কক্সবাজারের উখিয়ায় 'দুই গ্রুপের সংঘর্ষে' ৭ রোহিঙ্গা নিহত
(last modified Fri, 22 Oct 2021 04:48:14 GMT )
অক্টোবর ২২, ২০২১ ১০:৪৮ Asia/Dhaka
  • কক্সবাজারের উখিয়ায় 'দুই গ্রুপের সংঘর্ষে' ৭ রোহিঙ্গা নিহত

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষে’ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দু’জন মাদরাসা ছাত্র, তিনজন শিক্ষক ও দু’জন ভলান্টিয়ার রয়েছেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।

রোহিঙ্গা শিবিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ (শুক্রবার) ভোর চারটার দিকে বালুখালীর ১৮ নম্বর ক্যাম্পের ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ নামে একটি মাদরাসায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ হামলায় ঘটনাস্থলে চারজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজন রোহিঙ্গা মারা যান।

ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন- ১২ নম্বর ক্যাম্পের জে-৫ ব্লকের মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মো. ইদ্রীস (৩২), ৯ নম্বর ক্যাম্পের ২৯ নম্বর ব্লকের মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে মাদরাসা ছাত্র ইব্রাহীম হোসেন (২৪), ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ৫২ ব্লকের নুরুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক (২২) (ভলান্টিয়ার) ও একই ব্লকের আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২) (ভলান্টিয়ার)।

এছাড়াও হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এফ ২২ ব্লকের মো. নবীর ছেলে মাদরাসা শিক্ষক নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), ২৪ নম্বর ক্যাম্পের রহিমুল্লাহর ছেলে মাদরাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ (৫৫) ও ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ৫২ ব্লকের নুর মোহাম্মদের ছেলে মাদরাসা ছাত্র নুর কায়সার (১৫)।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. শিহাব কায়সার খান বলেছেন, "ঘটনার পর পরই এপিবিএন পুলিশ এবং জেলা পুলিশ বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিহতদের উদ্ধার এবং অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুজিবুর রহমান নামে একজনকে অস্ত্রসহ আটক করেছি আমরা।”

তবে কী নিয়ে এই সংঘর্ষ, সে বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান এপিবিএন-এর পুলিশ সুপার। 

এদিকে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম। 

কক্সবাজারের এই ক্যাম্পগুলোতে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলোকে ‘রোহিঙ্গা ডাকাত’ বা ‘চোরাকারবারিদের’ কাজ বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। 

তবে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ খুন হওয়ার পর ক্যাম্পে সক্রিয় বিভিন্ন পক্ষের অনেক বিষয় এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোচনায় আসছে।  

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং-১ (ইস্ট) লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে গুলি করে হত্যা করা হিবুল্লাহকে, যিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। 

পরিবারের অভিযোগ, প্রত্যাবাসনের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করা মুহিবুল্লাহকে রোহিঙ্গাদের আরেকটি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) হত্যা করেছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।