আগস্ট ১৬, ২০২৩ ১৯:১২ Asia/Dhaka

একদিকে টানা বৃষ্টিপাত, অন্যদিকে স্লুইচগেটসহ প্রবাহমান খালগুলো বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতায় ঝুঁকির মুখে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকার চাষাবাদ। পানিতে তলিয়ে আছে বিস্তীর্ণ জমির আবাদি ফসল। চাষীরা বলছেন, পানি দ্রুত নিষ্কাশন করা না গেলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে টানা দশ দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে, উপকূলীয় বিভিন্ন জেলা-উপজেলার পুকুর, বিস্তীর্ণ আবাদি জমি ও বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেত। বৃষ্টির মাত্রা কমে এলেও এখনো কিছু জায়গায় টানা জলাবদ্ধতায় জমির ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম।

স্থানীয়রা বলছেন, প্রবাহমান খালসহ স্লুইচ গেটগুলো বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবে পানি নামছে না। এতে পঁচন ধরেছে অনেক সবজি ক্ষেতে। আউশ ফসল পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। স্থায়ীভাবে খালসহ স্লুইচ গেটগুলো খুলে দেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।

কৃষি বিভাগ এখনো প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করতে না পারলেও প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করেছে মৎস্য বিভাগ, এমন তথ্য জানিয়েছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা।

আর স্থানীয় কৃষকদের দাবীর মুখে কলাপাড়ার মহিপুর, লতাচাপলী ও চাকামইয়া ইউনিয়নের একাধিক খালের বাঁধ কেটে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কারণ জনগণের প্রয়োজন ও ‍সুবিধাকে সর্বাদিক গুরুত্ব দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান কলাপাড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৌশিক আহমেদ।  জলাবদ্ধতা নিরসনসহ কৃষিকাজের সুবিধার্থে প্রভাবশালীদের দখলে থাকা খাল ও স্লুইচগেটগুলো উদ্ধার করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।#

পার্সটুডে/বাদশা রহমান/আশরাফুর রহমান/১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ