গাজা যুদ্ধ সত্ত্বেও ইসরাইলে রপ্তানি বাড়িয়েছে মিশর, আরব আমিরাত ও জর্দান
(last modified Fri, 21 Jun 2024 12:21:24 GMT )
জুন ২১, ২০২৪ ১৮:২১ Asia/Dhaka
  • গাজা যুদ্ধ সত্ত্বেও ইসরাইলে রপ্তানি বাড়িয়েছে মিশর, আরব আমিরাত ও জর্দান

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি সেনাদের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা সত্ত্বেও ইসরাইলে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়েছে মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্দান। ইহুদিবাদী ইসরাইলের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বা সিবিএস গতকাল (বৃহস্পতিবার) এই তথ্য জানিয়েছে।

সিবিএস বলছে, ২০২৪ সালের মে মাসে ইসরাইলে মিশরীয় পণ্যের রপ্তানি আড়াই কোটি ডলার বেড়েছে যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ।

হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে মিশর। দেশটি ১৯৭৯ সালে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে বহু সমালোচিত ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি করে এবং সেই থেকে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। 

অবশ্য চলমান যুদ্ধের মাঝে মে মাসে ইসরাইলের সাথে মিশরের সম্পর্কে খানিকটা উত্তেজনা দেখা দেয়। সে সময় গাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ করিডর ইসরাইলি সেনারা দখল করে নিলে এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। 

ইসরাইলি পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ইসরাইলে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ লাখ ডলারের। ২০০৩ সালের মে মাসে ইসরাইলে যেখানে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ২৩ কোটি ৮৫ ডলারের, সেখানে চলতি বছরের মে মাসে ইসরাইলে আমিরাতি পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২৪ কোটি ২০ লাখ ডলার মূল্যের।

একইভাবে জর্দান থেকে ইসরাইলে মে মাসে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। গত বছরের মে মাসে ইসরাইলে জর্দানি পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৩ কোটি ২৩ লাখ ডলারের, সেখানে চলতি বছরের মে মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছে তিন কোটি ৫৭ লাখ ডলারের।

১৯৬৭ ও ১৯৭৩ সালের যুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাতে জর্দান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ১৯৯৪ সাল থেকে দেশটির তেল আবিবের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/জিএআর/ ২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ