করোনাকালেও বাংলাদেশে থেমে নেই নারী ও শিশু নির্যাতন: বিশ্লেষক প্রতিক্রিয়া
(last modified Thu, 02 Jul 2020 16:47:09 GMT )
জুলাই ০২, ২০২০ ২২:৪৭ Asia/Dhaka

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের কারনে মৃত্যু, অসুস্থতা এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে মানুষ যখন দিশেহারা তখনো কমছে না নারী ও শিশু নির্যাতন। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা বিভৎস রূপ নিয়ে ফুটে উঠেছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী গত জুন মাসে ৩০৮ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০১ জন নারী ও শিশু। এ সময় ২৫ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে সাতজনকে। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫ জনকে।

নারী ও শিশু নির্যাতন বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিপ্লবী নারী ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক আমেনা আখতার রেডিও তেহরাকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে পরিবারে দুর্বল ব্যক্তি হিসেবে নারী বা শিশুটিকে নির্যাতের শিকার হতে হচ্ছে। তা ছাড়া, সমাজে আইনের প্রয়োগ যথাযথভাবে না হওয়া, মামলার নামে অপরাধের শিকার নারীদের উল্টো হয়রানীর শিকার হওয়ার কারণে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। এই নারী নেত্রী আরো উল্লেখ করেন, বিশেষ করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানা ধরনের ফাঁদে জড়িয়ে প্রেমের প্রতারনা বা পরকীয়ার পরিণতিতে এরকম অপরাধের পরিমাণ বাড়ছে।

ওদিকে মানবাধিকার ও আইনী সহায়তা সংস্থা সমূহের তথ্য মত গত মাসে এসিড আক্রমণের শিকার হয়েছে একজন নারী। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে চারজন। অপহরণের শিকার হয়েছে মোট ১৪ জন। এ সময় পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় একজনকে। এ ছাড়া, বিভিন্ন কারণে ৬২ নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে পাঁচজনকে। এ সময় দুই গৃহপরিচারিকা হত্যা করা হয়েছে এবং একজনক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।

এ ছাড়া গত মাসে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে সাত নারীকে। একই সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৯ নারী ও কন্যাশিশু এবং উত্ত্যক্ত করা হয় পাঁচজনকে। গত এক মাসে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৭ নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ছাড়া ৩৪ নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।#

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ