প্রভাভের এ ক্ষতিকর দিক নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

এমন পরিস্থিতি নিয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. সাইফুল ইসলাম বলছেন,গাছ কেটে প্রকৃতি উজাড় করার কারনে আজকে ক্ষতিরমুখে দেশের গ্রাম ও শহর। এরফলে দেশের প্রাণ প্রকৃতি আজ হুমকির মুখে। কৃষি ও সামুদ্রিক সম্পদও ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন এই জলবায়ু বিশেষজ্ঞ। #

 

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।