করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে-স্বাস্থ্যমন্ত্রী: জনগণকে সচেতন করতে সরকার ব্যর্থ-চিকিৎসক প্রতিক্রিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i84800-করোনার_দ্বিতীয়_ঢেউ_চলছে_স্বাস্থ্যমন্ত্রী_জনগণকে_সচেতন_করতে_সরকার_ব্যর্থ_চিকিৎসক_প্রতিক্রিয়া
বংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন,‘দেশে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। করোনা থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মাস্ক পরিধান করতে হবে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ অনেকেই এখনও স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানছেন না। এভাবে যদি চলতে থাকে,তাহলে আমাদের দেশের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।’
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
নভেম্বর ২১, ২০২০ ২০:২৩ Asia/Dhaka

বংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন,‘দেশে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। করোনা থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মাস্ক পরিধান করতে হবে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ অনেকেই এখনও স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানছেন না। এভাবে যদি চলতে থাকে,তাহলে আমাদের দেশের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।’

গতকাল শুক্রবার বিকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়ায় এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত মাস্কই হচ্ছে করোনা প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। সেইসঙ্গে আমাদের সকলকে নিয়মমতো হাত ধুতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। 

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে,গত ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যুর পর থেকে এখন পর্যন্ত   সারা দেশে ৬ হাজার ৩৫০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন করোনায়।  সারা দেশে দৈনিক যত মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হচ্ছেন তার চেয়ে বেশি সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে সিটের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। 

ওদিকে,করোনা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তিদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার রিজওয়ানুল আহসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন,গত পাঁচ-ছ’মাসের তুলনায় এখন হাপাতালে করোনা আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তবে করোনায় শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর হার কম হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। 

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি উর্ধ্বমুখী

আজ শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে,দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৪৭ জন। গতকাল শুক্রবার করোনা সংক্রমিত হয়েছেন দুই হাজার ২৭৫ জন। আগের দিন বৃহস্পতিবার করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন দুই হাজার ৩৬৪ জন। আজ শনিবার পর্যন্ত  দেশে আক্রান্ত রোগীর  সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৮১ জন।

গত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট শনাক্তের পরিমাণ অনেক বেশি থাকলেও গত অক্টোবর মাস থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে। কিন্তু নভেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে করোনা শনাক্ত। তবে নভেম্বর থেকে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। দেশে প্রতি ১০ লাখে করোনা শনাক্ত হচ্ছে দুই হাজার ৬০৩ জন। আবার এর বিপরীতে প্রতি ১০ লাখে করোনা থেকে সুস্থ হচ্ছেন দুই হাজার ১০৪ জন। 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন,মূলত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণেই বাংলাদেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সরকারিভাবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় আইন করা হলেও এর বাস্তবায়ন নেই। এমনকি এই করোনার সময় অত্যাবশ্যক স্বাস্থ্যবিধি পালনেও জনগণকে সচেতন করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। মাস্কের মতো অতি প্রয়োজনীয় একটি স্বাস্থ্যবিধি সাধারণ মানুষ মেনে চলছে না। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে,মাস্ক না পরে বাইরে বের হলে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড ও দুই দিন কারাদণ্ডের ঘোষণা সত্ত্বেও পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/গাজী আবদুর রশীদ/২১

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।