ঢাকা বাসে অগ্নিসংযোগ: বিএনপিকে দায়ী করলেন ওবায়দুল কাদের
-
ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় গতকাল বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেছেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে- বিএনপি তাদের চিরাচরিত সন্ত্রাসী পন্থা পরিহার করতে পারেনি। তাদের এই ধরনের সন্ত্রাসী চরিত্র ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ তাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। নিরীহ মানুষের জীবন ও সম্পদহানির মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চালাবে- এটা তাদের পুরোনো অভ্যাস।
আজ (শুক্রবার) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি তাদের ‘নীলনকশা অনুযায়ী' ভোটের দিন রাজধানীতে ‘বাসে আগুন দিয়ে নাশকতা করেছে’উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “সেই পুরানো আগুন সন্ত্রাসের সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি, এটা তারা আগের মত শুরু করেছেন। এর মধ্যে একটি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে, পুলিশের কাছে আছে, এখানে বিএনপি কর্মীদের উপস্থিতি চেহারা দেখলে বোঝা যায়। কৌশলটা ছিল এমন যে, বাসের ভিতরে যাত্রী সেজে বসে থেকে আগুন লাগানোর সময় 'আগুন আগুন' বলে যাত্রী সেজে পিছনের দরজা দিয়ে বেড়িয়ে যায়।“
গতকাল ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেকোনো নির্বাচন এলেই বিএনপি হইচই করে মাঠ গরম করে। অথচ ভোটের দিন তাদের আর মাঠে দেখা যায় না। তারা নির্বাচনে জিতলে বলে আরও বেশি ভোটে জিততাম। আর হারলে বলে- সরকার হারিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন হারিয়ে দিয়েছে। এটি তাদের পুরোনো অভ্যাস।
নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছে- বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের কাছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তখনই যখন বিএনপি’র জেতার গ্যারান্টি থাকবে। তা না হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে আর বলবে নির্বাচন ভালো হয়নি।
এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই-বিএনপি’র এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। বৈশ্বিক মহামারি করোনার এই মানবিক সংকটের মধ্যেও তারা ধারাবাহিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। অতীতের ন্যায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা প্রমুখ।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৩