সরকার প্রতিষেধক টিকা সংগ্রহ নিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে: বিএনপি
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i94750-সরকার_প্রতিষেধক_টিকা_সংগ্রহ_নিয়ে_জনগণের_সাথে_প্রতারণা_করছে_বিএনপি
বিশ্বব্যপী করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার প্রতিষেধক টিকা সংগ্রহ নিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে আর লকডাউনের নামে করছে নির্মম তামাশা। গতরাতে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন অভিযোগ তুলে ধরেন।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
জুলাই ১৮, ২০২১ ১৭:২৯ Asia/Dhaka
  • আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
    আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিশ্বব্যপী করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার প্রতিষেধক টিকা সংগ্রহ নিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে আর লকডাউনের নামে করছে নির্মম তামাশা। গতরাতে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন অভিযোগ তুলে ধরেন।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে যে, বর্তমান বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। করোনা টিকা নিয়ে সরকার যে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে গোটা পরিস্থিতিকে লেজে গোবরে করে ফেলেছে। এখন পর্যন্ত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট, চীনের সিনোফার্ম ও কোভ্যাক্স প্ল্যাট ফার্ম থেকে মোট ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৬২০ ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘আকুল আহবান’  বিজ্ঞাপনে দেড় কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের কথা বলায় প্রমাণিত হয়েছে সরকার করোনার শুরুর প্রথম থেকেই জনগণের সাথে প্রতারণা করছে, টিকা মূল্য নিয়েও মিথ্যাচার করছে। অবিলম্বে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।

মির্জা আলমগীর বলেন, দেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হলে ২৬ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন। গড়ে প্রতি মাসে ১ কোটি টিকা দিলেও ২ বছর দুই মাস লাগবে। অথচ এখন পর্যন্ত এ পরিমাণ টিকা প্রাপ্তির কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা পরিকল্পনা  দিতে পারেনি সরকার।

‘লকডাউনের সিদ্ধান্ত আসে হেমায়েতপুর থেকে’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের লকডাউন একটি মর্মান্তিক তামাশা। প্রথমে লকডাউন, তারপরে কঠোর লকডাউন, পরে শিথিল লকডাউন এবং  ঈদের  পরদিন থেকে আরো কঠোর লকডাউন, শিল্প কলকারখানা বন্ধ ঘোষণা -এস তামাশা থেকে মনে হয়,  সরকারি সিদ্ধান্তগুলো সবই পাবনার হেমায়েতপুর থেকে আসছে।

আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

তিনি বলেন, এইসব অপরিকল্পিত পদক্ষেপের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের দিন আনে দিন খায় এমন মানুষ এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত মানুষ, হকার, ছোট ব্যবসায়ী, রিকশা শ্রমিক, ভ্যান শ্রমিক, মাঝি, বাইকের চালকেরা, পরিবহন শ্রমিকেরা। বিএনপির বারবার এসব মানুষের জন্য এককালীন ১৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের আহবান জানিয়েছিলো কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। বিএনপি আবারো দাবি জানাচ্ছে, এসব মানুষদের জন্য ১৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হোক, ছোট ব্যবসায়ীদের পুঁজির ব্যবস্থা করা এবং দিন আনে দিন খায় মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হোক।

দেশের জেলা হাসপাতালগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় করোনা বেড, অক্সিজেন, আইসিইউ বেড বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আক্রান্ত রোগী ও স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। গাছের তলায়, অ্যাম্বুলেন্সে অথবা ভ্যানের ওপর রোগীর চিকিৎসার দৃশ্য কি মধ্যআয়ের বাংলাদেশ বা “উন্নয়নের রোল মডেল” এর প্রতিচ্ছবি?

বিএনপি মহাসচিব আরও  জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অপসারণ করা উচিত বলে স্থায়ী কমিটির সভা আবারো অভিমত দিয়েছেন। #

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।