জুলাই ২৯, ২০২৩ ১৮:৫৮ Asia/Dhaka
  • শোকের আর শ্রদ্ধায় পবিত্র আশুরা পালিত; ঢাকায় তাজিয়া মিছিলে বহু মানুষের অংশগ্রহণ

ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে বাংলাদেশে পালিত হলো পবিত্র আশুরা। কারবালার 'শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল' এই দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পবিত্র আশুরার মহান শিক্ষা আমাদের সকলের জীবনে প্রতিফলিত হোক। কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মৃতিতে ভাস্বর পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী আমাদেরকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে উদ্বুদ্ধ করে, প্রেরণা যোগায় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার।

আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরা উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বলেছেন, পবিত্র আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিতে হবে। 

হিজরী ৬১ সালের এই দিনে ১০ মহরম মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (আ.) ও তাঁর পরিবারবর্গ কারবালা প্রান্তরে শাহাদতবরণ করেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিায় তাঁদের এ আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। সেই স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকা চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর হুসেনি দালান ইমামবাড়া থেকে প্রধান তাজিয়া মিছিলটি বের হয়। এ সময় ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন ধ্বনি আর বুক চাপড়ানোর শব্দে উত্তাল হয়ে ওঠে মিছিল প্রদক্ষিণ করা পুরো এলাকা। মিছিলটি বকশীবাজার ও নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডি লেকের পার্শ্ববর্তী সীমান্ত স্কয়ারের সামনে শেষ হয়।

মিছিলে আরবি হরফে কালেমাখচিত বিভিন্ন রঙের পতাকা, মাথার ব্যান্ড ও কালো পোশাক পরিধান করে নানা বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশু অংশগ্রহণ করেছে। তারা বুক চাপড়ে কারবালায় সংঘটিত ইমাম হোসেন ও ইয়াজিদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের বর্ণনাসংবলিত শোকগীতি পরিবেশন করেন।

তাজিয়া মিছিলে প্রদর্শন করা হয় প্রতীকী কারবালার দুলদুল ঘোড়া। মিছিলটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ছিল পুলিশের কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সকাল ৯টা থেকেই শিয়া সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ পুরান ঢাকায় হুসেনি দালানে জড়ো হতে থাকেন। তাজিয়া মিছিলে অংশ নেয় শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী-পুরুষ।

হোসনেই দালান ইমামবাড়ার তত্ত্বাবধায়ক এস এম ফিরোজ হোসেন বলেনকারবালার ময়দানের সেই যুদ্ধে মওলা ইমাম হোসেনের সঙ্গে হওয়া বর্বর ঘটনায় শোক জানাই। আমাদের জন্য তার আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি আজও।

দিবসটি নির্বিঘ্নে পালন করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আশুরায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করতে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন নিষিদ্ধ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফোটাতেও নিষেধ করা হয়।

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ