মেজর সিনহা হত্যা: ৪ পুলিশ সদস্য ও ৩ সাক্ষীকে রিমান্ডে নিয়ে গেছে র‌্যাব
(last modified Fri, 14 Aug 2020 06:53:06 GMT )
আগস্ট ১৪, ২০২০ ১২:৫৩ Asia/Dhaka
  • অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ পুলিশ ও ৩ সাক্ষীকে র‍্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়
    অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ পুলিশ ও ৩ সাক্ষীকে র‍্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পুলিশের চার সদস্য এবং পুলিশের দায়ের হত্যা মামলায় তিন সাক্ষীকে রিমান্ডের জন্য নিয়ে গেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র‌্যাব।

আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে র‌্যাবের একটি বহর ৭ আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে নিয়ে যায়। যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন- কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। পুলিশ দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।

কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক তামান্না ফারাহর এই সাতজনের প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত বুধবার এই আদেশ দিয়েছিলেন।

পরদিন বৃহস্পতিবার জেল গেটে গিয়ে আসামিদের ছাড়াই ফেরত চলে যায় র‌্যাবের বহর। আজ সকালে ৭ আসামিকে জেল থেকে নিয়ে যায় র‌্যাব-১৫।

৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করা টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালকে এখনও রিমান্ডে নেয়া হয়নি। এই তিনজন কারাগারে রয়েছেন। তাদেরকেও যে কোনো সময় কারাগার হতে র‌্যাব হেফাজতে রিমান্ডে নেয়া হবে।

গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ ও দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে সিনহার বোন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৯ পুলিশ সদস্যকেই বরখাস্ত করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫। ওই মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড ও অন্য আসামিদের দুদিন করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামি এখনও কারাগারে রয়েছেন। একই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ৯ আগস্ট সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও ১০ আগস্ট সাহেদুল ইসলাম সিফাত জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

 

ট্যাগ