জুন ০৬, ২০২৪ ১৫:৪৪ Asia/Dhaka
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

বাংলাদেশের সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের আদেশের প্রতিবাদ ও সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানববন্ধন করছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল ও সমাবেশ করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র সমাজে’র ব্যানারে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, রায় প্রদানের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে আমলে নেননি হাইকোর্ট। তাই আদালতের এই রায়কে প্রত্যাখান করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরতদের বক্তব্য, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে নিঃসন্দেহে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য মানা কষ্টদায়ক। চাকরিতে কোটা বহাল রাখা হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সড়ক অবরোধ

একই দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, অমর একুশে হয়ে প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পাঁচ মিনিট প্রতীকী অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তাদের ‘একাত্তরের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারাবাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

অন্যদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরাও কোটা পুনর্বহাল আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ আন্দোলন শুরু হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি ভিক্টোরিয়া পার্ক এবং বাংলাবাজার ঘুরে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, বাতিল করো, বাতিল করো, কোটা পদ্ধতি বাতিল করো এসব স্লোগান দেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না। দেশের বিপুল সংখ্যক বেকার সমস্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর কোটার মত বৈষম্যমূলক বিভীষণ চাপিয়ে দেয়া হলে বেকার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

প্রসঙ্গত, বুধবার (৫ জুন) সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।#  

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৬

 

ট্যাগ