'আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হেফাজতের রাজনৈতিক অভিলাষ নস্যাৎ করেছে'
(last modified Wed, 28 Apr 2021 11:48:48 GMT )
এপ্রিল ২৮, ২০২১ ১৭:৪৮ Asia/Dhaka
  • আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
    আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হয়েও রাজনৈতিক অভিলাষ থেকে নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। হেফাজতের নেতাদের রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটা নস্যাৎ করে দিয়েছে।

আজ (বুধবার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত যে ঘটনার জন্ম দিয়েছিল ওই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো যায় কি-না সেই উদ্দেশ্যে হেফাজতে ইসলাম সহিংসতা চালিয়েছিল।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, আপনি দেখেছেন, হেফাজতের কর্মীরা ভূমি অফিসে জমির সব ধরনের কাগজপত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। ডিসির বাংলো, সরকারি অফিস এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। এমনকি তারা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ইনস্টিটিউটেও ভাঙচুর চালিয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্যে ছিল দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা।

হেফাজতে ইসলামের নেতাদের নামে দায়ের হওয়া মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হেফাজতের ফিন্যান্স যারা করেছে তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। কিছু কিছু উপাদান পাচ্ছি, তবে এখনই অ্যানাউন্স করতে চাই না। তদন্ত শেষে আমরা বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারব।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাওলানা বাবুনগরীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে মামলা ছিল। সে সময় তিনি আটকও হয়েছিলেন। পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে যেগুলো মামলা হয়েছে, সবগুলো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন সবার জন্য সমান।

তিনি আরো বলেন, হেফাজতের অর্থায়ন যারা করেছে তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থারা কাজ করছে। কিছু কিছু উপাদান পাচ্ছি, তবে এখনই বলতে চাই না। আরও কিছুদিন তদন্ত করে তারপর বলব। কার অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে কত টাকা আসছে তদন্তে বের হয়ে আসবে।

আল্লামা নুরুল ইসলাম

গ্রেপ্তারকৃত আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি
সম্প্রতি সারাদেশে গ্রেপ্তারকৃত আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর নতুন মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় পুলিশ সারাদেশে একের পর এক আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার করছে। পবিত্র রমজান মাসে ওলামায়ে কেরামকে যেভাবে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আলেম-ওলামারা থানায় ও কারাগারে অতি কষ্টে দিন যাপন করছেন। তাদের ইবাদত-বন্দেগিতেও খুবই সমস্যা হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া আলেমদের বেশির ভাগই কুরআনের হাফেজ। প্রতি বছর তারা হাজার হাজার মুসল্লিকে নিয়ে তারাবীহ নামাজ আদায় করেন। কিন্তু গ্রেপ্তারের কারণে তাদের থানা হাজতে ও জেলে দিন কাটাতে হচ্ছে।

তিনি আলেম-ওলামাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওয়ারিশ উল্লেখ করে তাদের সাথে এ ধরনের আচরণ সরকার, দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর নয়।

আল্লামা নুরুল ইসলাম আরো বলেন, এই পবিত্র রমজান মাসে আলেমদের একের পর এক রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। একবার রিমান্ড শেষ হলে আরেকবার রিমান্ড দেয়া হচ্ছে। এগুলো অমানবিক আচরণ। পবিত্র রমজান মাসে আলেমদের সাথে এমন অমানবিক আচরণ করবেন না। অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করুন। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের মুক্তি দিন। যাদের রিমান্ড দেয়া হয়েছে, তাদের রিমান্ড বাতিল করুন।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন   

 

 

ট্যাগ