কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট
(last modified Sun, 21 Jul 2024 08:28:50 GMT )
জুলাই ২১, ২০২৪ ১৪:২৮ Asia/Dhaka
  • কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

অবশেষে ব্যাপক আন্দোলন ও সরকার বিরোধী বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনার পর বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছে,কোটার নতুন বিন্যাস হবে - মেধা ৯৩%; মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান ৫%, প্রতিবন্ধী ১%, অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠী ১%।
সরকারকে ৩ মাসের মধ্যে নতুন কোটা ব্যবস্থার গেজেট জারির নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

রায় পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, কোটা সরকারি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়, তথাপি এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। আশাকরি শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে, আন্দোলন বন্ধ করে ক্লাসে ফিরে যাবে।

রিটকারীদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক

রায়ের পর কোটার পক্ষে রিটকারীদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেছেন, “রায়ে বলা হয়েছে যেহেতু বিষয়টি পলিসি ম্যাটার তাই নির্বাহী বিভাগ পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংস্কার করতে পারবে। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে গেজেট জারি করে আপিল বিভাগকে জানাতে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন”।

শাহ মঞ্জুরুল হক আরো বলেন, আদালত আশা প্রকাশ করেছেন যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এখন যেন ক্লাসে ফিরে যায় এবং আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করে। একই সঙ্গে অভিভাবকদের বলা হয়েছে, অভিভাবকরা যেন শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে বলে।

তিনি বলেন,“এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। এ রায় যেন সবাই মেনে নেন। শিক্ষার্থীরা যেন ঘরে ফিরে যান। তৃতীয় পক্ষ যেন ঘোলা পানিতে আর মাছ শিকার না করেন,” ব্রিফিং এ বলছিলেন মি. হক।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রোববার সরকারের লিভ টু আপিলের শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির পর দুপুর দেড়টায় রায় দেয়া হয়। 

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দেশ জুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ চলেছে। পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করতে হয়েছে। সহিংসতায় সারা দেশে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।  শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেয়ার জন্য পাঁচজন আইনজীবীকে অনুমতি দেন আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে অংশ নেয়া নয়জন আইনজীবীর মধ্যে আটজনই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করার পক্ষে মত দেন। একজন আইনজীবী কোটা সংস্কারের পক্ষে মতামত দেন।

এর আগে ২০১৮ সালে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মুখে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছিল সরকার। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রিট করা হলে চলতি বছরের ৫ জুন ওই পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা ও কোটা পুনর্বহাল করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পরদিন থেকে কোটা ব্যবস্থার বাতিল চেয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে অবশ্য তারা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।#

পার্সটুডে/এআর/জিএআর/ ২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।   

ট্যাগ