ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বামপন্থিদের জয়: ঝুলন্ত পার্লামেন্টের সম্ভাবনা
(last modified Mon, 08 Jul 2024 11:38:42 GMT )
জুলাই ০৮, ২০২৪ ১৭:৩৮ Asia/Dhaka
  • ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বামপন্থিদের জয়: ঝুলন্ত পার্লামেন্টের সম্ভাবনা

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় কট্টর ডানপন্থিদের হতাশ করে শীর্ষস্থান দখল করেছে বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি)। এক সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বের ভোটে কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) ঐতিহাসিক জয় পেলেও এ পর্বে তারা তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। আর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্ররনের মধ্যপন্থি এনসেম্বল জোট দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দেশটির পার্লামেন্টের ৫৭৭টি আসনের মধ্যে এনএফপি পেয়েছে ১৮২ আসন, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের জোট এনসেম্বল পেয়েছে ১৬৮ আসন আর  উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) পেয়েছে ১৪৩ আসন।

দ্বিতীয় দফার ভোটে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পেতে যাচ্ছে ফ্রান্স। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট তিনটি বড় জোট- বামপন্থি, মধ্যপন্থি ও ডানপন্থির মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এদের প্রত্যেকেরই পুরোপুরি পৃথক ধরনের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে এবং কোনো ক্ষেত্রেই একমত হওয়ার কোনো ঐতিহ্য নেই।

ফ্রান্সে নির্বাচনে বামপন্থিদের জয়জয়কার

এক মাস আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফ্রান্স থেকে কট্টর ডানপন্থিরা জয় পাওয়ার পর হতাশ মাক্ররন দেশে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের ডাক দেন। ইইউ'র নির্বাচনে ডানপন্থিদের এই জোয়ারে মাক্ররনের মধ্যপন্থি দল খারাপ ফল করায় তিনি জুনে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন ঘোষণা দেন।

দুই পর্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রথম পর্বে কট্টর ডানপন্থিরা জয়ী হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্বে তাদের ঠেকাতে বামপন্থি ও মধ্যপন্থি দলগুলো একজোট হয়ে লড়াই করে। বহু নির্বাচনী আসনে মধ্যপন্থি ও বামপন্থি প্রার্থীরা তাদের মধ্যে এগিয়ে থাকা প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সের ভোটাররা মারিন লু পেনের জাতীয়তাবাদী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সম্প্রসারণ বিরোধী আরএনকে একটি বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, অথচ নির্বাচনপূর্ব জরিপগুলোতে দলটি দ্বিতীয় পর্বে জয় পেতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছিল।

নির্বাচনের এই ফল মধ্যপন্থি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনের জন্যও একটি ধাক্কা, কারণ তিনি আগাম এ নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেলেন একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট। এতে ইইউতে ফ্রান্সের ভূমিকা দুর্বল হয়ে ওঠার আশঙ্কা আছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৮

ট্যাগ