কোটা সংস্কারের দাবিতে রেলপথ অবরোধ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
জনদুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি পরিহারের আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
মানুষের দুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি পরিহারে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ (সোমবার) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষকদের পেনশন ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে গতকাল কথা বলেছি। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে সব কোটা বিলুপ্ত করে। এরপর সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে আপিল করেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি উচ্চ আদালত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা (বিএনপি) সাপোর্ট করেছে। কারা যুক্ত হয়েছে, কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, সব কিছু সময়ে বলে দেবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে হঠাৎ চারজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে বলে জানা গেছে।

এদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের এক দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচণ্ডি ফ্লাইওভারের নিচে রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় একটি বাইপাস সড়কেও যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘সংগ্রাম না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’ ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’—এমন স্লোগানসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার প্রদর্শন করেন। #
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৮