চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশি কিশোরকে হত্যা, ৭ বিএসএফ সদস্য বরখাস্ত
(last modified Mon, 16 May 2016 01:11:28 GMT )
মে ১৬, ২০১৬ ০৭:১১ Asia/Dhaka
  • বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক (ইনসেটে) শিহাব উদ্দিন (ফাইল ফটো)
    বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক (ইনসেটে) শিহাব উদ্দিন (ফাইল ফটো)

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নতুনপাড়া সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর শিহাব উদ্দিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রোববার রাত সোয়া ১০টায় চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির ৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমির মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিজিবির উদ্যোগে রোববার সকালে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার উপমহাপরিচালক মাহাবুবুর রহমান ও বিএসএফের পক্ষে কৃষ্ণনগর সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি কৈলাশ লাল সাহা নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশি কিশোরকে গুলি করে হত্যার বিষয়ে বিএসএফ উচ্চপর্যায়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বিজিবিকে আশ্বস্ত করে। এরই অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় বিএসএফ ১১৩ ব্যাটালিয়ন বানপুর কোম্পানি কমান্ডার এসি অনুভব আত্রাইসহ সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে তারা। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে ওই সাতজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিজিবিকে জানিয়েছে বিএসএফের কৃষ্ণনগর সেক্টর।

বিজিবি জানায়, পতাকা বৈঠকে শিহাব হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। এ সময় পতাকা বৈঠকে উপস্থিত নিহত শিহাবের বাবা মাহবুব হালসানাসহ নির্যাতিত অপর তিন তরুণের জবানবন্দী নেয়া হয়।

এদিকে, বিএসএফের বরাত দিয়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশির মৃত্যু ঘটেছে, তা তদন্তের জন্য একটি আদালত গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন সাতজন জওয়ানকে তদন্তের স্বার্থে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সীমান্তে নিহতের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নয়াদিল্লির অঙ্গীকারের কথাও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে বিবৃতিতে।

শিহাবের ছবি হাতে স্বজনদের আহাজারি
শনিবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের কিশোর শিহাব উদ্দিন আম পাড়তে নতুনপাড়া সীমান্তের একটি আমবাগানে যায়। শিহাব ও তার চারবন্ধু গাছে ওঠে এবং নিচে ছয়-সাতজন ছিল। বিএসএফ ধাওয়া করলে নিচে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। গাছে থাকা শিহাব ও তার বন্ধুদের বিএসএফ সদস্যরা নামিয়ে বেধড়ক মারপিট করে এবং খুব কাছ থেকে শিহাবকে গুলি করে হত্যা করে।

বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পর শিহাবের গ্রামের বাড়ি গোয়ালপাড়ায় শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। তার মা-বাবা ও স্বজনরা বিএসএফ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৬

ট্যাগ