রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা
এ রকম ভয়াবহ ঘটনা আমরা জীবনে কখনো দেখিনি: ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার চাইলে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে সমস্যার সমাধান করতে পারতো, কিন্তু তা না করে শুধুমাত্র জেদের কারণে আজকে তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
আজ (বুধবার) বায়তুল মোকারমের উত্তর গেটে গায়েবানা জানাযা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, "কোটার ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছিল, সেই যৌক্তিক আন্দোলনে সরকার গত কয়েক দিন ধরে তার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং তাদের লেলিয়ে দেওয়া আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।"
তিনি বলেন, "'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় এই সরকারি বাহিনী এবং সন্ত্রাসী বাহিনী গুলি-সন্ত্রাস-নির্যাতন করে এই আন্দোলন বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এর ফলে আপনারা দেখেছেন ছয়জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।"
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, "আপনারা দেখেছেন রংপুরে সাঈদকে কীভাবে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ রকম ভয়াবহ ঘটনা আমরা জীবনে কখনো দেখিনি! আজকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এই ধরনের দমননীতি, হত্যা, গুম করে সরকার আজকে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে।"
ঢাকাসহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, "পাকিস্তান আমলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আন্দোলন দমন করতে চেষ্টা চালানো হতো।"
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "গতকাল আপনারা দেখেছেন, আগের মতো সম্পূর্ণ একটা নাটক সাজিয়ে বিএনপি অফিসে ককটেল, বোমা, লাঠিসোঁটা রেখে দিয়ে ছবি তুলে আবার বিএনপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। আমরা দ্যর্থকণ্ঠে বলতে চাই, এই আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা সরাসরি জড়িত। আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে কখনোই সরাসরি জড়িত নই। আমরা তাদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছি এবং দিয়ে যাব। কারণ আমরা মনে করি, তাদের এই আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত।"
মির্জা ফখরুল বলেন, "বায়তুল মোকাররম গেট বন্ধ করে গায়েবানা জানাযায় বাধা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নেতাকর্মীদের গেট থেকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।"
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, "আমি বুঝতে পারছি না যে, জানাজা পড়লে কী হবে? বাধা দেওয়াটাই তো অন্যায়!"
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৭