ভাঙচুরের মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
(last modified Mon, 19 Apr 2021 06:22:57 GMT )
এপ্রিল ১৯, ২০২১ ১২:২২ Asia/Dhaka
  • ভাঙচুরের মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানী মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা ভাঙচুরের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে. মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল হক হেফাজত নেতা মামুনুলকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামি মামুনুলের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ।

মাওলানা মামুনুল হককে বেলা ১১টা ৮ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে আদালতের হাজত খানায় রাখা হয়। মোহাম্মদপুর থানার এ মামলায় মারধর, হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাতে গুরুতর জখম, চুরি, হুমকি ও ধর্মীয় কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলযোগের অভিযোগ এনে স্থানীয় এক ব্যক্তি মামুনুলের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন।

হেফাজতের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে অন্তত ১৮টি মামলা রয়েছে। মামুনুল হককে গ্রেফতারের জন্য গতকাল দুপুর ১২টা থেকেই ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার আশপাশের এলাকায় কয়েক শ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গ্রেফতারের পর মামুনুলকে প্রথমে শ্যামলীতে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। বেলা দুইটায় নেওয়া হয় তেজগাঁও থানায়। পরে তাঁকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মামুনুল হক হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর কমিটিরও সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব এবং জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।

গত এক মাস ধরে ব্যক্তিগত জীবন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের আন্দোলনসহ নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন মাওলানা মামুনুল হক। নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা হিসেবে মনে করছে পুলিশ।

৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ঘেরাও হওয়ার পর মামুনুল হকের একাধিক বিয়ের খবর বের হয়। একের পর এক অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার বিষয়ে পরিণত হন তিনি।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।  

ট্যাগ