এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বহু এলাকা
টানা বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত ৫ জেলা, স্বাভাবিক হয়নি যোগাযোগ
টানাবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যার পর এখন বিপর্যস্ত বান্দরবান, রাঙামাটি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন এলাকা। দূর্গত এলাকাগুলোতে এখন শুধুই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতচিহ্ন। অনেক জায়গার যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বন্যার পানি নেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরগুলো বসবাসের উপযোগি হয়নি। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বহু এলাকা।
টানা বৃষ্টিতে উজানের ঢলে বিপর্যস্ত পার্বত্য জনপদসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জেলায় এখন শুধুই বন্যার ক্ষতচিহ্ন। পানি নেমে যাওয়ার পরও বিভিন্ন এলাকায় দুর্ভোগ কাটেনি।
বান্দরবানে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সড়ক মেরামতের কাজ করছে সেনাবাহিনী। রুমা ও থানচি উপজেলার বিভিন্নস্থানের সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ১৯১টি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরছেন বন্যা ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। তাদেরকে ত্রাণ সহায়তা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কাজ করছে প্রশাসন। কক্সবাজারের ৮ উপজেলার নিম্নাঞ্চল টানা কয়েকদিন ডুবে ছিলো পাহাড়ি ঢলের পানিতে। বন্যার পানি নেমে গিয়ে এখন ভেসে উঠেছে বিপর্যস্ত জনপদের চেহারা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা দেয়ার কথা জানালেন কক্সবাজার-১ সংসদ সদস্য জাফর আলম।
চট্টগ্রামের বেশিরভাগ এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায়, বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তবে তাদের দুর্ভোগ কমেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে, ফেনীতে বিভিন্ন নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ায় এলাকাগুলোতে এখনও অন্তহীন দুর্ভোগে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
সরকারি হিসাব বলছে, কয়েক দিনের বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের ১০ লাখ মানুষ। বিভিন্ন পত্রিকার বন্যায় ও পাহাড়ধসে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে অর্ধশতাধিক। সাঙ্গু নদের সাতকানিয়া ও আনোয়ারা অংশে ভেসে এসেছে কয়েকটি লাশ। দুঃখজনক হচ্ছে বন্যাকবলিত লাখ লাখ মানুষ পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পাননি। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খাবার পানির।#
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/আশরাফুর রহমান/১৫